শুদ্ধ ধারার সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন শুভজন’র যুগপূর্তি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও দেশের শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজ বিনির্মাণে অনবদ্য ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মান জানাতে শুভজন গুণিজন সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার শুভজন গুণিজন সম্মাননা ২০২৪ পেলেন নজরুল সংগীতশিল্পী ও কবি শামীমা নাসরিন। গত ১৪ ডিসেম্বর শুভজন’র যুগপূর্তি উৎসবে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম।
‘শুভজন’র প্রতিষ্ঠাতা বাচিকশিল্পী তরুণ রাসেলের সঞ্চালনায় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়জী, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মাসিক সরগম সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন, বিশিষ্ট প্রযুক্তিবিদ মো: শাহিদ উল মুনির এবং বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক কবি ড. তৌহিদুল হক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বহুমুখী প্রতিভাবান শামীমা নাসরিন সংগীতের পাশাপাশি সমানতালে সরব রয়েছেন লেখালেখিতেও। বাংলাদেশ বেতার এবং টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত নজরুল সংগীতশিল্পী শামীমা নাসরিন ‘পুতুলের বিয়ে’ নামে একটি কবিতার মাধ্যমে শৈশবেই লেখালেখির জগতে প্রবেশ করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে অনার্স প্রথমবর্ষে থাকাকালীন সময়ে শামীমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘তুমি যে আমার কবিতা’ প্রকাশিত হয়। বইটি সেসময় ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায় যারফলে বইটির তৃতীয় মুদ্রণ করতে হয়। শামীমার অন্যান্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হলো- তুমি যে আমার কবিতা, কবিতার নির্বাসন, ফেরারি কবিতা, কবিতার প্রহর, কবিতার অন্বেষণে এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ কবিতার সাতকাহন। শামীমা নাসরিন তার লেখা কবিতার প্রতিটি কাব্যে শব্দের গাঁথুনি দিয়ে নান্দনিকভাবে তুলে ধরেন স্বপ্ন কিংবা সমাজ ভাবনা, প্রেম-ভালোবাসা এবং বিরহের মোলায়েম আকুতি। দেশের গান এবং কবিতার প্রতি শামীমার বিশেষ টান বা মায়া জড়িয়ে আছে। সুযোগ পেলেই দেশকে নিয়ে গাইতে এবং লিখতে ভালোবাসেন। শুদ্ধধারার সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন শুভজন‘র সহ-সভাপতি এবং আলোকিত বন্ধু ফোরামের বন্ধু শামীমা নাসরিনের শুভজন গুণিজন সম্মাননা ২০২৪ প্রাপ্তিতে আলোকিত বন্ধু ফোরামের পক্ষ থেকে রইলো নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।