পর্যটনশিল্পে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন দেশটির শাসকরা। এবার ধর্মীয় পর্যটনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সাগরতলে মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। ৫ কোটি ৫০ লাখ আমিরাতি দিরহাম ব্যয়ে দুবাইয়ের সমুদ্র উপকূলে এ মসজিদ নির্মিত হবে; যা বাংলাদেশি টাকায় ১৬৪ কোটির বেশি। গত কয়েকদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দেয়া হয়। মসজিদটির নির্মাণকাজ এখনও শুরু হয়নি। শিগগিরই মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হতে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৪ সালের মধ্যেই মসজিদটি উদ্বোধন করা সম্ভব হবে। নির্মাণ সম্পন্ন হলে বিশ্বে এটিই হবে সাগরতলে নির্মিত প্রথম মসজিদ।
কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা নকশা অনুযায়ী মসজিদটির অর্ধেক থাকবে পানির নিচে। পানির ওপরে থাকা বাকি অর্ধেকে থাকবে বসার জায়গা ও কফিশপ। থাকছে কোরআন প্রদর্শনী কেন্দ্রও। আমিরাতের মসজিদটি হবে তিনতলা। পানির নিচে থাকা অংশটি ব্যবহৃত হবে নামাজের স্থান হিসেবে। এতে ৫০ থেকে ৭০ জন মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। সেখানে থাকবে অজু করার ব্যবস্থাও। দ্বিতীয় তলায় থাকবে অত্যাধুনিক মিলনায়তন। ধর্মীয় পর্যটন প্রকল্পের অধীনে এ মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানায় আমিরাতের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাকটিভিটিজ ডিপার্টমেন্ট (আইএসিএডি)।
এ দপ্তরের কর্মকর্তা আহমদ আল মানসুরি বলেন, ‘শিগগিরই মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হবে।’ এ কর্মকর্তা বলেন, ‘সব ধর্মের মানুষই মসজিদটি পরিদর্শন করতে পারবেন। তবে পরিদর্শনকারীদের মার্জিত পোশাক পরে যেতে হবে।’ আমিরাতের ঘোষিত দুবাই কৌশল-২০২৫-এ ওই বছরের মধ্যে দুবাইকে বিশ্বের সর্বাধিক পর্যটকের শহরে উন্নীত করার পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উদ্ভাবনী ও দৃষ্টিনন্দন সব স্থাপনার মাধ্যমে বৈশ্বিক পর্যটনশিল্পে নিজেদের অবস্থান জোরদারের চেষ্টা করছে আমিরাত। দেশটির কর্মকর্তাদের আশা, এটি সাংস্কৃতিক সংহতি ও পারস্পরিক বোঝাপড়াকে আরো উৎসাহিত করবে।