ঢাকা শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আকসা আমাদের লালরেখা

রাশেদ মাইমুন
আকসা আমাদের লালরেখা

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোয়ান হারাম শরিফে ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন, আল-আকসা মসজিদ এবং এর আশপাশের স্থান সম্পূর্ণরূপে মুসলমানদের। এটি অক্ষত থাকতে হবে। ১৮ এপ্রিল ইস্তাম্বুলে এক অনুষ্ঠানে এরদোয়ান বলেন, আল-আকসা মসজিদ ও কুব্বাতুস সাখরা (পাথরের গম্বুজ)-সহ হারাম শরিফ একটি অবিভাজ্য সমগ্র। এর ১৪৪ একর এলাকা সম্পূর্ণরূপে মুসলমানদের। তিনি ঘোষণা করেন, আল-আকসা তুরস্কের জন্য একটি ‘রেডলাইন’ বা লালরেখা। এটি চিরকাল একই থাকবে। এরদোয়ান ইসরায়েলকে পবিত্র স্থানের পবিত্রতা ও ঐক্যের জন্য হুমকিস্বরূপ সমস্ত উস্কানি ও কর্মকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও ইসলামি পবিত্র স্থানগুলোর প্রতিরক্ষার প্রতি অব্যাহত সমর্থন নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের অঞ্চলে নিপীড়ন ও অনাচারের মুখে তুরস্ক কখনও চুপ থাকেনি। আমরা এখনও চুপ থাকব না। ফিলিস্তিনকে রক্ষা করা মানে মানবতা, ন্যায়বিচার ও শান্তিকে রক্ষা করা। এরদোয়ান গাজার ওপর ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে নৃশংসতার প্রতি বিশ্বব্যাপী নীরবতাকে নৈতিক পতন বলে অভিহিত করেন। ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি তুরস্কের অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো যখন নীরব, তখন সাংবাদিকদের হত্যা করা হচ্ছে। মানবাধিকার রক্ষাকারীরা যখন নীরবতায় দেখছে, তখন শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। পশ্চিমারা তিনটি বানরের ভূমিকা পালন করেছে। এটি ভণ্ডামিপূর্ণ নিষ্ক্রিয়তা। যারা দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা, অধিকার, আইন ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতি তাদের অঙ্গীকারের গর্ব করে আসছেন, তারা ১৮ মাস ধরে ইসরায়েলের গণহত্যা নীতির মুখোমুখি হয়ে তিন বানরের ভূমিকা পালন করছেন। এ সংকটে নীরব থাকা দেশগুলোর দ্বিমুখী নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এরদোয়ান। বলেন, পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো ছোটখাটো ঘটনার জন্যও নিষেধাজ্ঞার অস্ত্র ব্যবহার করে; অথচ ইসরায়েলের ক্ষেত্রে আপনারা এখন কোথায়?

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত