মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা অন্দোলনসহ দেশের স্বাধীনতা অর্জনের প্রতিটি ইতিহাস তরুণ প্রজন্ম জানলেই দেশ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে নীতিবান ও আত্মত্যাগী হয়ে গড়ে উঠবে। এভাবেই তরুণ প্রজন্মের প্রতি অনুপ্রেরণামূলক কথাগুলো বলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, পিপিএম (বার)। তিনি বলেন, মানুষ বেঁচে থাকে তাদের কর্মে, বয়সে নয়। অন্ধকার থেকে আলোর পথে আসার জন্য যে আলোকবর্তিকা প্রয়োজন, তা সুশিক্ষার মাধ্যমে হয়ে থাকে। সমাজকে সুন্দরভাবে সাজাতে হলে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে সবার। আসাদুজ্জামান বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। মানুষ ও দেশের কল্যাণে কাজ করাটাই জীবনের প্রকৃত স্বার্থকতা। প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ সাফল্যের পথে এগিয়ে চলছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন একজন খাঁটি বাঙালি ছিলেন, তেমনি দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় মহান আল্লাহপাকের মেহেরবানিতে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে মর্যাদার আসনে আসীন হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা জীবনে সাফল্য, সুখ ও সমৃদ্ধি চাই। আর সমৃদ্ধ দেশ গঠনে নৈতিক শিক্ষা চাই। বাতাস, সূর্যের আলো, অক্সিজেন- এসব মূল্যবান বিষয় পয়সা দিয়ে কিনতে হয় না। আমার জীবন মূল্যবান, তাই অন্যের জন্য কিছু করতে হবে। তিনি বলেন, আমি যেন প্রতিদিন অতন্ত একটি ভালো কাজ করি। জীবন তিন ধরনের- সাধারণ জীবন, অনাকাঙ্ক্ষিক্ষত জীবন ও সাফল্যের জীবন। মৃত্যুও তিন ধরনের- সাধারণ মৃত্যু, অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ও মৃত্যুঞ্জয়ী। পরাজয় তিন ধরনের- সন্তানের কাছে পিতার পরাজয়, ছাত্রছাত্রীর কাছে শিক্ষকের পরাজয় ও প্রজন্মের কাছে প্রজন্মের পরাজয়। আমরা এ পরাজয়গুলো মেনে নিই। তিনি আরো বলেন, জীবজগতের অন্য কোনো প্রাণীকে বলতে হয় না। শুধু মানুষকে বলতে হয়, মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। মানব সভ্যতার ইতিহাসে যে ধারণা প্রভাবিত করছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আইনের শাসন। আমরা যদি আইনের শাসন মেনে চলি তাহলে আর নৈতিক শিক্ষার প্রয়োজন হয় না। এসময় তিনি ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবাইকে ভালো কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।