আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঋণখেলাপিদের অংশগ্রহণ ঠেকাতে সক্রিয় থাকবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় ঋণখেলাপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টপ্রতিষ্ঠান আপত্তি জানাবে। এ কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ খেলাপি প্রার্থীর তথ্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তুলে ধরবেন। এ বিষয়ে এরই মধ্যে ব্যাংকগুলো প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করেছে। এতে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপস্থিত থাকার জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। সব বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের কাছে ওই সার্কুলারটি পাঠানো হয়েছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনো ঋণখেলাপি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগের দিন হলেও খেলাপি ঋণ নবায়ন বা পরিশোধ করতে হবে। সে হিসেবে গত ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত যেসব ঋণখেলাপি নবায়ন বা পরিশোধ করেছেন, তারাই শুধু প্রার্থী হতে পারবেন। অন্য ঋণখেলাপিরা প্রার্থী হতে পারবেন না। সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তারা বিভিন্ন দল ও জোটের ঘোষিত প্রার্থী তালিকা সংগ্রহ করেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম নিয়ে আগেই তাদের ঋণখেলাপির তথ্য হালনাগাদ করেছে।
আঞ্চলিকভাবে যারা খেলাপি, তাদের ব্যাপারে আপত্তি জানাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যাংক বা ফাইন্যান্স কোম্পানির শাখা। নির্বাচনি এলাকার বাইরের যেসব ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখায় সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর খেলাপি ঋণ রয়েছে, তাদের ব্যাপারে আপত্তি জানানো হবে প্রধান কার্যালয় থেকে। এ বিষয়ে প্রধান কার্যালয় প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত প্রার্থীর নির্বাচনি এলাকার শাখা কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেবে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছেও পাঠাবে।