ঐতিহ্যবাহী বাফার ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বন্ধু ফোরাম ডেস্ক
বাঙলা শিল্প-সংস্কৃতি চর্চা ও শিক্ষাকেন্দ্র ঐতিহ্যবাহী বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টসের (বাফা) ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মহাসমারোহে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকার ওয়াইজঘাটের বুলবুল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পদকপ্রাপ্ত গুণী নৃত্যশিল্পী আমানুল হক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শান্ত-মারিয়ম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক ড. হারুন অর রশীদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাফা সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান। এ ছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাফার কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. কবির আহমেদ, বাফার অধ্যক্ষ বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী খন্দকার খায়রুজ্জামান কাইয়ুম এবং বাফা শিক্ষক সমিতির সম্পাদক সফিকুর রহমান সবুজ। বাফা সভাপতি গিটারগুরু মো. হাসানুর রহমান বাচ্চু অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মো. ফজলুর রহমান তার বক্তব্যে নৃত্যশিল্পী বুলবুল চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বাফার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আগত সব অতিথি, শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানান। মো. কবির আহমেদ বুলবুল চৌধুরীর সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের এই বাফায় অনেক গুণিজনের পদধূলি পড়েছে। এসেছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখ। সংগীতজ্ঞ ড. হারুন অর রশীদ বাফার সিলেবাসে বুলবুল চৌধুরীর জীবনী অন্তর্ভুক্তির তাগিদ দেন। সবশেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নৃত্যশিল্পী আমানুল হক বুলবুল চৌধুরীর জীবনের নানা অজানা তথ্য তুলে ধরেন। তিনি আরো যোগ করেন, প্রথমে বুলবুল চৌধুরীর দলের নাচ দেখেই তার নাচ শেখার আগ্রহ জন্মে। পরে তিনি বুলবুল চৌধুরীর স্ত্রী আফরোজা বুলবুলের কাছে নাচ শেখেন। ১৯৫৫ সালের ১৭ মে মুহাম্মদ নুরুল হুদার নেতৃত্বে বুলবুল ললিতকলা একাডেমি, সংক্ষেপে বাফা (বুলবুল একাডেমি অফ ফাইন আর্টস) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ওই দিন ছিল উপমহাদেমের বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী বুলবুল চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। ব্রিটিশ ভারতের এই বাঙালি নৃত্যশিল্পীকে চিরস্মরণীয় করে রাখতেই এই আয়োজন।
অমর নৃত্যশিল্পী বুলবুল চৌধুরী বাংলাদেশের আধুনিক নৃত্যের পথিকৃৎ ছিলেন, একটি বৃহৎ রক্ষণশীল মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে নৃত্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবলায় ছিলেন পলাশ নন্দী, গিটারে সনেট, অক্টোপ্যাডে হৃদয় কুমার টিটো ও কিবোর্ডে জুয়েল। কণ্ঠের মাধুর্যতা দিয়ে অনুষ্ঠানটিকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যান বাফার বাচিককলা শিক্ষক ও অনুষ্ঠান সঞ্চালক আবৃত্তিশিল্পী তরুণ রাসেল।