ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে কোন দেশ কার পক্ষে?

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর (শনিবার) ইসরাইলের ভেতরে নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় পাল্টা হামলা শুরু করেছে। এতে দুটি ভূখণ্ডে গত কয়েক দশকের চলমান উত্তেজনা পুনরায় রূপ নিয়েছে যুদ্ধে। যা বিশ্বকে কার্যত দুটি শিবিরে ভাগ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশ তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছে। কেউ সরাসরি ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে, আবার কেউ ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলছে। আবার কারো বক্তব্যে ফুটে উঠেছে নিরপেক্ষ অবস্থানের কথা। বিভিন্ন দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধানের কাছ থেকে যেসব বক্তব্য-বিবৃতি এসেছে, সেগুলোর ভিত্তিতে লিখেছেন- মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ
ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে কোন দেশ কার পক্ষে?

যুক্তরাষ্ট্র : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলের প্রতি তাদের দৃঢ় ও অটুট সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। শনিবার হামলার পরপরই মি. বাইডেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে ইসরাইলের প্রতি তাদের এ প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করেন। ইসরাইলের সমর্থনে বিমান বহনকারী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ও মিসাইল ক্রুজার যুদ্ধবিমান ও চারটি মিসাইল বিধ্বংসী যান ইসরাইলের কাছে ভূমধ্যসাগরে পাঠানো হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে ইসরাইলকে আরও অস্ত্র সহায়তা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস মঙ্গলবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীকে তাদের আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য নতুন গোলাবারুদ সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। ইসরাইলের পাল্টা হামলার বিষয়ে হোয়াইট হাউজে মি. বাইডেন বলেন, ইসরাইলের নিজেদের রক্ষা করার অধিকার আছে, এটাই শেষ কথা। তিনি জোরালোভাবে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পাশে দাঁড়াবে এবং যা কিছু প্রয়োজন, তা দেবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বৃহস্পতিবার ইসরাইলে যান। মি. ব্লিঙ্কেনের পরিষ্কার বার্তা হলো, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে রয়েছে। সেটা আজ, আগামীকাল এবং ভবিষ্যতেও। তবে মি. ব্লিঙ্কেন কোনো যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাননি; বরং তিনি হামাসের বিরুদ্ধে জোরদার এবং দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন।

ইরান : ইসরাইলে হামাসের হামলার পর ইরানের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ফিলিস্তিনের ওই সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। তবে এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে ইরান। শনিবারের হামলার পর ইরানের টেলিভিশনে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি বলেছেন, এ বিপর্যয়ের জন্য ইহুদিবাদী শাসকদের নিজস্ব কর্মকাণ্ড দায়ী। রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন অনুসারে তিনি বলেছেন, যারা ইহুদিবাদী শাসকদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছে, আমরা তাদের হাতে চুম্বন করি। এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাম্প্রতিক এ সহিংসতাকে বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকা অপরাধ আর হত্যার সমুচিত প্রতিক্রিয়া বলে আখ্যা দিয়ে টুইট করেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি টেলিভিশনে প্রচারিত এক বক্তব্যে এ ঘটনাকে ফিলিস্তিনি সেনা ও সব ফিলিস্তিনি দলের বিজয় হিসেবে উল্লেখ করেন।

চীন : ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের এ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে চীন নিজেদের নিরপেক্ষ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দেশটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে। দেশটি সরাসরি কোনো পক্ষ সমর্থনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি। তবে তারা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে শান্ত থাকতে এবং শিগগির যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানায়। মধ্যপ্রাচ্যে চীনের বিশেষ দূত ঝাই জুন এরই মধ্যে মিসরকে প্রস্তাব দিয়েছেন, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনের জন্য চীন মিসরের সঙ্গে সমন্বয় করে মধ্যস্থতা করতে চায়। ফিলিস্তিনে ক্রমশ অবনতি হতে থাকা নিরাপত্তা ও মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে মি. জুন বলেছেন, ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা অপরিহার্য।

সৌদি আরব : সৌদি আরবের অঘোষিত শাসক ক্রাউন প্রিন্স যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ফিলিস্তিনের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন থাকার কথা জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ফোনালাপে যুবরাজ মোহাম্মদ বলেন, তার দেশ ফিলিস্তিনি জনগণের একটি স্বাভাবিক জীবন যাপনের অধিকার রক্ষা, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য সব সময় তাদের পাশে থাকবে। মঙ্গলবার সরকারি সৌদি প্রেস এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে। তিনি মাহমুদ আব্বাসকে আরো বলেছেন, তিনি সংঘর্ষের বিস্তৃতি রোধ করতে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পক্ষের সঙ্গে কাজ করছেন। রিয়াদ ও তেল আবিবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য ইসরাইল, সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা চলছে, সেই প্রেক্ষাপটে এটি সৌদি আরবের ভিন্নমুখী অবস্থান। তাই ফিলিস্তিনিদের প্রতি সৌদি আরবের সমর্থনকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। হামাসের হামলার পর শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সৌদি আরব এ উত্তেজনার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করে। সৌদি আরব জানিয়েছে, এটি ফিলিস্তিনে অব্যাহত দখলদারিত্ব, সেখানকার মানুষদের বৈধ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা এবং এর তাদের ধর্মীয় অনুভূতির ওপর বারবার আঘাতের কারণে সেখানকার পরিস্থিতি বিস্ফোরণমুখী হয়ে উঠতে পারে, সে ব্যাপারে বারবার সতর্ক করা হয়েছে।

রাশিয়া : চীনের মতো প্রায় একই অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটি ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর জোর দিয়েছে। সেই সঙ্গে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছে। মধ্যপ্রাচ্যে এ সহিংসতার পেছনে মার্কিন নীতির ব্যর্থতাকে দুষছে মস্কো। রয়টার্সের খবর অনুযায়ী দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানির সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সহিংসতার যে বিস্ফোরণ দেখা যাচ্ছে, তা মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নীতির ব্যর্থতার উদাহরণ। মার্কিন নীতিতে ফিলিস্তিনিদের চাওয়া-পাওয়ার তোয়াক্কা করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের স্বার্থকে অর্থাৎ স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করছে। তার মতে, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রচেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে গিয়ে কার্যকরী সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে।

যুক্তরাজ্য : ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাজ্যের অবিচল সমর্থনের কথা জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। হামলার পরদিন মি. সুনাক ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে বলেছেন, ব্রিটেন দ্ব্যর্থহীনভাবে ইসরাইলের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং বিশ্ব যেন এক সুরে কথা বলে, সেজন্য কাজ করছে লন্ডন। এদিকে নটিংহ্যামশায়ারে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে মি. সুনাক ইসরাইলকে শক্তিশালী মিত্র হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, তিনি ইসরাইলকে সব ধরনের সমর্থন দিয়ে যাবেন। এদিকে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন জানাতে বুধবার দেশটিতে সফরে গিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব জেমস ক্লিভারলি। ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারের জন্য যুক্তরাজ্য সমর্থন দেবে বলে তিনি জানান। সোমবার সন্ধ্যায় লন্ডনে ইহুদিদের প্রার্থনালয় সিনাগগে মি. সুনাক তার বক্তব্যে বলেন, যারা হামাসকে সমর্থন করে, তারা এ ভয়াবহ হামলার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী। তারা যোদ্ধা নয়, সন্ত্রাসী।

তুরস্ক : গাজায় ইসরাইল যেভাবে বিমান হামলা চালাচ্ছে, সেটিকে গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। মি. এরদোয়ান বলেন, হামাস ইসরাইলে যে হামলা চালিয়েছে, সেটির জবাবে ইসরাইল মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করছে গাজায়। এর আগে মি. এরদোয়ান বলেছিলেন, ইসরাইলের সমর্থনে আমেরিকা যেভাবে বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে, সেটি গাজায় গণহত্যা উস্কে দেবে। এদিকে তুরস্ক সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতার আগ্রহ দেখিয়েছে। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি শান্ত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে তুরস্ক। উল্লেখ্য, ইসরাইল-ফিলিস্তিন বিরোধের মধ্যস্থতাকারী দেশের মধ্যে তুরস্ক অন্যতম।

উত্তর কোরিয়া : ফিলিস্তিনের গাজায় রক্তপাতের জন্য এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে বিরোধ ঘনীভূত করার পেছনে ইসরাইলকে ?দায়ী করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির দাবি, ইসরাইলের একের পর এক অপরাধমূলক পদক্ষেপের কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর সমাধানের একমাত্র উপায় হিসেবে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছে পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার সিনমুন পত্রিকায় ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির মুখপাত্র রোডং-এর বরাত দিয়ে রয়টার্স মঙ্গলবার এ খবর প্রকাশ করেছে।

ভারত : ইসরাইলের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হামলার দিন শনিবার নরেন্দ্র মোদি তার এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করেন, ইসরাইলে সন্ত্রাসী হামলার খবরে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। এ কঠিন সময়ে আমরা ইসরাইলের পক্ষে আছি। এদিকে মঙ্গলবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে মি. মোদি পুনরায় বলেন, এ কঠিন সময়ে ভারতবাসী দৃঢ়ভাবে ইসরাইলের পাশে রয়েছে। ভারতে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত নাওর গিলনও ইসরাইলের প্রতি ভারতের সমর্থনকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন। অথচ ভারত স্বাধীন হওয়ার আগে ও পরে ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরোধিতা করেছে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি সমর্থন জানিয়ে এসেছে। এ ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত যে সম্পূর্ণ আলাদা, সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ তারই ইঙ্গিত বহন করে।

বাংলাদেশ : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে গাজায় ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের ওপর যে বর্বরতা চালাচ্ছে ইসরাইল, তা বন্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক মহলকে বলব, এখনই উদ্যোগ নিন। এর আগে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে যুদ্ধবিরতি এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন উভয়কে সংযত হতে ও নিরীহ মানুষদের ক্ষতি এড়াতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাই। ইসরাইলি দখলদারিত্বের অধীনে বসবাস এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জোরপূর্বক বসতি স্থাপন এ অঞ্চলে শান্তি আনবে না। জাতিসংঘের ২৪২ এবং ৩৩৮ নম্বর প্রস্তাবনা অনুসরণ করে দখলমুক্ত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের পাশাপাশি অবস্থান এ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে পারে। উল্লেখ্য, ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ বলে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ শুরু থেকেই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করে এবং ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্ব নিরসনের কথা বলে আসছে।

অন্যান্য : হামাসের হামলার দ্ব্যর্থহীন নিন্দা করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইতালি এবং জার্মানির নেতারা। মূলত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে ফোনে কথোপকথনের পর এসব দেশের যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামাসের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই, কোনো বৈধতা নেই এবং অবশ্যই সর্বজনীনভাবে এ হামলার নিন্দা করা উচিত। ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘাত বাড়িয়ে তোলার জন্য এবং চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য এককভাবে ইসরাইলকে দোষারোপ করেছে কাতার এবং কুয়েত। সহিংসতার মারাত্মক পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে মিসর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত