বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের একটি প্রাচীন জনপদ দিনাজপুরের বিরল উপজেলা। সুজলা সুফলা বিরল উপজেলা লিচুর জন্য বিখ্যাত। এখানকার প্রায় আশি শতাংশ মানুষই লিচু চাষি। এখানকার লিচু বাগানগুলো ছাড়াও এমন কোনো বাড়ি নেই, যে বাড়ির আঙিনায় দু-চারটি লিচুর গাছ পাওয়া যাবে না। ফলভারে নুয়ে পড়া গাছগুলো মানুষের রসনার স্বাদ মেটাতে অবনত। অথচ কী আশ্চর্য, সুমিষ্ট আম ও লিচুর জন্য বিখ্যাত এ অঞ্চলেরই কিছু দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ ভালোকে ভুলে গিয়ে মাদকের মতো মন্দ পেশায় মত্ত।
সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ার কারণে ভারত থেকে এ অঞ্চল দিয়ে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চলে মাদকের চালান আসার। নানান কৌশলে, বিভিন্ন পদ্ধতিতে মাদক কারবারিরা এখানে মাদক ব্যবসায় নিযুক্ত। কিন্তু আশার কথা এই যে, আলোকিত বন্ধু ফোরামের হয়ে আলোকিত মানুষের সন্ধানে ভ্রমণে বেরিয়ে আমি এবং আলোকিত বন্ধু ফোরামের কো-অর্ডিনেটর মুহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন গত ২৩ মে দিনাজপুরের বিরল থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিমের সাক্ষাৎ পাই।
আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, মাদক কারবারির মতো সমাজ ধ্বংসকারীদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। এদের হাত যতই লম্বা কিংবা যতই ক্ষমতাশালী হোক না কেন, মাদকের প্রশ্নে আমি একরোখা। আমার দায়িত্ব এলাকা দিয়ে এক বিন্দু মাদকও বাংলাদেশে ঢুকতে দেব না। এক্ষেত্রে আমি আমার জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার মহোদয়ের পূর্ণ সহযোগিতা পাচ্ছি। একই ভ্রমণে আমরা সন্ধান পাই আরও একজন আলোকিত মানুষের।