বহুমাত্রিক জনপ্রিয় লেখক মোশতাক আহমেদ
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বন্ধু ফোরাম ডেস্ক
নিলা, অপূর্ব সুন্দরী এক তরুণী। বেড়ে উঠেছে নিম্নবিত্ত পরিবারে। দারিদ্র্যের কারণে পড়াশোনা উচ্চমাধ্যমিকের পর আর এগোতে পারেনি। পেশায় এখন সে একজন ড্যান্স জকি। কাজ করে পিয়ানো দলের সাথে। বাণিজ্যিক আর ঘরোয়া অনুষ্ঠান শেষে প্রায় প্রতিদিনই তাকে ঘরে ফিরতে হয় মাঝরাতের পরে। কখনো সে ফিরে সহকর্মীদের সাথে, আবার কখনো একা, একেবারেই একা।
জীবনে এই চলার পথে নিলা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি যে বিত্তবানদের অদৃশ্য ফক্স ক্লাবের এক শিকারে পরিণত হতে যাচ্ছে। নিজের অজান্তেই সে একে একে পা ফেলতে থাকে ফক্স ক্লাবের পাতা ফাঁদে। শুরু হয় অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে তার ভয়ংকর যাত্রা। অন্ধকারাচ্ছন্ন পথের ওই যাত্রায় যতই সে এগোতে থাকে ততই আটকে যেতে থাকে নিষিদ্ধ জগতের জালে। একসময় বুঝতে পারে সে ষড়যন্ত্রের শিকার, বন্দি হয়েছে শহর থেকে অনেক দূরে ফক্স ক্লাবের গোপন অন্দরমহলে। মুক্তির জন্য তখন সে মরিয়া হয়ে ওঠে।
কিন্তু ততক্ষণে যে অনেক দেরি হয়ে গেছে! তাকে সাহায্য করার মতো যে কেউ নেই, নেই তার চিৎকার শুনে এগিয়ে আসার মতো কোনো আপনজন। আছে শুধু কতগুলো শিয়াল, মানুষরূপী অতি চতুর শিয়াল, যাদের লোলুপ দৃষ্টি অমাবস্যায়ও যেন জ্বলজ্বল করে জ্বলে! শেষ পর্যন্ত নিলা কি মুক্তি পেয়েছিল মানুষরূপী ভয়ংকর সেই শিয়ালগুলোর ফক্স প্যালেস নামক বন্দিশালা থেকে?
এবারের মেলায় প্রকাশ হওয়া ৪টি নতুন বইসহ মোশতাক আহমেদের সব ভৌতিক উপন্যাস পাওয়া যাচ্ছে অনিন্দ্য প্রকাশে। অনিন্দ্য প্রকাশের স্বত্বাধিকারী আফজাল হোসেন বলেন, ভৌতিক উপন্যাস অনেকেই লিখেন, কিন্তু মোশতাক আহমেদের মতো ভৌতিক উপন্যাস বর্তমানে অন্য কেউ লিখতে পারছেন না। তার ভৌতিক উপন্যাসের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। ১৮টি উপন্যাসের মধ্যে ছয়-সাতটি উপন্যাস প্রতি বছর আমাদের পুনঃমুদ্রণ করতে হয়। আর তাছাড়া ইদানীং লক্ষ্য করছি কেউ তার একটা ভৌতিক উপন্যাস কিনেন না, একত্রে দুটো-তিনটে-চারটা এমনকি সবগুলো একসাথেও কিনেন। বিশেষ করে যারা বিদেশে থাকেন বা ঢাকার বাইরে থাকেন তাদের মধ্যে মোশতাক আহমেদের একসাথে অনেকগুলো ভৌতিক উপন্যাস ক্রয়ের প্রবণতা বেশি। বর্তমান সময়ে নারী এবং কিশোর বয়সি পাঠকরাই ভৌতিক উপন্যাস বেশি পড়ছে।