ঢাকা ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দক্ষিণ এশিয়া স্যাম্বো চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের বাজিমাত

দক্ষিণ এশিয়া স্যাম্বো চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের বাজিমাত

বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় দক্ষিণ এশিয়া স্যাম্বো চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩-এ বাজিমাত করল বাংলাদেশ। ১৪টি স্বর্ণ, ১৬টি রৌপ্য ও ১৮টি ব্রোঞ্জ সর্বমোট ৪৮টি পদক নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল বাংলাদেশ। অপরদিকে ভারত ১৪টি স্বর্ণ, ১৩টি রৌপ্য ও ১৬টি ব্রোঞ্জসহ সর্বমোট ৪৩টি পদক নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে।

অংশগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কা চারটি স্বর্ণ, তিনটি রৌপ্য ও দুটি ব্রোঞ্জ, নেপাল দুটি স্বর্ণ ও দুটি ব্রোঞ্জ এবং মালদ্বীপ একটি রৌপ্য অর্জন করে। উক্ত চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বমোট ৫৬টি ওজন ক্যাটাগরিতে ছয়টি দেশের সর্বমোট ১৭২ জন অ্যাথলেট অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ স্যাম্বো ও কুরাশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরএম ফয়জুর রহমান পিপিএম বলেন, পারস্পারিক সৌহার্দ্য ও খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব নিয়ে প্রত্যেক অ্যাথলেট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশে সব ইভেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

তিনি আরো বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে খেলা পরিচালনা, রেফারিং, স্কোরিংয়ে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা ও পুরস্কার বিতরণীতে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে সব আয়োজন করা হয়। চ্যাম্পিয়নশিপে যেসব আন্তর্জাতিক টেকনিক্যাল অফিসার ও ফেডারেশরনর কর্মকর্তারা যোগদান করেন তারা সবাই বাংলাদেশ স্যাম্বো অ্যান্ড কুরাশ অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তারা ২০২৫ সালে বাংলাদেশে এশিয়ান স্যাম্বো চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এশিয়া অ্যান্ড ওশেনিয়া স্যাম্বো ফেডারেশনের সভাপতি অ্যালামজন মুলায়েভ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়নশিপের সব আয়োজন প্রত্যক্ষ করেন এবং অনুষ্ঠিত সেমিনারে যোগ দেন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে সব ইভেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন করায় আয়োজকদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। ডিরেক্টর জেনারেল অব স্যাম্বো ইউনিয়ন অব এশিয়া অ্যান্ড ওশেনিয়া ও হেড অব লিগ্যাল, ইন্টারন্যাশনাল স্যাম্বো ফেডারেশন মি. সুরেশ গোপী বলেন, বাংলাদেশি অনেক সম্ভাবনাময় অ্যাথলেট রয়েছে। যাদের সঠিকভাবে নার্সিং করলে এবং অনুশীলন করালে অলিম্পিকের মতো বড় আসরেও পদক জয় করা সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি। একটি নতুন অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মানের যে আয়োজনটি করেছে তা অনুসরণীয়। তিনি বাংলাদেশ স্যাম্বো অ্যান্ড কুরাশ অ্যাসোসিয়েশনের সফলতা কামনা করেন। বাংলাদেশ স্যাম্বো অ্যান্ড কুরাশ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, প্রতিযোগিতাটি স্পোর্টস স্যাম্বো, কম্ব্যাট স্যাম্বো, জুনিয়র ও সিনিয়র, নারী ও পুরুষ মিলে মোট ৫৬টি ওজন শ্রেণিতে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সিনিয়র খেলোয়াড়দের জন্য ৭টি ওজন ক্যাটাগরি স্পোর্টস স্যাম্বো (অ্যাডাল্ট-পুরুষ), ৭টি ওজন ক্যাটাগরি স্পোর্টস স্যাম্বো (অ্যাডাল্ট-নারী), ৭টি ওজন ক্যাটাগরি কমব্যাট স্যাম্বো (অ্যাডাল্ট-পুরুষ), ৭টি ওজন ক্যাটাগরি কমব্যাট স্যাম্বো (অ্যাডাল্ট-নারী) এবং জুনিয়র খেলোয়াড়দের জন্য ৭টি ওজন ক্যাটাগরি স্পোর্টস স্যাম্বো (জুনিয়র-পুরুষ), ৭টি ওজন ক্যাটাগরি স্পোর্টস স্যাম্বো (জুনিয়র-নারী), ৭টি ওজন ক্যাটাগরি কমব্যাট স্যাম্বো (জুনিয়র-পুরুষ), ৭টি ওজন ক্যাটাগরি কমব্যাট স্যাম্বো (জুনিয়র-নারী) ছিল। সর্বোচ্চ স্বর্ণপদক প্রাপ্ত দেশ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রতিটি ইভেন্ট শেষে বিজয়ীদের পদক, সার্টিফিকেট প্রদান ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। দক্ষিণ এশিয়া স্যাম্বো ফেডারেশনের কর্মকর্তারা, আগত দেশসমূহের ফেডারেশনের কর্মকর্তারা এবং স্বাগতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্যাম্বো অ্যান্ড কুরাশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বিজয়ীদের পদক পরিয়ে দেন।

গত বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর ২০২৩) ঢাকা, বাংলাদেশের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় দক্ষিণ এশিয়া স্যাম্বো চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩-এর শুভ উদ্বোধন করেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব. পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত