গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামাসের হামলায় সংস্থাটির কয়েকজন কর্মী জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন সময় ত্রাণ সংস্থাটির বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দেশগুলো, যখন গাজায় ত্রাণ সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। এদিকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৬৫ জন নিহত হয়েছেন।
গত রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। অবরুদ্ধ এ উপত্যকায় প্রায় চার মাস ধরে চলা রক্তপাত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যুদ্ধবিরতির জোর প্রচেষ্টা চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। জাতিসংঘ পরিচালিত ত্রাণসহায়তা সংস্থা ইউএনআরডব্লিউ-এর কয়েকজন কর্মী জড়িত ছিলেন বলে সম্প্রতি অভিযোগ করে ইসরায়েল। এরপর যুক্তরাষ্ট্রসহ একের পর এক পশ্চিমা দেশ সংস্থাটিকে অনুদান দেওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
ইউএনআরডব্লিউ-এর কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, গাজায় লড়াই বন্ধ হওয়ার পর ইউএনআরডব্লিউ-এর জায়গায় অন্য কোনো সংস্থাকে দায়িত্ব দিতে হবে।
১৯৪৮ সালের যুদ্ধের মধ্যদিয়ে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়। ওই যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ত্রাণসহায়তা প্রদানে ইউএনআরডব্লিউ-এ গঠিত হয়।
সংস্থাটি বর্তমানে গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকারী মূল সংগঠন। গাজায় এ সংস্থার ১৩ হাজারের মতো কর্মী রয়েছেন। সেখানকার ২৩ লাখ মানুষের দুই-তৃতীয়াংশকে ত্রাণসহায়তা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সংস্থাটি।