বাইরে থেকে দেখলে একে সুইডেনের আর ১০টা সাধারণ বাড়ির মতোই মনে হবে। আগে এটা ছিল বিদ্যালয় ভবন। এখন ব্যক্তিগত বাড়ি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এর চারপাশে আছে কৃষিজমি। লাল রংয়ের কাঠ দিয়ে তৈরি বাড়িটি বেশ বড়সড়। কিন্তু বাড়িটির নিচেই রয়েছে অতিথিশালার মতো একটি ভূগর্ভস্থ কক্ষ। সুইডেনের কোনোবার্গ কাউন্টির সামাল্যান্ডের লজংবি এলাকায় বাড়িটির অবস্থান। বাড়িটির ভূগর্ভস্থ কক্ষটিতে ঢুকতে হয় সিঁড়ি দিয়ে।
অনেকে একে মানুষ ‘লুকিয়ে থাকার গুহা’ বলে থাকেন। এটি তৈরিতে ১ দশমিক ২৫ মিটার পুরু কংক্রিটের কাঠামো ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া এতে কমলা রংয়ের ধাতব দরজা ও আলো-বাতাস ঢোকার বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এটি মূলত স্নায়ুযুদ্ধকালের ‘বাংকার’ হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
এ ভূগর্ভস্থ কক্ষে রয়েছে ৪৯০ বর্গমিটারের জায়গা। সেখানে দুটি তলা মিলে নিজস্ব রান্নাঘর, পানশালা, শোবার ঘর, পরিচ্ছন্ন হওয়ার স্থান, বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা, কার্বন ছাঁকার ভেন্টিলেশন সুবিধাও রয়েছে। এ কক্ষটি ৫০০ কেজি ওজনের বোমা হামলাও সহ্য করতে পারে। ইউক্রেনে রুশ বাহিনী হামলা শুরুর পর গত দুই বছরে সুইডিশদের মধ্যে ভীতি বেড়েছে। সামরিক জোট ন্যাটোর জোটভুক্ত হওয়ার পথে রয়েছে দেশটি। এখন রাশিয়ার হামলার ভয়ে এ ধরনের আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে আবার ঝুঁকছে তারা।