জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শিখিয়েছেন কীভাবে মানুষকে ভালোবাসতে হয়, অসহায়দের মুখে হাসি ফোটাতে হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির স্বাধীনতা রক্ষায় আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ইসলামের খেদমতে বঙ্গবন্ধুর অবদান অতুলনীয়। এভাবেই কথাগুলো বলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার)। স্বাধীনতার মাস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ- এ স্লোগানকে সামনে রেখে রাজধানীর কদমতলীতে অবস্থিত মাদরাসাতু জাবালে নূর ও ইসলামিক কিন্ডারগার্টেনের উদ্যোগে ও আলোকিত বন্ধু ফোরামের সার্বিক সহযোগিতায় আলোচনা সভা, শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার) বলেন, মানুষের কল্যাণে কাজ করার মতো আনন্দের ও তৃপ্তির অন্য কিছু নেই। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ও ধারণাই ছিল মানুষ ও দেশের কল্যাণ করা। বঙ্গবন্ধু কোনো শক্তির কাছে, সে যত বড়ই হোক, আত্মসমর্পণ করেননি; মাথানত করেননি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রাম করে গেছেন। নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। বিশ্বনন্দিত নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (শ্যামপুর জোন) মো. নুর নবী, সামাজিক পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়া, নবারুণ স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শেখ মো. হোসেন আলী, বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটির দপ্তর সম্পাদক আজহারুল হক ফরাজী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংবাদিক ও সংগঠক তরুণ রাসেল। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কারি মো. শহিদুল ইসলাম। ইসলামি সংগীত পরিবেশনা করেন হাফেজ মো. ফয়সাল মাহমুদ, মাসুম বিল্লাহ ইলিয়াস, ইউনুস আল-আজাদ ও শাহাদাত হোসেন।