হামাস-ইসরাইল সংঘাতের শেষ কোথায়

অধ্যাপক শাব্বির আহমদ

প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

দিন দিন ফিলিস্তিনে সামরিক ও বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর মিছিল এবং ধ্বংসযজ্ঞের পরিধি বিস্তৃত হচ্ছে। এরই মধ্যে ইসরাইলের নির্বিচারে বিমান হামলায় গাজা মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। বাদ যাচ্ছে না নিরাপদ আশ্রয়ের ভরসাস্থল হাসপাতালও। ইসরাইলি পদাতিক বাহিনী অবরোধ করে রেখেছে ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত ৩৬৫ বর্গমাইল আয়তনের গাজা উপত্যকাকে। খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ, ওষুধসহ যাবতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দখলদার ইসরাইল। গাজায় স্থল অভিযান শুরুর অংশ হিসেবে গত ১২ অক্টোবর ইসরাইল গাজার উত্তর ও মধ্য অঞ্চলের বাসিন্দাদের তাদের বাড়িঘর খালি করার জন্য একটি সামরিক আদেশ জারি করেছে। আতঙ্কিত অনেক ফিলিস্তিনি গাজার দক্ষিণ দিকে আশ্রয় নিতে বাধ্য হলেও হামাসের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেকেই বাড়িঘর ত্যাগ করেনি। এ আদেশ ইসরাইলের উত্তর গাজা দখলের পরিকল্পনা মনে করছেন ফিলিস্তিনিরা। ইসরাইলের জোরপূর্বক এ বাস্তুচ্যুত পদক্ষেপকে দুঃসহ বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘ। পাশাপাশি এর বিপর্যয়কর পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করেছে। এদিকে হামাসও বসে নেই। ইসরাইলের স্থল অভিযান মোকাবিলার সর্বাত্মক প্রস্তুতির পাশাপাশি প্রতিদিন ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে রকেট ছুঁড়ে ইসরাইলি বর্বরতার জবাব দিচ্ছে। সর্বশেষ তথ্যানুয়ায়ী ইসরাইলি হামলায় ৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত, ৫ হাজার আহত হয়। নিহতদের মধ্যে ৮০০ শিশুসহ অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে দেড়হাজার ইসরাইলি নিহত এবং তিন হাজার আহত হয়। নিহতের মধ্যে তিন শতাধিক সেনাসদস্য। জিম্মি করা হয় সেনা ও বেসামরিক মিলে ৩০০ ইহুদি নাগরিককে। অভিযানের প্রথম দিনে ১২ ইসরাইলি নিহত হয়। তার মধ্যে সেনা সদস্যের সংখ্যা প্রায় ২৫৬ জন। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর গত ৭৫ বছরে এমন বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হয়নি দখলদার ইসরাইলকে। ইসরাইলি দৈনিক দ্য হারৎজে জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জার্মানির হিটলারের হলোকাস্টের পর একদিনে এত সংখ্যক ইহুদি জনগোষ্ঠী আর কখনো হত্যার শিকার হয়নি।

হামাসের দুঃসাহসিক অভিযানের পর ইসরাইলকে সুরক্ষা দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্রুততর ভূমধ্যসাগরের ইসরাইল উপকূলে বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করে আবারো প্রমাণ করল ‘ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে মূলত একটি মার্কিন কলোনি’ এ বহুল আলোচিত কথাটির সত্যতা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকরা ইসরাইল সফর করে দখলদার ইসরাইলের প্রতি নগ্ন সমর্থন দিয়ে ক্ষান্ত থাকেনি; যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব ও অবরুদ্ধ গাজায় জরুরি ত্রাণ সহায়তা পাঠাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও স্থায়ী পরিষদে আনীত একাধিক প্রস্তাবে ভেটো প্রদান শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসীকে বিস্ময়াপন্ন করে তুলেছে। উন্মোচিত হয়েছে মানবাধিকারের কথিত প্রবক্তাদের আসল চরিত্র। গাজায় ইসরাইলি বর্বরতায় ফুঁসে উঠেছে মুসলিম বিশ্ব। এমতাবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক শক্তির এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা দিনদিন বেড়েই চলছে। বিশেষ করে, ইরান হামাসের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন ও সর্বাত্মক সহযোগিতার ঘোষণা দিয়ে আটঘাট বেঁধে নেমে পড়েছে। ইরান সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ মিলিশিয়ারা গাজার হামলার প্রতিবাদে থেমে থেমে ইসরাইলের অভ্যন্তরে রকেট ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করছে। ইসরাইলও পাল্টা হামলা চালাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় হিজবুল্লাহ-ইসরাইল সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা দিনদিন প্রবল হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, হামাসের চেয়ে দশগুণ শক্তিশালী হিজবুল্লাহ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে পুরো মধ্যপ্রাচ্যের চিত্র পাল্টে যেতে পারে। ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি, প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি বারবার ইসরাইলের অস্তিত্ব মুছে ফেলার হুমকি দেয়ার পাশাপাশি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ান লেবাননের সশস্ত্র মিলিশিয়া গ্রুপের প্রধান হাসান নাসরুল্লাহসহ সৌদি আরব, কাতার, তুরস্ক, সিরিয়া, জর্দান সফর করে ইসরাইলের নৃশংসতার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

অনেক কূটকৌশল আর আন্তর্জাতিক রাজনীতির সমীকরণের ওপর ভিত্তি করে ব্রিটিশ-আমেরিকার প্রত্যক্ষ মদদে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ১৯৪৮ সালের ১৪ মে জন্ম নেয় মধ্যপ্রাচ্যের ক্যান্সার কিংবা বিষফোঁড়া নামে খ্যাত রহস্যঘেরা ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল। ২১ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের ক্ষুদ্র দেশটির জনসংখ্যা এক কোটি; যার মধ্যে ৮০ লাখ ইহুদি। বাকি বিশ লাখ আরব মুসলিম; যার ক্ষুদ্র একটি অংশ খ্রিষ্টান। এই বিশ লাখ জনগোষ্ঠীকে জায়নবাদী ইসরাইল দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বানিয়ে রেখেছে বছরের পর বছর। ইসরাইলের ভাষা হিব্রু আর আরবি। পরমাণু শক্তিধর চারদিকে শত্রুঘেরা ছোট্ট এ দেশটির পুরো সীমানা এন্টি প্লাস্টিক মিসাইল আয়রন ডোম দিয়ে সুরক্ষিত বলে গর্বের সঙ্গে দাবি করে ইসরাইলিরা। তাদের দাবি, শত্রুর যে কোনো মিসাইল আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম তাদের আয়রন ডোম। ইসরাইলের প্রতিটি নারী-পুরুষের সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক। ছেলেদের তিন, আর মেয়েদের দুই বছর লাগে। সর্বমোট ৬ লাখ নিয়মিত ও রিজার্ভ সৈন্য ছাড়াও শিশু ও বয়স্কদের বাদ দিয়ে মোট জনগোষ্ঠীর ৬০ শতাংশকে সৈনিক হিসেবে গণ্য করা হয়। বর্তমান বিশ্বে ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে সবচেয়ে বেশি সুপ্রশিক্ষিত, সাহসী ও দুর্র্ধর্ষ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ইসরাইলের রয়েছে মোসাদ নামে দুর্দা- প্রতাপশালী গোয়েন্দা সংস্থা। এর সদস্যদের ক্ষিপ্রতা ও দুঃসাহিকতা শত্রু-মিত্র উভয়ের কাছেই রূপকথার মতো। ভয়ানক যত সব কর্মকাণ্ডের জন্ম দিয়ে সব থেকে ভয়াবহ ও দুর্র্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে দুনিয়াব্যাপী সংস্থাটি বহুল আলোচিত-সমালোচিত। মোসাদের অতীতের ভয়ংকর কিছু অভিযান কল্পকাহিনীকেও হার মানায়। কিডন্যাপ ও গুপ্তহত্যায় এ সংস্থা বিশ্বে অদ্বিতীয়। নিজেদের নাগরিকদের রক্ষায় এবং শক্রকে নিজেদের কবজায় নিতে পৃথিবীর যে কোনো দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে অপারেশন চালাতেও তারা পিছপা হয়নি অতীতে। মোসাদের নারী সদস্যরা দেশের স্বার্থে যে কোনো কাজকে শুধু বৈধ মনে করে না, অহংকারও মনে করে। মোসাদের অনিন্দ্য সুন্দরী সদস্যরা প্রেমের ছলনায় আরব বিশ্বসহ বিভিন্ন দেশের রাজনীতিকদের কতই না সর্বনাশ ঘটিয়েছে! শুধু সামরিক নয়, ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক দিয়েও পৃথিবীর অন্যতম অর্থনৈতিক পরাশক্তি ইসরাইল। আইটি প্রযুক্তিতে আমেরিকার সিলিকন সিটির পর তেল আবিবের স্থান। গুগল, ফেসবুক, অ্যামাজন, ওইগ, মাইক্রোসফ্টের মতো বড় বড় কোম্পানির কার্যালয় তেল আবিবে।

এমতাবস্থায় ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ, শিন বেত এবং ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিরাপত্তা ফোর্স আইডিএফ-এর সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে ফাঁকি দিয়ে গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাসের সফল অভিযান দেখে তাবৎ বিশ্বের সামরিক, গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বিস্ময়াপন্ন। ইসরাইলের কথিত ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থার সক্ষমতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে খোদ ইসরাইলিদের মাঝে। স্মরণকালের ভয়াবহ হামলার শিকার দখলদার ইহুদিবাদি ইসরাইলকে ১৯৪৮ সালের পর এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি আর কখনো। এর আগে ইসরাইল ও হামাসের মাঝে হামলা-পাল্টা হামলা চলেছে এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ৭ অক্টোবর ২০২৩ হামাসের হামলার ধরন ও ব্যাপকতা দেখে ফিলিস্তিনের এ প্রতিরোধ আন্দোলনটি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। মিসর, জর্দান, সিরিয়া, ইরাক ও লেবানন মিলে সম্মিলিত আরব শক্তি যে কাজটি করতে পারেনি, হামাস একাই তা করে দেখিয়েছে। ফলে কৌতূহল ও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে সংগঠনটি।

‘হারাকাত আল মুকাওয়ামাআল ইসলামিয়া’ (ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন)-এর সংক্ষিপ্ত রূপ ‘হামাস’। হামাসের ‘ইজ্জেদিন আল কাসসাম’ ব্রিগেড নামে একটি সামরিক শাখা আছে। ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজা থেকে ইসরায়েলি দখলদারির অবসানের দাবিতে ‘ইন্তিফাদা’ বা ফিলিস্তিনি গণজাগরণ শুরুর পর ১৯৮৭ সালে হামাস গঠিত হয়। সংগঠনটি ইসরাইলকে ধ্বংস করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। তাদের চাওয়া হলো, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হবে বর্তমান ইসরাইল, গাজা ও পশ্চিম তীর নিয়ে গঠিত একক ইসলামি রাষ্ট্র। হামাস প্রাথমিকভাবে দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত হয়। প্রথমত এর সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল কাসসাম ব্রিগেডসের মাধ্যমে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। দ্বিতীয়ত ফিলিস্তিনে বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা। আধ্যাত্মিক নেতা শেখ আহমদ ইয়াসিনের নেতৃত্বে আবদুল আজিজ আল রান্তিসি ও মাহমুদ জহর হামাস প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৪ সালের মার্চে গাজায় ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন আহমদ ইয়াসিন। পরের মাসেই নিহত হন আজিজ আল রান্তিসি। সংগঠনটির বর্তমান প্রধান খালেদ মিশাল। ইসরাইলবিরোধী কট্টর অবস্থান, ইসরাইলে রকেট হামলা চালানোর দীর্ঘ ইতিহাস ও এ অবস্থান থেকে সরে না আসার দৃঢ় ঘোষণার কারণে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে কোনো কোনো দেশ। এ তালিকায় রয়েছে ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান এবং ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ২০০৫ সালে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হওয়ার পরের বছরই ফিলিস্তিনি আইন পরিষদ প্যালেস্টিনিয়ান লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের (পিএলসি) নির্বাচনে জয়ী হয় হামাস। এরপর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহর সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ২০০৭ সালের জুনে গাজায় হামাস ও ফাতাহর মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই বেধে যায়। এ সময় ফাতাহকে হটিয়ে হামাস গাজায় সরকার গঠন করে। চুক্তির মাধ্যমে ফাতাহ ইসরাইল রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দেয় এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ নম্বর প্রস্তাবনার পক্ষে সম্মতি জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয় হামাস। এখনও গাজার শাসন ক্ষমতায় হামাস। অন্যদিকে পশ্চিম তীরের শাসন ক্ষমতা ফাতাহর হাতে। চতুর্দিকে ইসরাইল; রাফাহ করিডোর দিয়ে সংক্ষিপ্ত একটি প্রবেশ পথ রয়েছে গাজা উপত্যকার। এক সময় মিসর হামাসকে সমর্থন দিলেও মুসলিম ব্রাদারহুডের পতনের পর প্রায় নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে এ সংগঠনটি। পরে ইরানই হয়ে ওঠে একমাত্র সামরিক সহায়তাকারী। তবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদবিরোধী সুন্নি বিদ্রোহীদের সমর্থন করায় হামাসের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় ইরান। তখন কাতার আর তুরস্কই হয়ে ওঠে হামাসের ভরসা। পরে আবার ইরানের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে সংগঠনটির। ইরানের সহায়তায় হামাস নিজেরাই রকেট-ক্ষেপণাস্ত্রসহ সব ধরনের অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম। কাতার-তুরস্ক থেকে এখনো অর্থ সহায়তা পায় বলে মনে করা হয়।

লেখক : কলামিস্ট ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক