যৌবনের সুরভীত বসন্তে/ঘুমের কাছে আমার অনেক ঋণ/সুতা কেটে যাওয়া ঘুড়ির মতো- আমি ঠিকানাহীন।’ এমন অনবদ্য রচনার যিনি লেখক তিনি জননায়কখ্যাত কবি মিজানুর রহমান। একাধারে কবি, গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী তিনি। ব্যক্তিজীবনে স্পষ্টভাষী কবি মিজানুর রহমান নিজের ইচ্ছে মতো লেখেন। নিয়মণ্ডকানুনের ধার ধারেন না। তারপরও পাঠক তার লেখা পড়ে আন্দোলিত হন পাঠকের সীমাহীন আগ্রহের কথা মাথায় রেখেই কবি মিজানুর রহমান তার লেখাগুলো বইয়ের আকৃতি দিয়ে মলাটের আবরণে আচ্ছাদন করার প্রাণান্ত চেষ্টা করেন।
তার লেখা পড়লে নিশ্চয়ই যে কেউ নিয়মিত পাঠক হবেন। কারণ তিনি সব ভাবনার অণুবীজগুলোই প্রকাশ করেন তার রচিত কবিতা ও গানের প্রতিটি চরণে চরণে। প্রেম কিংবা বিরহ কখনো কখনো মানুষকে খাঁটি প্রেমিক করে তোলে। যার প্রমাণ মেলে কবি মিজানুর রহমানের বিভিন্ন রচনা ও তার রচিত গ্রন্থমালায়। তার লেখা পাঠে পাঠকের হারানো প্রেমের জন্য মনের কোণে কান্নার জল জমে উঠবে মনের অজান্তেই। অথবা কাউকে নতুন প্রেমের হাতছানি দিয়ে কাছে ডাকবে এমন সম্ভাবনা থেকেই যায়। কবি মিজানুর রহমান ১৯৭৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার মুগগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম আবদুল বারিক এবং মাতা মরহুমা বদরুন্নেসা।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে ধানমন্ডি ল’ কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করে কবি মিজানুর রহমান তার নিজ এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবেও দীর্ঘ পাঁচ বছর নিজেকে জনসেবায় নিয়োজিত করেছিলেন। একজন মানবিক বোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে নিজেকে সবসময়ই মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করে রাখতে পছন্দ করেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্ত আছেন শুদ্ধ ধারার সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন শুভজন এবং দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের লেখক পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী প্ল্যাটফর্ম আলোকিত বন্ধু ফোরামের সঙ্গে। অতি সম্প্রতি জোড়া শালিক প্রকাশনী থেকে তার বিভিন্ন রচনা ও আংশিক জীবনালেখ্য নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘মিজানুর রহমান রচনাসমগ্র’ নামক একটি নান্দনিক গ্রন্থ।
মানুষের যাপিত জীবনের মানচিত্র জুড়ে থাকে সংগ্রাম, ভালোবাসা, প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির হাজারো ছাপ। কখনো বিক্ষোভ থাকে, কখনোবা কৃতজ্ঞতায় ভিজে ওঠে মন। মানুষের একটাই তো জন্ম, সে জন্ম যায় নানা রঙের অভিজ্ঞতা অর্জনে। গুণী লেখক ও নন্দিত কবি মিজানুর রহমান তার জীবনালেখ্য ও কবিতাণ্ডগানে সেই অভিজ্ঞতার বয়ান লিখেছেন। কবির প্রতি রইল অপার শুভকামনা।