আলো ছড়াবে সুফিয়া শওকত ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মুহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন
জ্ঞানভিত্তিক সমাজ সেটাকেই বলে যে সমাজে কোনো বিষয়ের ভুল ব্যাখ্যা হয় না। ভালোমন্দ বিচারের বিভ্রাট ঘটে না। ঘটলেও তা স্থায়ী হয় না। জ্ঞানী হওয়ার আগে মানুষ পুণ্যবানও হতে পারে না। সমস্ত পুণ্যের জননী হচ্ছে জ্ঞান। পবিত্র ইসলাম ধর্মে এজন্যই জ্ঞানীদের উচ্চ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র। জ্ঞানী হতে হলে বই পড়তে হবে। ভালো বই মানুষকে জ্ঞান ও আনন্দের পথে নিয়ে যায়। বই মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। বইপড়াও জ্ঞান চর্চার কোনো বিকল্প নেই। তেমনি এক আলোর বাতিঘর হিসেবে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও শহরে যাত্রা শুরু করে সুফিয়া শওকত ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র। নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলায় পীরপুর গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়াবে সদ্য প্রতিষ্ঠিত এই অনুশীলন কেন্দ্র। শওকত আলী মাস্টার স্মৃতি কল্যাণ ট্রাস্টের পৃষ্ঠপোষকতায় এটি পরিচালিত হবে। নিজের বাবা ও মায়ের নামে সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র ও পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করে সৃজনশীলতার পরিচয় দিলেন বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হুসাইন, বিপিএম। সমাজের সব বয়সি মানুষের মধ্যে শিক্ষার আনন্দ ছড়িয়ে দিতে তার এই প্রচেষ্টা। ইকবাল হুসাইন বলেন, বই মানুষের আলোকিত জীবনের সঙ্গী। ভালো বই মানুষকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলে। যারা বই পড়েন, জ্ঞান চর্চা করেন তাদের শত্রুও কম থাকে। বই ও পাঠাগার মানুষের আপন, মানুষের প্রয়োজন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাঠাগারকে সমুদ্রের সাথে তুলনা করেছেন। বই মানুষের অজ্ঞানতা দূর করে, জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করার চাবিকাঠি। তিনি বলেন, সুশিক্ষিত ব্যক্তি মানেই স্বশিক্ষিত এবং স্বশিক্ষার ক্ষেত্র হচ্ছে পাঠাগার।
বইয়ের সাহচর্য জীবনকে আলোকিত ও সুন্দর করে তুলে। এক্ষেত্রে লাইব্রেরির ভূমিকা সুদূরপ্রসারী। একটি দেশে দায়িত্বশীল, অধিকার সচেতন ও ন্যায়পরায়ণ নাগরিক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পাঠাগার ও বই পড়া অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ইকবাল হুসাইন আরো বলেন, একটি এলাকায় একটি পাঠাগার থাকার অর্থ সমাজে আলোকিত মানুষ তৈরি হওয়ার সুযোগ অবারিত থাকা। জ্ঞান ও শিল্পসাধনা মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে নিয়ে যায় উর্ধ্বালোকে। অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যতের মধ্যেও সেতু গড়ে তোলে পাঠাগার।