বৈষম্যহীন ও ন্যায়নীতির নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়
ভালোবাসা এমনই এক অনুভূতি যাকে সংজ্ঞায়িত করা আসলেই অসম্ভব। ভালোবাসা মানে শুধু ভালোলাগা নয়। এই ভালোলাগায় থাকে মানসিক প্রশান্তি, থাকে আত্মার ও নীতির সম্পর্ক। ভালোবাসাই পারে সব ধরনের হিংসা-বিদ্বেষ বা হানাহানি থেকে সুন্দর এক পৃথিবী আমাদের উপহার দিতে। মানুষ শুধু বয়সেই বাঁচে না, মানুষ বেঁচে থাকে কর্মে। সুস্থধারার রাজনীতি ও কল্যাণের মাধ্যমে মানুষকে নিজের করে নেয়ার জন্য তেমনি নিবেদিত তানভীর আহমেদ রবীন। বিস্তারিত তুলে ধরছেন- মুহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
দায়িত্ববোধ, সম্মানবোধ, বাস্তবায়তা সবকিছুর মিলিয়েই যেন ভালোবাসার জন্ম। ভালোবাসার নির্দিষ্ট কোনো বয়স হয় না, না হয় নির্দিষ্ট মানুষ। যা নিজেই নিজের ভেতর লালন করতে হয় এবং ভালোবাসার মানুষের কাছে তা প্রকাশ করতে হয়। প্রতিহিংসা ও অহংবোধের প্রতিরোধে ভালোবাসায় বাঁচুক প্রতিটি মানুষ। এভাবেই সুন্দর কথাগুলো বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ তানভীর আহমেদ রবীন। পাঠকপ্রিয় জাতীয় দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের লেখক-পাঠক-শুভানুধ্যায়ীদের সংগঠন আলোকিত বন্ধু ফোরামের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই মানুষের জন্য কাজ করি। আমার দাদা, আমার বাবা সফল ৩ বারের সংসদ সদস্য আলহাজ সালাহউদ্দিন আহমেদের আদর্শ মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। আমার মায়ের একটি ইচ্ছে সব সময় দরিদ্র ও অসহায়দের জন্য কিছু করা। ছাত্রজীবন থেকেই আমি খুব সংগ্রাম করে বেড়ে ওঠেছি। নিজের চোখে দেখেছি আমার বাবার ত্যাগ সমাজ ও মানুষের জন্য।
তিনি আরো বলেন, ২০০৬ সালে আমি বাংলাদেশে আসার পর শ্যামপুর ইউনিয়নের শ্রমিক নেতা জাফর চাচার অনুপ্রেরনায় আমি প্রথম সভায় অংশগ্রহণ ও বক্তব্য প্রদান করি। ২০০৭ সালে তৃণমূলপর্যায়ে দলকে সমাদৃত করতে ছুটে চলি এলাকায় এলাকায়। সেই সময় খুব কাছ থেকে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা যেভাবে পেয়েছি, তা আমাকে দলের জন্য আরো বেশি দায়বদ্ধ তৈরি করে। আলহাজ তানভীর আহমেদ রবীন বলেন, আমার বাবা ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, শ্যামপুরে রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ নির্মাণ করেছেন। নাগরিক সুবিধা বাস্তবায়নে নিজের মেধা, শ্রম, চেষ্টা সবকিছুই দিয়েছেন।
তিনি বলেন, কোনো ধরনের অপরাধ ছাড়াই বিগত সরকারের আমলে ১০৭টি মামলা হয়েছে আমার নামে- যা প্রতিহিংসামূলক। শ্যামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে পথচলা শুরু, পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদক, ২০১৪ সালে মহানগর বিএনপির সদস্য, ২০১৭ সালে সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২০২৪ সালে সদস্য সচিব দক্ষিণ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি। তানভীর আহমেদ রবীন বলেন, ২০১২ সালে প্রথম আমাকে তারেক জিয়া ফোন করেন। তার ফোন পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত এবং উজ্জীবিত হই। তারেক রহমান শুধু একটি নাম নয়, একটি অস্তিত্ব, একটি প্রতিষ্ঠান, একজন সম্ভাবনাময় তরুণ উদীয়মান আগামীর রাষ্ট্রনায়ক। যার পিতা বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক এবং আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং মাতা মহিয়সী নারী, আপসহীন নেত্রী, তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী। পারিবারিক ঐতিহ্য, পিতার আদর্শ ও মাতার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের প্রভাব তাকে করেছে সমৃদ্ধ। এই সমৃদ্ধতা তারেক রহমানের জীবনে এক অনন্য সংযোজন। তারেক রহমান ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ জাতীয়তাবাদী রাজনীতি অকল্পনীয়। তরুণ ও সম্ভাবনাময় মানব সম্পদ তৈরির লক্ষ্যে তারেক রহমান বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী জনগোষ্ঠী বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে জাগ্রত ও সুসংগঠিত করার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে বিএনপি নতুন বাংলাদেশ গড়তে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ছাত্র-যুবকদের তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ তারেক রহমান ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারমুক্ত, বৈষম্যহীন ও ন্যায়নীতির নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন; আধিপত্যবাদের কবল থেকে দেশকে রক্ষা করবেন। বিএনপির রাজনীতিতে দখলবাজি, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও লুটপাটের স্থান নেই। দলের কেউ এসব অপরাধ ও অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আলহাজ তানভীর আহমেদ রবীন বলেন, তারেক রহমানের অনুপ্রেরণা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গতিশীল রাজনীতি এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে, বাংলাদেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষ, অগণিত তরুণ রাজনৈতিক কর্মী, কৃষক, শ্রমিক, পেশাজীবী ও সুশীল সমাজ। গৌরবময় পারিবারিক ঐতিহ্য তারেক রহমানকে জুগিয়েছে অনুপ্রেরণা, দিয়েছে আলোর পথ রাজনীতিতে সংযোজন করেছেন তিনি নিজস্ব স্বকীয়তা।