ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জোছনা রাতে মানুষের একটি ছায়া থাকে

জোছনা রাতে মানুষের একটি ছায়া থাকে

ইলার ক্ষেত্রে বিষয়টি ব্যতিক্রম। জোছনা রাতে ইলার থাকে দুটি ছায়া। তাও একটি পুরুষের এবং একটি নারীর। ইলার এই দুই ছায়ার রহস্য উন্মোচনের জন্য ডাক্তার তরফদারের দ্বারস্থ হন ইলার হতবিহ্বল বাবা-মা। পুরুষ ছায়ার উৎস খুঁজতে গিয়ে ডাক্তার তরফদার ইমন নামের এক যুবকের সন্ধান পান। এই যুবক জোছনা রাতে ছায়া হয়ে ইলার কাছে আসে, ইলাকে সম্মোহিত করে এবং ফিসফিস করে কথা বলে। অথচ বাস্তবে ইমনের সাথে ইলার কীভাবে পরিচয় হয়েছে, নাকি আদৌ হয়নি, তা ইলা বলতে পারে না। এদিকে ইলার জীবনে ইমনের উপস্থিতির তথ্য প্রকাশ হলে ইলার বিয়ে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। অবশ্য সেদিকে ইলার কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। তার ইচ্ছা ইমনের কাছে যাওয়া, ইমনকে কাছে পাওয়া। কিন্তু ইমনের ঠিকানা সে জানে না, ইমনকে চেনেও না। জোছনা রাতে সে শুধু ইমনের কালো ছায়া দেখেছে। তারপরও সে ঘর ছাড়ে। ইমন যেখানেই থাকুক না কেন, তাকে সে খুঁজে বের করবে। এদিকে ইলাকে খুঁজতে গিয়ে ডাক্তার তরফদার সন্ধান পান ছায়াস্বর্গের। এই ছায়াস্বর্গেরই মোহে মোহান্বিত হয়ে ঘর ছেড়েছে ইলা। এই মোহ থেকে ইলাকে কিছুতেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ এখানে আছে ইলার প্রিয়, অতিপ্রিয় ইমন। আর আছে অদ্ভুত আর অদ্বিতীয় ছায়ালেবু, যা কি না ইলাকে এক ঐশ্বরিক ক্ষমতা দিয়েছে। এই ক্ষমতার বলে ইলা এখন রহস্যময়ী স্বর্গীয় অপরূপা এক নারী। কী এই ছায়াস্বর্গ? কীভাবে সাধারণ ইলাকে এই ছায়াস্বর্গ এক স্বর্গীয় নারীতে রূপান্তরিত করেছিল? আর দুই ছায়ার উৎসইবা কী ছিল? আর কী ঘটেছিল ইমন আর ইলার জীবনে? তাদের সম্পর্কের শেষ পরিণতিইবা কী হয়েছিল?

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত