শিক্ষাই শক্তি, সভ্যতা ও সামাজিক অগ্রগতির মূল অনুঘটক শিক্ষা। জ্ঞান, দক্ষতা, মানবিক মূল্যবোধ এবং দৃঢ় আত্মবিশ্বাস শিক্ষাকে পরিপূর্ণ করে। সুশিক্ষার মাধ্যমে মানুষ মানবিক কল্যাণে নিবেদিত থাকার যোগ্যতা অর্জন করে।
এভাবেই নতুন প্রজন্মের প্রতি সুন্দর কথাগুলো বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিজ গ্রামে অবস্থিত মায়ের নামে করা রাবেয়া আলী গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি বলেন, সমাজের বৈষম্য দূর করতে তরুণদের কোনো বিকল্প নেই। মানুষ মানুষের কল্যাণে কাজ করবে এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু পরিতাপের বিষয় আমাদের সমাজে বৈষম্যের কারণে এখনো অনেকে মানবিক কল্যাণ থেকে দূরে থাকি। সুন্দর সমাজ গড়তে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আলো ছড়ানো শপথ নিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। জনবান্ধব, আধুনিক ও পজিটিভ পুলিশিংয়ের রোল মডেল হিসেবে যার প্রশংসা সর্বস্তরে। ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধানের পদ থেকে ব্যস্ততম ও জনবহুল ঢাকা মহানগরীর পুলিশ কমিশনার হিসেবে তার আবির্ভাবকে কেন্দ্র করে ডিএমপির বাসিন্দাদের মাঝে স্বস্তির আনন্দ মিলেছে। হাবিবুর রহমান এমনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা- যিনি তার মেধা, প্রজ্ঞা, যোগ্যতা, কর্মনিষ্ঠা ও সততার গুণে পৌঁছে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। পুলিশ বিভাগে ধারাবাহিক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পর্যন্ত তিনি তিনবার বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও দুইবার রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন। এছাড়া তিনি দুইবার সাফল্যের সহিত বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন কর্মঠ ও নিবেদিত উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার বাইরে তিনি একজন সফল ক্রীড়া সংগঠক, লেখক, গবেষক, সমাজ সংস্কারক, সমাজ সেবক। সাভারে বসবাসরত ২০ হাজারেরও বেশি বেদে জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বেদে জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ১০৫ জন বেদে নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে পোড়াবাড়িতে কর্মসংস্থানের জন্য মিনি গার্মন্ট প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
সাপ খেলা দেখানোর পেশা থেকে ফিরিয়ে এনে ৩৫ জন বেদে যুবককে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রত্যেকের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করা, কোচিং সেন্টার ও কম্পিউটার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে বেদে ছেলে-মেয়েদের পড়া লেখার অতিরিক্ত সুযোগ তৈরি করা, সরকারি সহযোগিতায় ১৮টি জরাজীর্ণ রাস্তা মেরামত করা, একটি মসজিদ নির্মাণ করা এবং স্থানীয় বেদে জনসাধারণের জন্য একটি পাকা ইদগাহ নির্মাণ করাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করেন। উল্লেখ্য, চন্দ্রদিঘালিয়া অবস্থিত রাবেয়া আলী গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সুশিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলছে।