তোফায়েল হাসান কর্মজীবনে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) হিসেবে কর্মরত। রাষ্ট্রের এত গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও তিনি শুধু সমাজের বাইরের ঘটনার দিকে দূরবীক্ষণ দিয়ে তাকান না, ভেতরেও দৃষ্টিপাত করেন অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে। আবার তিনি শুধু দেখেন না, তিনি বোঝার চেষ্টা করেন ঘটনার পেছনের ঘটনাটা কী। তিনি বিশ্লেষণ করেন, সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেন এবং সমাধানের পথ সন্ধান করেন। তার আগ্রহের বিষয় বিচিত্র। তবে তার ভেতরে কাজ করে এই সমাজ এবং দেশ নিয়ে গভীর বেদনা; দেশপ্রেম তাকে দেশকে আলোকিত করতে ভূমিকা রাখতে প্ররোচিত করে।
পেশার কারণেই তিনি আইন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, তিনি দেখতে পান বিচিত্র মানুষ, তাদের জীবন, জীবনের নানা উত্থান-পতন, অপরাধ ও শাস্তি, দয়া ও পুণ্য। দেখতে পান সমাজর উপরিকাঠামো, ভেতরকাঠামো। চমৎকার ভাষাশৈলী, গভীর মনন, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, আধুনিক চিন্তা তাকে একজন চমৎকার লেখকে পরিণত করেছে। সব বিষয়ে তার সঙ্গে আমরা একমত হব না। সব তথ্য আমরা বিনাতর্কে মেনেও নেব না। কিন্তু তার লেখার মূল উদ্দেশ্য যে মানবকল্যাণ, দেশের উন্নয়ন, সমাজের পরিশোধন- সেখানে আমরা তাকে দু’হাত তুলে সমর্থন জানাব এবং তার লেখাগুলো পাঠ করব। নিজের মনে তর্ক করব। ভাববো। নিজেকে শোধরানোর চেষ্ট করব। আমরা এই লেখকের মননের জগতে, চিন্তার জগতে খানিকক্ষণ নিমগ্ন থাকব।
লেখক : কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক