ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শুদ্ধপ্রাণ শিল্পী ও কবি শামীমা নাসরিন

শুদ্ধপ্রাণ শিল্পী ও কবি শামীমা নাসরিন

কথায় আছে, মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। কিছু মানুষ আছে যারা জন্ম থেকেই তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে চেষ্টা চালিয়ে যায় নিরলস। স্বপ্নবাজ মানুষ শামীমা নাসরিন। যিনি ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্নের পথে এগিয়ে গেছেন অবিরাম। তার স্বপ্নযাত্রার অগ্রসরতায় নিজেকে গড়ে তুলেছেন স্বমহিমায়। একজন শুদ্ধ সংগীতশিল্পী এবং কবি হিসেবে এখন তিনি সুধীমহলে ব্যাপক সমাদৃত। সংগীত ও লেখালেখিতে নিমগ্ন শামীমার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ঢাকায়। শিশুকাল থেকেই বাসায় বসে টুকটাক লেখালেখি ও সংগীত চর্চা করতে থাকেন শামীমা। সংগীতের প্রতি প্রবল বাসনা থেকে শৈশবেই তিনি ভর্তি হন বুলবুল ললিতকলা একাডেমি অব ফাইন আর্টস (বাফায়)। সেখানে নজরুল সংগীতে হাতেখড়ির মাধ্যমে সংগীত শিক্ষার শুরু। এরপর সংগীতের সমগ্র বিষয়ে দীর্ঘদিন দীক্ষা নিয়েছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ওস্তাদ এম এ মান্নানের কাছে এবং তার কাছে এখনও শিক্ষা নিয়ে চলেছেন সংগীতের বিভিন্ন শাখায়, বিভিন্ন রাগের ওপর।

নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে অবিচল হাঁটতে থাকা শামীমা নাসরিন এক সময় তালিকাভুক্ত হলেন বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে নজরুলসংগীত শিল্পী হিসেবে। বর্তমানে নিয়মিত গান করছেন বিভিন্ন মঞ্চ ও রেডিও-টেলিভিশনে। নজরুলসংগীত ছাড়াও আধুনিক, ফোক, সেমি ক্লাসিক্যাল গানসহ হিন্দি-বাংলা প্রায় সব ধরনের গানেই দক্ষতা রয়েছে তার। বহুমুখী প্রতিভাবান শামীমা নাসরিন সংগীতের পাশাপাশি সমানতালে চালিয়ে গেছেন লেখালেখিও। যখন থেকে গানের সঙ্গে সখ্য, ঠিক তখন থেকেই কবিতার সঙ্গেও মিতালী শামীমার। ‘পুতুলের বিয়ে’ নামে একটি কবিতার মাধ্যমে শৈশব থেকেই তার লেখালেখির জগতে প্রবেশ। এরপর ১৯৯৯ সালে অনার্স প্রথমবর্ষে থাকাকালীন সময়ে শামীমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘তুমি যে আমার কবিতা’ প্রকাশিত হয়। বইটি সে সময় ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। যার ফলে বইটির তৃতীয় মুদ্রণ করতে হয়।

এ পর্যন্ত শামীমা নাসরিনের পাঁচটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলো হলো- তুমি যে আমার কবিতা, কবিতার নির্বাসন, ফেরারি কবিতা, কবিতার প্রহর এবং কবিতার অন্বেষণে। অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৪৪৯-৪৫২ নম্বর ছায়াবীথি প্রকাশনীর স্টলে কবি শামীমা নাসরীনের বইগুলো পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত