ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পাঠক নন্দিত হলো ‘বর্ণমালার আলো’

পাঠক নন্দিত হলো ‘বর্ণমালার আলো’

অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এ প্রকাশিত তরুণ রাসেল রচিত শিশুতোষ গ্রন্তু ‘বর্ণমালার আলো‘ ব্যাপক পাঠক নন্দিত হয়েছে। শুভজনের প্রকাশনায় বইটির পরিবেশক ছিল মেঘনা পাবলিকেশন্স এবং সপ্তবর্ণ প্রকাশনী। বাংলা বর্ণমালার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নৈতিক ও মানবিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে, তাদের মধ্যে শুভ বোধের জাগরণ তুলতে এবং বর্ণ দিয়ে শব্দ গঠন ও বাংলা বর্ণ লিপির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে ‘বর্ণমালার আলো‘ একটি আদর্শ গ্রন্তু। বইটি প্রসঙ্গে লেখক বলেন, ‘বর্ণমালার আলো‘ বইটি পাঠের মাধ্যমে শিশুমনে সুনির্মল আলোড়নের ঢেউ আন্দোলিত হবে। শিশুরা আলোকিত মানুষ হওয়ার দীক্ষা পাবে। শুদ্ধ মননের অনুপ্রেরণা লাভ করবে। এই বইয়ে বাংলা বর্ণলিপির প্রতিটি বর্ণ-অক্ষর দিয়ে শব্দ গঠনে শুরু হয়েছে এক একটি ছড়া-কবিতা, যার মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করার প্রয়াস চালানো হয়েছে। একই সাথে প্রতিটি অক্ষর বা বর্ণকে শিশুরা যেে নিজের মতো করে তাদের স্বপ্নের রঙে রঙিন করে আঁকতে পারে এজন্য প্রতিটি অক্ষরের রেখাচিত্র দেয়া হয়েছে। পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে বাংলা বর্ণলিপিতে ওই বর্ণের অবস্থান এবং ধরন সম্পর্কে। আমরা জানি, আমাদের বাংলা ভাষার আছে দারুণ এক সংগ্রামের ইতিহাস। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কাছ থেকে ভাষার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার কথা তো আমাদের সবার জানা। ভাষার জন্য এমন সংগ্রাম করবার আর দ্বিতীয় কোনো নজির পৃথিবীতে নেই। যে ভাষার রয়েছে এমন সংগ্রামের ইতিহাস, আছে এমন সমৃদ্ধ সাহিত্যভান্ডার, সেই ভাষা আমাদের; আমরা সবাই গর্বিত বাঙালি।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থীই এখনো আমাদের প্রিয় বাংলা বর্ণমালার সাথে শতভাগ পরিচিত নয়! আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যারা বাংলা বর্ণমালার সবগুলো বর্ণলিপি বলতে বা এগুলোর ব্যবহার করতে জানেন না। তাই ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাংলা বর্ণমালা শিখুক এই প্রচেষ্টা থেকেই আমার এবং আমাদের বই ‘বর্ণমালার আলো’।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত