মুসলিম বিশ্ব পরিচিতি
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
পশ্চিম এশিয়ার দেশ ইরাক। এর উত্তরে তুরস্ক, পূর্বে ইরান, দক্ষিণ-পূর্বে কুয়েত, দক্ষিণে সৌদি আরব, দক্ষিণ-পশ্চিমে জর্দান এবং পশ্চিম সীমান্তে সিরিয়া অবস্থিত। পারস্য উপসাগরে ইরাকের ৫৯ কিলোমিটার উপকূল রয়েছে। প্রধান দুটি নদী হলো দজলা ও ফোরাত। এ নদী দুটির কারণে ইরাকের জমি অত্যন্ত উর্বর। দুই নদীর মধ্যবর্তী এলাকা মেসোপটেমিয়া নামে পরিচিত। সভ্যতার লালনভূমি বলা হয় এ অঞ্চলটিকে। মানুষের লিখতে-পড়তে শেখা, আইন তৈরি, সুসংগঠিত সরকারের নিয়ন্ত্রণে শহর প্রতিষ্ঠা ও বসবাস এ এলাকা থেকেই শুরু হয়।
এ অঞ্চলটি একসময় ‘উরুক’ নামে পরিচিত ছিল। ইরাক শব্দটি আসে উরুক থেকেই। এ এলাকায় সভ্যতার জন্ম হয় খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ সহস্রাব্দ থেকে। ইরাকে নতুন সীমান্ত নির্ধারণ হয় ১৯২০ সালে, তৎকালীন লিগ অব নেশন্স (বর্তমান জাতিসংঘ)-এর মাধ্যমে। ওসমানিয়া সাম্রাজ্য দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাওয়ার পর ওই সময় ইরাকের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ব্রিটেনের হাতে। ব্রিটেন থেকে দেশটি স্বাধীন হয় ১৯৩২ সালে। তখনও ইরাকে রাজতন্ত্র ছিল। ১৯৫৮ সালে রাজতন্ত্রের পতন ঘটে। প্রতিষ্ঠা হয় ইরাকি প্রজাতন্ত্র। ইরাকে বাথ পার্টির শাসন শুরু হয় ১৯৬৮ সালে। চলে ২০০৩ সাল পর্যন্ত। ওই সময় গণবিধ্বংসী অস্ত্রের ধোঁয়া তুলে ইরাকে অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতা থেকে বাথ পার্টির সেই সময়ের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে সরিয়ে দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ইরাক ছাড়ে ২০১১ সালে। যুক্তরাষ্ট্র ইরাক থেকে সরে গেলেও নানা জঙ্গিগোষ্ঠীর তৎপরতার কারণে দেশটি গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে বেরুতে পারেনি।
একনজরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
পুরো নাম : ইরাক প্রজাতন্ত্র
রাজধানী : বাগদাদ
রাষ্ট্রভাষা : আরবি, কুরদিশ
ধর্ম : ইসলাম
সরকারপদ্ধতি : কেন্দ্রীয় সংসদীয় গণতন্ত্র
প্রেসিডেন্ট : ফুয়াদ মাসুম
প্রধানমন্ত্রী : হায়দার আল আবাদি
আইনসভা : প্রতিনিধি পরিষদ
স্বাধীনতা লাভ : ৩ অক্টোবর ১৯৩২
আয়তন : ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭২ বর্গকিলোমিটার
জনসংখ্যা : ৩ কোটি ৮১ লাখ ৪৬ হাজার ২৫ জন
ঘনত্ব : প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৮২.৭ জন
জিডিপি : মোট ৬১২ বিলিয়ন ডলার
মাথাপিছু : ১৬ হাজার ৫৫১ ডলার
মুদ্রা : ইরাকি দিনার
জাতিসংঘে যোগ : ১৯৪৫ সাল