সুশিক্ষা হলো সেই শিক্ষা, যা মানুষের বিবেক নৈতিকতার পথে ধাবিত করে। মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলে সমাজেও সেই মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাতে ভূমিকা পালন করে এবং আরো প্রকৃত মানুষ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রকৃতপক্ষে শিক্ষাগ্রহণ কোনো দিনও শেষ হয় না বরং তা চলমান একটি প্রক্রিয়া এবং জীবনের অংশ। এটি হলো প্রথম প্রকারের শিক্ষা। সামাজিক আচার-আচরণ, পারিবারিক মূল্যবোধ অর্জন, মিথস্ক্রিয়া, সততার মতো গুণাবলির শিক্ষাগ্রহণ এবং ধারণ করার শিক্ষা মূলত সুশিক্ষার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। কথাগুলো বলেন, শিক্ষক কর্মচারী এক্যজোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, নৈতিকতার শিক্ষার চর্চার অভাব প্রকট। জন্মের পর থেকে শিশু মা-বাবার কাছ থেকে যে শিক্ষা পাচ্ছে, তা নিয়ে সে বড় হচ্ছে। তার পারিবারিক মূল্যবোধ তার ওপর প্রভাব ফেলছে। কোনো পরিবারে মা-বাবার সঙ্গে সন্তানের দূরত্ব তার মনের ওপর প্রভাব ফেলছে। সবাইকে নিয়ে গড়ে ওঠার শিক্ষা সে পাচ্ছে না। আজ যখন বড় বড় ডিগ্রি নিয়েও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ না হয়ে বড় বড় দুর্নীতিতে যুক্ত হচ্ছে, তখন প্রশ্ন উঠতেই পারে যে শিক্ষা নিয়ে তাদের মধ্যে কেন অসততা প্রশ্রয় পাচ্ছে। শিক্ষিত হয়েও তারা নিজেকে সুশিক্ষিত করতে পারেনি। তিনি বলেন, শিক্ষা কাউকেই বিপথে চালিত করে না। মানুষকে পথ দেখায়। যদি কেউ সেই পথে না গিয়ে বিপথে যায়, তাহলে শিক্ষার দোষ দেয়া যায় না। শিক্ষাগ্রহণে ক্রটির কথা বলা যায়। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে যখন মানুষ বিনয়ী, অহংকারমুক্ত হয়, তখন তাকে জ্ঞান অর্জনের পথিক বলা যায়। জ্ঞানের ধর্মই বিনয়ী করা। আবার সুশিক্ষার কাজও তাই। মানুষকে মনুষ্যত্বের পথ দেখায়।