জাপানে বয়স নিয়ে দুশ্চিন্তা

হুমাইদুল্লাহ তাকরিম

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

জাপানের ১০ শতাংশ নাগরিকের বয়স ৮০ বছর। রোববার স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় প্রবীণদের এ হিসাব প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রবীণদের সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজার বেড়েছে। গতকাল জাপানে প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন দিবস পালন করা হয়েছে। প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সোমবার জাপানে দিনটি পালন করা হয়। জাপানের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী পুনরুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন প্রবীণরা। তাদের অবদানকে সম্মান জানাতে বছরের এ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর প্রবীণদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের দিবস পালনের আগে জাপান সরকার প্রবীণদের এ তালিকা প্রকাশ করেছে।

জাপানে কোনো নাগরিকের বয়স ৬৫ বা এর বেশি বয়স হলে তাদের প্রবীণ হিসেবে গণ্য করা হয়। এ বয়সে মানুষ আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর জীবনে প্রবেশ করেন এবং পেনশন পেতে শুরু করেন। সর্বশেষ হিসেবে এ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩ কোটি ৬২ লাখ ৩০ হাজার। দেশটির মোট জনসংখ্যা ১২ কোটি ৪৬ লাখ। সে হিসেবে জাপানে ৬৫ বছরের বেশি মানুষ রয়েছেন ২৯ দশমিক ১ শতাংশ।

৬৫ বছরের বেশি নাগরিকের দেশের তালিকায় জাপান শীর্ষে। এরপর ইতালি ও ফিনল্যান্ড। সেখানে ২৪ দশমিক ৫ ও ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষের বয়স ৬৫ বা তার বেশি। অবস্থানগত দিক থেকে জাপানের কাছাকাছি হলেও সংখ্যাগত হিসেবে অনেক পার্থক্য। জাপানে প্রবীণ জনসংখ্যা সমস্যা যে অনেক গভীর, এ হিসাব তা সহজেই তুলে ধরে। কীভাবে এ সমস্যার সমাধান করা যায়, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই জাপানের নীতিনির্ধারক ও সমাজবিজ্ঞানের গবেষকেরা চিন্তা-ভাবনা করে আসছেন। সাময়িক সমাধান হিসেবে বেশ কয়েক বছর আগে অবসরের সর্বনিম্ন বয়স বাড়ানো হয়।

এর আগে জাপানে অবসর গ্রহণের বয়স ছিল ৬০ বছর। বর্তমানে তা বাড়িয়ে ৬৫ বছর করা হলেও এটি বাধ্যতামূলক নয়। অর্থাৎ মানুষ চাইলে এখনও ৬০ বছর বয়সে অবসরে যেতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হলো পেনশন পাওয়ার সর্বনিম্ন বয়স। ৬৫ বছরের আগে কেউ অবসরে গেলে তারা বেতন পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকছেন। এ কারণে তাদের অন্য কোনো পেশায় নিয়োজিত হতে হয়। বয়স ৬৫ বছর পার হয়ে গেলেও সে রকম কাজ তারা চাইলে অব্যাহত রাখতে পারেন।

সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২২ সালে জাপানে ৬৫ বা বেশি বয়সী ২৫ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ কর্মরত ছিলেন।