শায়খ ড. ইবরাহিম মুহাম্মদ : ২০২৩ সালের ৮ এপ্রিল মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালী আলেম শায়খ ড. ইবরাহিম মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল খাওলি ৯৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তিনি আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ১৯২৯ সালের ১৭ মে মিসরের গারবিয়া প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে তিনি বালাগাত ও নাকদ শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি নেন। ১৯৮০ সালে সৌদি আরবের কিং আবদুল আজিজ ইউনিভার্সিটি এবং ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি ইসলামাবাদে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন।
শায়খ আবদুল্লাহ কামিল : গত ২৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শায়খ আবদুল্লাহ আহমদ কামিল মাত্র ৩৮ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। সুরেলা কণ্ঠে কোরআন পাঠের জন্য সবার কাছে পরিচিত ছিলেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এ হাফেজ। তিনি ১৯৮৫ সালে মিসরের আল ফাইউম প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রেইল পদ্ধতিতে পুরো কোরআন হিফজ করে ২০০৫ সালে দারুল উলুম কলেজ থেকে স্নাতক করেন। ২০১৫ সালে তিনি টিভি প্রতিযোগিতায় প্রথম হন। কর্মজীবনে তিনি কুয়েত, সৌদি আরব, যক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে ইমাম ছিলেন। সর্বশেষ তিনি ব্রুকলিনের মুসলিম কমিউনিটি সেন্টারে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মাওলানা মুহাম্মদ রাবে হাসানি : গত ১৩ এপ্রিল ভারতের লখনৌর দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামার প্রধান মাওলানা মুহাম্মদ রাবে হাসানি নদভি ৯৪ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তিনি অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড (এআইএমপিএলবি)-এর সভাপতি ছিলেন। ১৯২৯ সালের ১ অক্টোবর উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলিতে তার জন্ম। তিনি দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামায় পড়াশোনা করেন। তার মামা আল্লামা আবুল হাসান আলী নদবি (রহ.)-এর ইন্তেকালের পর থেকে তিনি দারুল উলুমের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালে তিনি আরবি ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ভারতীয় কাউন্সিল উত্তর প্রদেশ ও রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি রিয়াদভিত্তিক রাবেতা আল আদব আল ইসলামির সহ-সভাপতি ও যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজের অন্যতম সদস্য ছিলেন।
শায়খ মুহাম্মদ তাহির আয়াত : গত ১৪ জুন আলজেরিয়ার প্রভাবশালী আলেম শায়খ মুহাম্মদ আত তাহির আয়াত আলজাত ১০৬ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তিনি ফরাসি উপনিবেশবিরোধী বিপ্লবের অন্যতম নেতা এবং আজীবন আলজেরিয়ান ফতোয়া কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯১৭ সালে আলজেরিয়ার বেজাইয়া প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে পড়াশোনার পাশাপাশি ফরাসি উপনিবেশবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৫৭ সালে মাতৃভূমির স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন গড়তে লিবিয়ার ত্রিপোলিতে যান। ১৯৬২ সালে আলজেরিয়া স্বাধীন হওয়ার পর নিজ দেশে ফিরে আসেন। তিনি আজীবন ইসলাম প্রচার, মালেকি ফিকহ চর্চায় নিমগ্ন ছিলেন।
শায়খ মুস্তফা আস সাইরাফি : এ বছরের ২৬ আগস্ট সিরিয়ার প্রভাবশালী আলেম ও দাঈ শায়খ মুস্তফা আস সাইরাফি ইন্তেকাল করেন। তিনি দোহাভিত্তিক মুসলিম সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্সের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইসলামের নানা বিষয়ে তার বক্তব্য শুনে মুগ্ধ হতো নানা শ্রেণির মানুষ। তিনি ১৯৩০ সালে সিরিয়ার হামা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন। ইসলামি শরিয়া, সাহিত্য ও দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার গভীর পাণ্ডিত্য ছিল।
শায়খ তাজুদ্দিন আল হেলালি : গত ৫ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ তাজুদ্দিন হামিদ আল হেলালি ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘ ৩১ বছর নিউ সাউথ ওয়েলসের বিখ্যাত লাকেমবা মসজিদের ইমাম ছিলেন। ১৯৪০ সালে মিসরের সাওহাজে তার জন্ম। আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে শরিয়া বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে ইমামতি ও শিক্ষকতা করেন। ১৯৮২ সালে তিনি লাকেমবা মসজিদের ইমাম হন। ১৯৮৮ সালে তাকে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের গ্র্যান্ড মুফতি নিযুক্ত করা হয়। সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখায় ২০০৫ সালে তাকে বর্ষসেরা মুসলিম ব্যক্তিত্ব হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে তিনি লাকেমবা মসজিদ থেকে অব্যাহতি নেন।
শায়খ লুতফি দুগান : গত ৪ নভেম্বর তুরস্কের সাবেক ধর্মবিষয়ক প্রধান শায়খ লুতফি দুগান ৯৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। লুতফি দুগান ১৯৩০ সালে তুরস্কের গুমুশানে প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৮ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ধর্মবিষয়ক অধিদপ্তরের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজমুদ্দিন এরবেকানের আহ্বানে তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মাওলানা সাইয়েদ শাহেদ আল হাসানি : গত ৬ অক্টোবর ভারতের প্রাচীন মাদ্রাসা মাজাহিরুল উলুম সাহারানপুরের মহাপরিচালক মাওলানা সাইয়েদ শাহেদ আল হাসানি ইন্তেকাল করেন। তিনি ছিলেন শায়খুল হাদিস মাওলানা জাকারিয়া কান্ধলভি (রহ.)-এর নাতি ও মাওলানা ইনামুল হাসান (রহ.)-এর জামাতা। সাইয়েদ শাহেদ আল হাসানি (রহ.) ১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মাজাহিরুল উলুম মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে সেখানে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৯৩ সাল থেকে তিনি মাদ্রাসাটির ‘আমিন আম’ (মহাপরিচালক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন অনন্য যোগ্যতার অধিকারী নিভৃতচারী একজন আলেম। মাজাহিরুল উলুম মাদ্রাসার উন্নতি ও অগ্রগতি এবং দ্বীনি ইলম বিস্তারে গ্রন্থ রচনা ও গবেষণায় তিনি সারা জীবন অতিবাহিত করেন। ভারতের বৃহত্তম মুসলিম সংস্থা অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন।
মাওলান এতহেরামুল হক থানভি : গত ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ আলেম মাওলানা এতহেরামুল হক থানভি ইন্তেকাল করেন। তিনি ছিলেন মাওলানা এহতেশামুল হক থানভি (রহ.)-এর বড় ছেলে। মাওলানা ইহতেশামুল হক থানভি (রহ.) হাকিমুল উম্মত খ্যাত মাওলানা আশরাফ আলী থানভি (রহ.)-এর ভাতিজা ও ছাত্র ছিলেন। তিনি জামিয়া এহতেশামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। কিছুদিনের জন্য পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পিটিআই করাচির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মাওলানা এতহেরামুল হক ১৯৪২ সালে জন্ম গ্রহণ করেন এবং ১৯৪৭ সালে বাবার সঙ্গে করাচিতে আসেন।
শায়খ আবদুল্লাহ বিন উমর বানামাহ : গত ২৭ জানুয়ারি সৌদি আরবের বিশিষ্ট ইসলামি দাঈ শায়খ আবদুল্লাহ বিন উমর বানামাহ ইন্তেকাল করেন। তিনি সৌদি আরবের বিভিন্ন মসজিদ ও প্রোগ্রামে ইসলামবিষয়ক আলোচনা করতেন। ৩০ বছর আগে দুর্ঘটনায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েও সব প্রতিবন্ধকতাকে ডিঙিয়ে ধৈর্য ও অবিচলতার প্রতীক ছিলেন তিনি। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে ধর্মীয় আলোচনার মাধ্যমে জায়গা করে নেন সবার মনে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শায়খ আবদুল্লাহর মৃত্যু-পূর্ব উপদেশ নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তরুণদের উপদেশ দিয়ে ভিডিওতে তিনি সবাইকে নামাজ আদায়, বাবা-মায়ের আনুগত্য ও আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রেখে তওবার মাধ্যমে পাপমুক্ত জীবন গড়ার আহ্বান জানান। তা ছাড়া আল্লাহর কাছে রমজান পর্যন্ত তার জীবন দীর্ঘ হওয়ার দোয়া করেন। শায়খ আবদুল্লাহ বিন উমর বানামাহ ১৯৭৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই কারাতে ও কুংফুর প্রতি বিশেষ অনুরাগ ছিল তার। ১৯৯৩ সালে একদিন উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় তিনি গুরুতর আহত হন। সাঁতার কাটতে পুলে লাফ দেওয়ার সময় তার মাথায় আঘাত লেগে ঘাড় ভেঙে যায় এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এরপর তার পুরো শরীর অবশ হয়ে যায়। এ দুর্ঘটনার পর থেকে পুরো জীবন তিনি মানুষের মধ্যে ইসলাম প্রচারে কাজ করে যান।
শায়খ আবদুল বাকি আল হুসাইনি : গত ১৫ জুলাই তুরস্কের নকশবন্দি তরিকার শায়খ আবদুল বাকি আল হুসাইনি ইন্তেকাল করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার জানাজার ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে বিস্তীর্ণ স্থানজুড়ে বিপুল পরিমাণ মানুষকে জানাজার নামাজে অংশ নিতে দেখা যায়। শায়খ আল হুসাইনি ১৯৪৯ সালের ১ মে তুরস্কের আদিয়ামান শহরের মানজিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৩ সালে তার পিতার মৃত্যুর পর থেকে তিনি জামাতে মানজিলের মুরশিদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শায়খ মুহাম্মদ রাশিদ আওরালের মাধ্যমে নকশবন্দি মানজিল জামাত প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের আদিয়ামান মানজিল গ্রামের দিকে সম্পৃক্ত করে এর নামকরণ করা হয়। ১৯৮০ সালের সামরিক বিপ্লবের পর দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে আধ্যাত্মিক দলটির কার্যক্রম বৃদ্ধি পায়। সামাজিক প্রভাব ও শিষ্যের সংখ্যার দিক থেকে মানজিল তুরস্কের বৃহত্তম আধ্যাত্মিক দলগুলোর অন্যতম।
ড. আলি আস সালুস : ইসলামি অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ শায়খ ড. আলি আস সালুস ইন্তেকাল করেন ৮৯ বছর বয়সে। তিনি আরববিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ফিন্যান্স ও অর্থনীতি বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। সর্বশেষ তিনি দীর্ঘ ৪৩ বছর কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ছিলেন। ড. আলি বিন আহমদ আলি আস সালুস ১৯৩৪ সালে মিসরে জন্মগ্রহণ করেন। কায়রোর বিশ্বখ্যাত কুল্লিয়াতু দারুল উলুম থেকে ১৯৫৭ সালে লিস্যান্স ও ১৯৬৯ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শরিয়া বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এ সময় তিনি মিসরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এরপর কুয়েতের হাই স্টাডিজ ইনস্টিটিউটে কয়েক বছর শিক্ষকতা করেন। ১৯৮১ সাল থেকে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়া ফ্যাকাল্টিতে আমৃত্যু অধ্যাপনা করেন। এ সময় তিনি ফিকহ ও উসুলবিষয়ক শিক্ষক ছিলেন। তিনি ইসলামিক অর্গানাইজেশন অব কো-অপারেশন (ওআইসি)-এর ফিকহ বোর্ডের ফিকহ ও অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ও মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তা ছাড়া তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দি এসেম্বলি অব মুসলিম জুরিস্ট-এর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট, লন্ডনে অবস্থিত কাতার ইসলামিক সেন্টারের ট্রাস্টি, মিসরের শরিয়া কমিশন ফর রাইটস অ্যান্ড রিফর্মের প্রধান। ড. আলি আস সালুস ইসলামি ফিকহ, অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বিষয়ে বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেন।
মুফতি শহিদুল ইসলাম : ২০২৩ সালের ২৭ জানুয়ারি আল মারকাজুল ইসলামী (এএমআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বাংলাদেশের নড়াইল ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুফতি শহিদুল ইসলাম ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস, প্রেসারসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগেছেন। তার জানাজায় ইমামতি করেন ফিলিস্তিনের বায়তুল মুকাদ্দাসের ইমাম শায়খ আলী ওমর আল আব্বাসি। ১৫ মার্চ ১৯৬০ সালে ফরিদপুরের ঝিলটুলী এলাকায় তার জন্ম। পৈত্রিক নিবাস নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায়। পাকিস্তানের করাচি নিউটাউন মাদ্রাসা থেকে ১৯৮৮ সালে দাওরায়ে হাদিস ডিগ্রি অর্জনের পর ইফতা কোর্সসম্পন্ন করেন। ১৯৮৮ সালে মুফতি শহিদুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন আলেমের সমন্বয়ে গঠিত হয় আল মারকাজুল ইসলামী (এএমআই)। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময় মৃতদের দাফন ও সৎকার কার্যক্রম নিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল সংস্থাটি।