রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের কুরস্ক সীমান্তে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইউক্রেন। মস্কোর উদ্দেশে কিয়েভ বলেছে, রাশিয়ার যা প্রাপ্য, সেটিই তারা পাচ্ছে। এক টেলিগ্রাম পোস্টে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রধান আন্দ্রে ইয়ারমাক এ দাবি করেন। তিনি বলেন, কুরস্ক অঞ্চল, শুভ সংবাদ। রাশিয়ার যা প্রাপ্য, তা-ই পাচ্ছে। এর আগে ইউক্রেনের হয়ে ভুয়া তথ্য প্রতিরোধ সংস্থার প্রধান আন্দ্রে কোভালেঙ্কো বলেন, কুরস্কের বিভিন্ন স্থানে রুশ সেনাদের ওপর আকস্মিক হামলা শুরু করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। গত বছরের আগস্ট মাসে কুরস্কে হামলা চালিয়ে সেখানকার অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় ইউক্রেনীয় বাহিনী। এরপর সেখানে উত্তর কোরিয়ান বাহিনীর সহায়তায় পাল্টা হামলা শুরু করেছিলেন রুশ সেনারা। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম তাস জানায়, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রাশিয়ার হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনীয় বাহিনী পাল্টা হামলা শুরু করেছে। সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার ভেতরে বারডেইন অঞ্চলে দুটি ট্যাংক ও সাতটি সাঁজোয়া যান প্রতিরোধ করা হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেন, মাখনোভকা জেলায় ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে ১০০ জনের বেশি উত্তর কোরীয় সেনা ও রুশ প্যারাট্রুপার নিহত হয়েছেন। রুশ সামরিক ব্লগারদের পক্ষ থেকে ইউক্রেনের আকস্মিক হামলার বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে। একজন দাবি করেছেন, বারডেইনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে ইউক্রেনের বাহিনী। কেউ কেউ বলছেন, কুরস্কের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে নেয়ার লক্ষ তাদের। ইউক্রেন ও পশ্চিমাদের ধারণা, ওই এলাকায় ১১ হাজার উত্তর কোরীয় সেনা মোতায়েন রয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া অস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেন যে হামলা চালাচ্ছে, এর জবাব দেয়া হবে।