ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মুক্তিযোদ্ধা হেলেন করিমের মৃত্যুবার্ষিকীতে বন্ধু ফোরামের আয়োজন

মুক্তিযোদ্ধা হেলেন করিমের মৃত্যুবার্ষিকীতে বন্ধু ফোরামের আয়োজন

মহিলা আওয়ামী লীগ ঢাকা উত্তরের সাবেক সহ-সভাপতি হেলেন করিম উদীচী, খেলাঘর আসর ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য ছিলেন। প্রয়াত সাংবাদিক এম এ করিমের স্ত্রী হেলেন করিম বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য ছিলেন। ২০১৭ সালের ২ মে হেলেন করিম ইন্তেকাল করেন। তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। তিনি চার পুত্র রেখে গেছেন। তার মেঝো ছেলে মির্জা মেহেদী তমাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের রিপোর্টিং (অপরাধ) বিভাগের প্রধান। সম্প্রতি তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকার রায়েরবাগে মাদরাসাতু জাবালে নূরে আলোকিত বন্ধু ফোরামের উদ্যোগে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে দুঃসাহসী যোদ্ধা হেলেন করিম সিরাজগঞ্জ এবং টাঙ্গাইলের চর অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রেনেড পারাপার ও তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতেন। টাঙ্গাইলের মেয়ে হেলেন করিম ১৯৭১ সালে বদরুন্নেসা কলেজে পড়তেন, জড়িত ছিলেন ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে উজ্জীবিত হেলেন মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই প্রশিক্ষণ নিয়ে লড়াইয়ে যোগ দেন। তিনি নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন। প্রথমদিকে পুরুষ মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বন্দুক নিয়ে চরাঞ্চল এবং নদীর তীরবর্তী এলাকায় সতর্ক পাহারা দিতেন হেলেনসহ আরো কয়েকজন দুঃসাহসী নারী। রাজাকাররা জেনে ফেলায় বেলকুচি আর্মি ক্যাম্প থেকে একদল পাকিস্তানি সেনা হামলা চালায়। তুমুল লড়াই বাঁধে। এক নারী মুক্তিযোদ্ধা ধর্ষিত হন। এরপরই হেলেন করিম মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রেনেড সরবরাহের দায়িত্ব পান। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তানি সেনা এবং রাজাকারদের অবস্থান ও পরিকল্পনা জানার জন্য গোয়েন্দাগিরির কাজ করেছিলেন এই দুঃসাহসী নারী। পাতিলে গ্রেনেড ভর্তি করে, তার উপর ডিম সাজিয়ে নিয়ে যেতেন এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত