ডিএমপির গোয়েন্দা (ডিবি) ওয়ারী বিভাগের অপরাধ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাফল্যময় কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে অপহৃত ভিকটিম জাকারিয়াকে উদ্ধার ও মুক্তিপণ দাবিকারী সাতজন অপহরণকারীকে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে। ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম।
রাজধানীর ৩৬ পুরানা পল্টনের হোসেন ভবনের ৪র্থ তলায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিম জাকারিয়াকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে অপহরণে ব্যবহৃত দুটি পিস্তল, চারটি ম্যাগাজিন, ১৮ রাউন্ড গুলি এবং ইসলামি ব্যাংকের একটি চেক বই, একটি সিপিইউ ও একটি ড্রিল মেশিন উদ্ধার করা হয়। উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-ওয়ারী) আরো জানান, জাকারিয়া পটুয়াখালী পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাব-কন্ট্রাকটর। তিনি যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল মুসলিমনগর এলাকায় বসবাস করেন। তিনি গতকাল শুক্রবার বিকালে যাত্রাবাড়ীর ফ্লাইওভার থেকে অপহৃত হন। অপহরণকারীরা জাকারিয়ার পরিবারের সদস্যদের ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ওইদিন যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভিকটিমের স্ত্রী লাইজু ওরফে স্বর্ণা। উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-ওয়ারী) জানান, বিষয়টি যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের পাশাপাশি গুরুত্বসহকারে তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগ ও ডিবি সাইবার টেকনিক্যাল টিম। অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে রাজধানীর একাধিক স্থানে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম।
তদন্তকালে জানা যায়, ভিকটিমের একজন আত্মীয় অপহরণকারীদের দেয়া একটি বিকাশ নাম্বারে ২৫ হাজার টাকা প্রেরণ করেছে। টাকা উত্তোলন করতে গেলে অপহরণকারী দলের পলাতক একজনের স্ত্রী সুচনাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা-পুলিশ। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৩৬ পুরানা পল্টনের হোসেন ভবনের ৪র্থ তলায় মা প্রিন্টিং প্রেসে অভিযান চালিয়ে ভিকটিম জাকারিয়াকে উদ্ধার ও ছয়জন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।