‘মানবিক মানুষ চাই’ এই মহান ব্রত নিয়ে এগিয়ে চলা শুদ্ধধারার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের সম্মিলন শুভজন। শুভজন দেশীয় শিল্প সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে শক্তিশালী বাহক হিসেবে কর্মময় ১২ বছর অতিক্রম করে প্রতিষ্ঠার ১৩ বছরে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে দীর্ঘ দুইবছর বিরতির পর আবারও শুরু হতে যাচ্ছে শুভজন পদক প্রদান অনুষ্ঠান। দেশের সার্বিক উন্নয়নে সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্পকলা বা সমাজ বিনির্মাণের বিভিন্ন শাখায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশি বা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকগণকে প্রতি বছর ‘শুভজন’ উপাধিতে ভূষিত করার পাশাপাশি ‘শুভজন পদক’ প্রদান করা হয়। পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য পুরস্কার হিসেবে নগদ ১০ হাজার টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড পদক সম্মানী হিসেবে দেয়া হয় এবং শুভজন’র নির্দিষ্ট নকশার একটি ব্রোঞ্জ এওয়ার্ড ট্রফি, শুভজন’র প্রশংসাপত্র এ পুরস্কারের অন্তর্ভুক্ত থাকে। কোনো ব্যক্তি একবার ‘শুভজন পদক’ পেলে তাকে পরবর্তীতে পদকের জন্য বিবেচনা করা হয় না। প্রাথমিকভাবে শুভজন মরণোত্তর পদক দেয়ার কোন সিদ্ধান্ত নেই বলে জানিয়েছেন শুভজনের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় নির্বাহী পর্ষদের কার্য-নির্বাহী সভাপতি তরুণ রাসেল। বিগত ১০ বছর যাবত এ পদক দেয়া হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় ‘শুভজন পদক ২০২৩ পাচ্ছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম। দেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও সংগীতাঙ্গনে তার অসামান্য অবদানের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাকে এ পদক দেওয়ার পাশাপাশি ‘শুভজন’ উপাধিতে ভূষিত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, খুরশীদ আলম বাংলাদেশের সংগীতজগতের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। তিনি প্রায় পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তন্মধ্যে বেশিরভাগ গানই চলচ্চিত্রের। জনপ্রিয় হয়েছে অসংখ্য গান। ৫০ বছরের সংগীত জীবনে ৪২৫টির বেশি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।