বেশি খেলাপি ঋণ যেসব ব্যাংকের

প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত বিশ্ব ডেস্ক

ব্যাংক খাতে খেলাপিঋণের পরিমাণ চলতি বছরের জুনে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ব্যাংকগুলোর অস্বাভাবিক হারে খেলাপিঋণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন খেলাপিঋণ বাড়ছে, তা নির্ধারণে বিশেষ তদারকি জরুরি বলেও মনে করছে সংস্থাটি। গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, তিন মাসের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে ১০টি ব্যাংকের খেলাপিঋণ। এর মধ্যে সবার ওপরে আছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। মার্চ থেকে জুন সময়ে ব্যাংকটিতে ১৩ হাজার ৬৫৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা খেলাপিঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে। খেলাপি বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এবি ব্যাংক। আলোচ্য ৩ মাসে ১ হাজার ৮৮৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা খেলাপি বেড়েছে ব্যাংকটিতে। ১ হাজার ৬১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বেড়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে আছে ন্যাশনাল ব্যাংক।

এরপর ক্রমান্বয়ে অগ্রণী ব্যাংকের ১ হাজার ৫৫১ কোটি ৯৫ লাখ, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ১ হাজার ১২ কোটি ৭৯ লাখ, বেসিক ব্যাংকের ৫৫০ কোটি ১৭ লাখ, ওয়ান ব্যাংকের ৫৪৭ কোটি ৯৯ লাখ, আইএফআইসি ব্যাংকের ৪৭২ কোটি ২ লাখ, সাউথইস্ট ব্যাংকের ৪৬৩ কোটি ৩৩ লাখ, রূপালী ব্যাংকের ৪৫৩ কোটি ৫৭ লাখ, এনসিসি ব্যাংকের ৪৩৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা খেলাপিঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে। অন্যদিকে ১০টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ মোট খেলাপির দুই-তৃতীয়াংশ। অর্থাৎ ১ লাখ কোটি টাকার বেশি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, গত জুন শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬টি ব্যাংকের খেলাপিঋণ দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা বা মোট খেলাপির ২৫ দশমিক ০১ শতাংশ। মার্চ শেষে যা ছিল ৫৭ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৩ মাসে এই ছয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৬ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ৩ মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের মধ্যে পাঁচটিতেই খেলাপিঋণ বেড়েছে। এর মধ্যে শীর্ষ খেলাপি ব্যাংকের তালিকায়ও রয়েছে এ পাঁচটি ব্যাংক। গত জুন শেষে জনতা ব্যাংকে খেলাপিঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা; যা বিতরণকৃত মোট ঋণের ৩২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এরপর অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপিঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৪৯৫ কোটি বা মোট ঋণের ২৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ ছাড়া বেসিক ব্যাংকের ৮ হাজার ২৫ কোটি বা ৬২.৬৬ শতাংশে পৌঁছেছে। জুন শেষে রূপালী ব্যাংকের ৮ হাজার ৩৯ কোটি বা মোট ঋণের ১৯.০৬ শতাংশ এবং সোনালীর মোট খেলাপিঋণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা বা ১৪.৯৩ শতাংশ।