ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মুসলিম বিশ্ব পরিচিতি : আফগানিস্তান

মুসলিম বিশ্ব পরিচিতি : আফগানিস্তান

বিশাল পাহাড়ে ঘেরা এশিয়ার অস্থিতিশীল ও অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত একটি দেশ আফগানিস্তান। বছরের পর বছর ধরে চলা যুদ্ধ, সংঘাত ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় সামগ্রিকভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি। লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত। রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের পর নব্বই দশকে দেশটিতে কঠোর ইসলামি শাসনব্যবস্থা আরোপ করে তালেবান গোষ্ঠী। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানের মুখে ২০০১ সালে তারা ক্ষমতাচ্যুত হয়। ২০২১ সালে বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান ছেড়ে যায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট। ক্ষমতায় ফেরে রক্ষণশীল তালেবান। রক্ষণশীল গোষ্ঠীর সরকারকে এখনও অনেক দেশ স্বীকৃতি দেয়নি।

আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

রাষ্ট্রীয় নাম : ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান

রাজধানী : কাবুল

আয়তন : ৬ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৭ বর্গ কিলোমিটার

জনসংখ্যা : প্রায় ৩ কোটি ৮৩ লাখ

ভাষা : পশতু, দারি

গড় আয়ু : পুরুষদের ৬৩ বছর, নারীদের ৬৬ বছর

নেতৃত্ব : তালেবান নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা।

গণমাধ্যম : ২০২১ সালে আফগানিস্তানে ফের ইসলামিক শাসন ফিরে আসার পর দেশটির মিডিয়ার ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে আসছে তালেবান প্রশাসন। নিয়মকানুনে এদিক-সেদিক হওয়ার কারণে বন্ধ করে দেয়া হয় একাধিক সংবাদমাধ্যম। ২০০১ সালে পশ্চিমা বাহিনীর হাতে তালেবান সরকারের পতনের পর কয়েক টেলিভিশনসহ ১৭০টিরও বেশি রেডিও স্টেশন আবির্ভুত হয়েছিল।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনা

১৯৭৮ : তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ দাউদ খানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করে নেয় কমিউনিস্টরা। তারা ভূমি বণ্টন সংস্কার শুরু করে। দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে উস্কে দেয়। রাজনৈতিক ভিন্ন মতাদর্শীদের দমন করে। পরবর্তীতে গৃহযুদ্ধ আরো ছড়িয়ে পড়ে।

১৯৭৯ : সোভিয়েত সেনাবাহিনী আক্রমণ করে এবং কমিউনিস্ট সরকারকে সমর্থন করে। ওই যুদ্ধে ১০ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।

১৯৮৯ : সোভিয়েত সেনাদের শেষ দলটি আফগানিস্তান ত্যাগ করে। মার্কিন ও পাকিস্তান সমর্থিত মুজাহিদরা সোভিয়েত-প্রতিষ্ঠিত আফগান শাসক নাজিবুল্লাহকে উৎখাত করে। এতে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়।

১৯৯৬ : তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং ইসলামিক নিয়মকানুন আরোপ করে।

২০০১ : যুক্তরাষ্ট্রে ১১ সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ হামলার পর সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র। কাবুল থেকে তালেবানদের উৎখাত করা হয় এবং হামিদ কারজাই অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হন।

২০১৪ : আশরাফ গণি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানে মিশন শেষ করে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। এরপরই আফগান বাহিনীর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে। কিন্তু আফগান বাহিনী ধারাবাহিকভাবে হামলার মুখোমুখি হয়।

২০২১ : মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর তালেবানরা কাবুল পুনরায় দখল করে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত