নিয়মতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে হয়ে গেল বার্ষিক জি-২০ সম্মেলন ২০২৩। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ‘গ্রুপ অব টোয়েন্টি’ বা জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন ঘিরে সারা বিশ্বের নজর ছিল ভারতের দিকে। ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ভারত জি-২০-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। এক বছরের জন্য ইন্দোনেশিয়ার কাছ থেকে জি-২০-এর দায়িত্ব নিয়েছে ভারত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১৯টি দেশ নিয়ে জি-২০ গঠিত। আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জি-২০-এর সদস্য। বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত- এ ৯টি অতিথি দেশ। জি-২০-এর সদস্য দেশগুলো বিশ্বের জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ ও বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ এবং বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। এবারের জি-২০ সম্মেলনের জন্য ভারতের স্লোগান ছিল- ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত।’ ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংস্থাটির মুখ্য উদ্দেশ্য হলো, শিল্পোন্নত ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনেতিক ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করা; যার মধ্যে রয়েছে আর্থিক খাত, কর কাঠামো, আন্তর্জাতিক আর্থিক খাতের সংস্কার ইত্যাদি।
জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লিকে নজিরবিহীন নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলা হয়। কার্যত একটা রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল রাজধানী নয়াদিল্লি। বিমানবন্দর সিলড, চারদিকে দোকান-বাজার বন্ধ। বিভিন্ন রাজ্যের সীমান্ত সিলড। পক্ষান্তরে দিল্লি সেজেছিল অপরূপ সাজে। এমন বাহারি আয়োজনে অনুষ্ঠিত অধিবেশনের সমাপ্তির পর স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে, কতটুকু সফল হলো জি-২০ সম্মেলন ২০২৩ এবং এ সম্মেলন থেকে কী পেল বিশ্ববাসী? কারণ, গত ২০২২ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো কোনো চুক্তিতে সম্মত হতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তীব্র বিতর্কের কারণে। ২০২২ সালের নভেম্বরে বালিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের বেশিরভাগ অংশজুড়ে ছিল ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইউক্রেনের সঙ্গে পোল্যান্ডের সীমান্তের ভেতর পড়া যুদ্ধে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র সংকট নিয়ে আলোচনা। এবারও তেমনটি হওয়ার শঙ্কা ছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে জি-২০ জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মতানৈক্য হওয়ায় সব দেশের ঐকমত্যের ভিত্তিতে দিল্লি ঘোষণা এ সম্মেলনের জন্য উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। জি-২০ সম্মেলনের দিল্লি ঘোষণায় ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মোট সাতটি পয়েন্ট আছে। সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য প্রত্যক্ষভাবে মস্কোর প্রতি নিন্দা জানানোর বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে সব দেশের প্রতি কোনো অঞ্চল দখল না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। দিল্লি ঘোষণায় সব দেশকে আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের নীতিকে অক্ষুণ্ণ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে। ঘোষণায় বলা হয়, আমরা ইউক্রেনে ন্যায্য ও টেকসই শান্তি অর্জনে সহায়ক এমন সব প্রাসঙ্গিক ও গঠনমূলক উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। একইসঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার কিংবা ব্যবহারের হুমকিকে কোনোভাবেই সমর্থন করি না। ৩৭ পৃষ্ঠার ঘোষণাপত্রকে সর্বসম্মত করে তুলতে ‘পৃথিবী, জনগণ, শান্তি ও সমৃদ্ধি’ শীর্ষক চারটি অনুচ্ছেদ নতুন করে লিখতে হয়েছে। এর প্রতিটি শব্দ খুঁটিয়ে দেখেই প্রতিটি দেশ তা অনুমোদন করেছে। ঘোষণাপত্রে অবশ্য ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ শব্দবন্ধের বদলে ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ’ শব্দ ব্যবহৃত হওয়ায় সমস্যার সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য জি-২০-এর দিল্লি সামিটের যৌথ ঘোষণার প্রশংসা করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৯ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে বলেছেন, দিল্লি জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন প্রমাণ করেছে, এ জোট এখনও জলবায়ু সংকট, অস্থিতিশীলতা এবং সংঘাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান করতে পারে। এক্স-কে বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যে মুহূর্তে বিশ্ব অর্থনীতি জলবায়ু সংকট, অস্থিতিশীলতা এবং সংঘাতের ধাক্কায় জর্জরিত, তখন এ বছরের শীর্ষ সম্মেলন প্রমাণ করেছে, জি-২০ এখনও আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান করতে পারে। এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনকে ‘ব্রেকথ্রো ইভেন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। সম্মেলনের পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ‘আমরা খুশি। কারণ, এ সম্মেলন ইউক্রেনকেন্দ্রিক হয়নি।’ তিনি জানান, ভারত যেভাবে জি ২০-এর সভাপতি হিসেবে কাজ করেছে, তাতেও রাশিয়া খুশি। তিনি বলেন, ‘এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যতের মন্ত্র রাশিয়াও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ তিনি বলেছেন, এ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার পথ দেখিয়েছে এবং গ্লোবাল সাউথের শক্তি ও প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেছে। ইউক্রেনসহ অনেক বিষয়ে তাদের মতামত রাশিয়ার ওপর চাপিয়ে দেয়া থেকে পশ্চিমাদের প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য তিনি ভারতের প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, জি-২০ সম্মেলন থেকে দেয়া যৌথ ঘোষণায় ইউক্রেনের যুদ্ধ সম্পর্কে ‘খুব কঠোর ভাষা’ রয়েছে। এ ঘোষণায় দৃঢ় ভাষা, খাদ্যের দাম এবং খাদ্য নিরাপত্তার ওপর যুদ্ধের প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু ইউক্রেন এ ঘোষণায় সন্তুষ্ট নয়। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেনকো বলেছেন, জি-২০ জোটের দিল্লি সম্মেলনে ‘গর্ব করার মতো কিছু নেই’। তিনি বিশেষভাবে ঘোষণার একটি অংশ তুলে ধরেন, যেখানে ‘ইউক্রেনের যুদ্ধ’ বলা হয়েছে। আসলে কিয়েভ একে ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ বলতে পছন্দ করে। অধিকাংশ আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকের মতে, সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অংশ না নিয়ে প্রতিনিধি পাঠানোয় জি-২০ সম্মেলন ২০২৩-এর জৌলুস সামান্য ম্লান হলেও ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়া গতবারের সম্মেলনের চেয়ে এবারের সম্মেলন সফলই বলা যায়। কারণ, সভাপতি হিসেবে ভারত যা করেছে, তা গতবার ইন্দোনেশিয়া পারেনি। এবার জোটের নেতারা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন এবং সম্মেলন থেকে এসেছে যৌথ ঘোষণা। নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার একে ভারতের বিরাট কূটনীতিক বিজয় হিসেবেই দেখছে। মোদি সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলের দাবি, গত কয়েক বছরে নিজেকে গ্লোবাল সাউথভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর কণ্ঠস্বর হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে ভারত। তাই জি-২০-এর দিল্লি সম্মেলনকে দেখা হচ্ছে তাদের এ আওয়াজ আরো বড় অঙ্গনে তুলে ধরার সুযোগ হিসেবে। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে সফল এ শীর্ষ সম্মেলন বিশ্বে নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তিকে শক্তিশালী করবে বলে আশা করছে তারা। খবরে প্রকাশ, জি-২০ এর দিল্লি সম্মেলনেও পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানানোর পক্ষে ছিল। কিন্তু রাশিয়া-চীন তা মানতে রাজি ছিল না। ভারতও এ যুদ্ধে কারও পক্ষই নেয়নি। ফলে তারা এমন একটা অবস্থান নিতে চাইছিল, যাতে সর্বসম্মতভাবে বিষয়টি নিয়ে এগোনো যায়। আর এটাই ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কূটনীতিকদের জন্য পরীক্ষা ও চ্যালেঞ্জ। শেষ পর্যন্ত ভারত সেই পরীক্ষায় সফল হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর জানান, রাশিয়ার মিত্র চীনও ডিক্লারেশনের বিষয়গুলো নিয়ে ইতিবাচক ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আলোচনায় সবারই ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ছিল; কিন্তু আমরা সবাই একটি সাধারণ ক্ষেত্র খুঁজে পেয়েছি। জি-২০ সামিটের সবচেয়ে জটিল বিষয় ছিল ভূরাজনৈতিক বিষয়গুলোতে সবাইকে ঐক্যমতে নিয়ে আসা; বিষেশত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়টি যখন সর্বাপেক্ষা প্রাধান্য পেয়েছিল। ২০০ ঘণ্টা একটানা আলোচনা, ৩০০টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং ১৫টি খসড়া তৈরি করতে হয়েছে দিল্লির জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে। দিল্লির এ রাজসূয় যজ্ঞের নেপথ্য কারিগর ছিলেন মোদির দূত জি-২০ শেরপা অমিতাভ কান্ত। চিন-রাশিয়া-আমেরিকাকে এক টেবিলে আনতে নাওয়া-খাওয়া ভুলে গিয়েছিলেন তিনি। দিল্লির এ কূটনীতিক জায়ান্ট বলেছেন, জি-২০-এর ইতিহাসে সব থেকে উচ্চাভিলাষী সভাপতিত্ব করল ভারত। তিনি বলেন, জি-২০-এর ইতিহাসে কোনো ঘোষণাপত্রে কখনও ১০০ শতাংশ ঐক্যমত তৈরি হয়নি। ভারতের সভাপতিত্বে ঐতিহাসিক সব সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে নেয়া হয়েছে এবারের জি-২০ সম্মেলনে। দিল্লি জি-২০-এর ঘোষণাপত্র ৮৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে জানিয়ে অমিতাভ বলেন, প্রতিটি অনুচ্ছেদের ক্ষেত্রে সব ক’টি সদস্য ১০০ শতাংশ ঐক্যমত প্রকাশ করেছে। এ ঘোষণায় ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’-এর বদলে ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এতেই জট খুলেছে। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলন শেষ হতে না হতেই শুরু হয়েছে সম্মেলনের সফলতা ও ব্যর্থতার চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ। যে যাই বলুক, আমাদের অভিমত হচ্ছে, যে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে শুধুই সাফল্য বা শুধুই ব্যর্থতা থাকে না; অর্থাৎ সম্মেলন ‘অশ্বডিম্ব প্রসব করিল’ এ কথাটা বলাও অনুচিত। আবার এ সম্মেলনে সব বিশ্ব সংকটের নিরসন হয়ে গেল, এ কথা বলাও নাবালকসুলভ অতি সরলীকরণ। বর্তমান বিশ্ব জর্জরিত হয়ে আছে নানা সমস্যায়। একদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্বের উষ্ণতা, অর্থনৈতিক অস্থিরতা, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বৃহৎ অর্থনীতির দেশে সম্প্রতি বড় সব ব্যাংকের দেউলিয়া হওয়ার মতো বিষয়গুলো বিশ্ব অর্থনীতিকে ভাবার মতো অনেকগুলো নিয়ামক এনে দিয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে চলমান মুদ্রাস্ফীতি, ওপেক প্লাসভুক্ত সৌদি ও রাশিয়ার কম তেল উত্তোলনের সিদ্ধান্ত, একচ্ছত্র ডলারের আধিপত্য থেকে বেরিয়ে আসার সংগ্রাম, ব্রিকসের মতো ব্যতিক্রমী জোটের উত্থান, নিজস্ব মুদ্রায় আমদানি-রপ্তানির পরিকল্পনা, চীন-তাইওয়ান উত্তেজনাসহ অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী। এমন সংকটকালে বিশ্ব নেতারা পারস্পরিক শ্রদ্ধাশীল ও সহমর্মিতার মনোভাব নিয়ে কতটুকু ছাড় দিতে প্রস্তুত, তার ওপর নির্ভর করছে জি-২০ সম্মেলনের সফলতা ও ব্যর্থতা। ইউক্রেন যুদ্ধের মতো এক-একটি জটিল ইস্যুতে আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্ব বনাম রাশিয়া যে সহনশীল মনোভাব দেখিয়েছে, তা বিশ্বের অন্যান্য সমস্যার ক্ষেত্রে উদাহরণ হয়ে থাকবে। এমতাবস্থায় জি-২০ সম্মেলন টেবিল আলোচনায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দের নিছক ঘরোয়া সভা হিসেবেই অস্তিত্ব রাখবে নাকি চলমান অস্থির প্রেক্ষাপটে কোনো সুনির্দিষ্ট ইতিবাচক ইঙ্গিত ও সুফলতা বয়ে আনবে বিশ্ববাসীর জন্য, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
লেখক : কলামিস্ট ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক