ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মুফতি বশিরুল হাসান খাদিমানি

প্রধান মুফতি, মারকাযুন নুর ইসলামবাগ, চকবাজার, ঢাকা
মুফতি বশিরুল হাসান খাদিমানি

প্রশ্ন : মেয়েদের মাসিক অবস্থায় কি রোজা রাখতে হয়?

উত্তর : না, মাসিক অবস্থায় রোজা রাখতে হয় না। তবে মাসিকের কারণে যে কয়টি রোজা রাখা সম্ভব হবে না, রমজান মাস শেষ হলে যত দ্রুত সম্ভব সে কয়টি রোজা আদায় করে নিতে হবে। (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/৩৮)।

প্রশ্ন : রোজা রাখার পর সকালে, দুপুরে বা বিকালে অর্থাৎ সূর্যাস্তের আগে যে কোনো সময় কোনো প্রাপ্তবয়স্কা নারীর মাসিক শুরু হলে অবশিষ্ট দিনের রোজা রাখতে হবে?

উত্তর : না, অবশিষ্ট দিনের রোজা রাখতে হবে না। তবে ঋতুবতী নারী ওই দিনের অবশিষ্ট অংশে এবং মাসিক চলাকালীন দিনগুলোতে মানুষের দৃষ্টির আড়ালে পানাহার করবে। খাবার না খেয়ে রোজাদারের মতো থাকাকে জরুরি মনে করলে গোনাহ হবে। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি : ১/২১৫, ফতোয়ায়ে খানিয়া : ১/২১৮)।

প্রশ্ন : গর্ভবতী নারীর জন্য কি রোজা না রাখার অনুমতি আছে?

উত্তর : রোজা রাখলে গর্ভবতী নারীর নিজের বা তার গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তার জন্য রোজা না রাখার অনুমতি আছে। কিন্তু পরে এ রোজা আদায় করতে হবে। (আল মুহিতুল বোরহানি : ৩/৩৫৯, আদ্দুররুল মুখতার : ২/৪২২)।

প্রশ্ন : রমজান মাসে বাচ্চা প্রসবকারী মায়ের কি নামাজ-রোজা করতে হবে?

উত্তর : না, নামাজ-রোজা করতে হবে না। কেননা, সন্তান প্রসবের সময় থেকে সর্বোচ্চ চল্লিশ দিন পর্যন্ত জরায়ু থেকে রক্ত বের হলে প্রসূতি মায়ের এ সময়গুলোতে নামাজ ও রোজা না করার বিধান রয়েছে। পরবর্তী সময়ে রোজাগুলো আদায় করতে হবে। তবে নামাজ আদায় করতে হবে না। উল্লেখ্য, চল্লিশ দিনের আগে রক্ত বের হওয়া বন্ধ হয়ে গেলে গোসল করে তখন থেকেই নামাজ-রোজা করতে হবে। (আল মাবসুত লিস সারাখসি : ২/১৯, ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/৩৭, মুসনাদে দারেমি : ১০৩৭)।

প্রশ্ন : রমজানে দিনের বেলা মাসিক বন্ধ হলে দিনের বাকি অংশে খাবার খেতে পারবে?

উত্তর : না, খেতে পারবে না। রমজানের সম্মানার্থে দিনের বাকি অংশ পানাহার থেকে বিরত থাকবে। তবে পরে এ দিনের রোজাও কাজা করতে হবে। (রদ্দুল মুহতার : ১/২৫৩, ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া : ৩/৪২৮)।

প্রশ্ন : শিশু বুকের দুধ খায়, মা রোজা রাখলে শিশু দুধ পায় না; এ অবস্থায় মা রোজা ভাঙতে পারবে?

উত্তর : দুধ না পাওয়ার কারণে সন্তানের স্বাস্থ্য-ঝুঁকির শঙ্কা হলে মা রোজা ভাঙতে পারবেন। তবে পরে এ রোজা রাখতে হবে। (তিরমিজি : ৭১৫, রদ্দুল মুহতার : ২/৪২২)।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত