ঢাকা ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা

ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা

ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রায় আড়াইশ’ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। গত রোববার রাতে এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। অন্যদিকে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, এদিন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চল ও তেল আবিব লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তারা। এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, প্রথমবারের মতো তারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে আশদ নৌঘাঁটিতে ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। পরে সংগঠনটি আবার জানায়, অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে তেল আবিবের একটি ‘সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে’ মুহুর্মুহু হামলা চালানো হয়েছে। এ ছাড়া তেল আবিবের উপকণ্ঠে গ্লিলট সেনাবাহিনী গোয়েন্দা ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে তারা। হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চাইলে প্রথমে এ সম্পর্কে এএফপির কাছে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এর আগে তারা জানায়, তেল আবিবের উপকণ্ঠসহ উত্তর-পূর্ব ও মধ্য ইসরায়েলের একাধিক জায়গায় সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে। আকাশপথে হামলা হলে এমন সাইরেন বাজানো হয়। পরে এএফপির সঙ্গে কথা হয় ইসরায়েলি বাহিনীর। তখন তারা জানায়, হিজবুল্লাহর ছোড়া প্রায় আড়াইশ’ ক্ষেপণাস্ত্র লেবানন থেকে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছে। এর আগে গতকাল ১৬০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছিল তারা। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, এর মধ্যে বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে থাকতেই ধ্বংস করা হয়েছে। গত সপ্তাহে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অন্তত চারটি ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। এতে মোহাম্মদ আফিফ নামের হিজবুল্লাহর একজন মুখপাত্র নিহত হন। এরপর গত বুধবার এক বক্তৃতায় হিজবুল্লাহপ্রধান নাইম কাসেম বলেন, বৈরুতে ওই হামলার জবাব তেল আবিবে হামলার চালানো মাধ্যমে দেয়া হতে পারে। চিকিৎসাসেবা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা জানিয়েছে, এ হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা কিছুটা গুরুতর। আর ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, ইসরায়েলের দখল করা পশ্চিম তীরের তুলকারেম শরণার্থী শিবিরের কয়েকটি বাড়ির ওপর আছড়ে পড়ে একটি ক্ষেপণাস্ত্র (ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়)।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত