ঢাকা ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বৈষম্যহীন দেশ গড়ার আহ্বান

অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বৈষম্যহীন দেশ গড়ার আহ্বান

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলা সার্কিট হাউজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মুন্সীগঞ্জ জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে বিজয় মেলা ২০২৪-এর শুভ উদ্বোধন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত ও পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার। বিজয় দিবস কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেন জেলা পুলিশ দল, আনসার দল, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ স্কাউটস। ফাতেমা তুল জান্নাত বলেন, বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে গৌরব ও অহঙ্কারের বিষয় হলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। কোনো জাতির জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে শরিক থাকা, সামান্যতম অবদান রাখতে পারা যে কোনো ব্যক্তির জন্য গর্বের ব্যাপার। আমাদের গৌরবের জায়গা হলো এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি এবং সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি উদার, গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়েই এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যে জীবনকে তুচ্ছ করে, নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দেশমাতা ও মাতৃভূমিকে মুক্ত করে, স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয়ের পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছিলেন, তা নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অর্জন তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় একটি বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনা কোমলমতিদের হৃদয়ে গেঁথে দিতে হবে। এদের হাত ধরেই এ দেশ একদিন দুর্নীতিমুক্ত, হিংসামুক্ত, বৈষম্যহীন সোনার বাংলা গড়ে উঠবে। তিনি আরো বলেন, ২০২৪ সালে আমাদের সন্তানদের আত্মত্যাগ ভোলা যায় না। ৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরি এরা। একাত্তরে অন্যায় হয়েছিল। তখন বীর বাঙালি রুখে দাঁড়িয়েছিল। ২০২৪ সালেও অন্যায় হয়েছে, এবার আমাদের সন্তানরা রুখে দাঁড়িয়েছে। তারা তাদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে এক নতুন বাংলাদেশ দিয়ে গেছে। এসময় মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাকর্মীবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত