মুফতি বশিরুল হাসান খাদিমানি
প্রধান মুফতি, মারকাযুন নুর ইসলামবাগ, চকবাজার, ঢাকা
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
প্রশ্ন : রমজান মাসে দিনের বেলা খাবারের হোটেল, চায়ের দোকান খোলা রাখা এবং খাবার বেচাকেনা করা যাবে?
উত্তর : রমজান মাসে খাবারের হোটেল বা চায়ের দোকান খোলা রাখা জায়েজ নেই। দিনের বেলা তাৎক্ষণিক খাওয়ার জন্য খাবার বেচাকেনা করাও জায়েজ নেই। রমজানের সম্মানার্থে খাবারের হোটেল বন্ধ রাখতে হবে। খাবারের হোটেল বা রেস্টুরেন্ট খোলা রাখলে গোনাহগার হবে। তবে ইফতারের কিছুক্ষণ আগে ইফতারসামগ্রী বেচাকেনা করা জায়েজ। (ফতোয়ায়ে রহিমিয়া : ৭/২০৫)।
প্রশ্ন : অসুস্থ ব্যক্তির রোজা না রাখার অনুমতি আছে?
উত্তর : হ্যাঁ, অসুস্থ ব্যক্তির রোজা না রাখার অনুমতি আছে। যদি তার অসুস্থতা এ পর্যায়ের হয়, রোজা রাখলে তার অঙ্গহানি বা মৃত্যু হওয়ার শঙ্কা থাকে কিংবা অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার ভীষণ ভয় থাকে, তাহলে সে অসুস্থ অবস্থায় রোজা রাখবে না। সুস্থ হওয়ার পর এ রোজা কাজা করতে হবে। (ফতোয়ায়ে রহিমিয়া : ৭/২৭০)।
প্রশ্ন : কোরআনের সেজদায়ে তেলাওয়াত কীভাবে আদায় করতে হয়?
উত্তর : সেজদায়ে তেলাওয়াত আদায় করার উত্তম নিয়ম হলো, দাঁড়িয়ে নিয়ত করবে; তারপর হাত তোলা ছাড়া আল্লাহু আকবার বলে সোজা সেজদায় চলে যাবে। সেজদায় তিনবার ‘সুবহানা রব্বিয়াল আলা’ পড়বে। এরপর আবার আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে যাবে। সেজদায়ে তেলাওয়াতে শুধু একটি সেজদা করতে হয়। (আদ্দুররুল মুখতার : ২/১০৭, ইলাউস সুনান : ৭/২৪৯-২৫০)।
প্রশ্ন : নারীরা মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে তারাবির নামাজ পড়তে পারবেন?
উত্তর : জামাতের সঙ্গে তারাবির নামাজ পড়ার জন্য নারীদের মসজিদে যাওয়া বা নিজ বাড়ির বাইরে অন্য কোথাও যাওয়া উচিত নয়। তারাবির নামাজ নারীদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মতো ঘরে একাকী পড়াই উত্তম। তবে কোনো নারী নিজ বাসা-বাড়িতে নিজের মাহরাম পুরুষের পেছনে জামাতের সঙ্গে তারাবির নামাজ পড়তে পারবেন। তখন নারীরা পেছনের কাতারে দাঁড়াবেন। (আদ্দুররুল মুখতার : ১/৫৭২, মুসান্নাফে আবদির রাজ্জাক : ২/৪০৭)।
প্রশ্ন : বার্ধক্য বা কঠিন কোনো রোগের কারণে কেউ রোজা রাখতে না পারলে কী করবে?
উত্তর : অতিশয় দুর্বল, রোজা রাখতে অক্ষম বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা কিংবা মৃত্যুশয্যায় শায়িত কোনো রোগী সুস্থ হয়ে রোজা রাখার সক্ষমতা ফিরে পেলে সে অসুস্থতার সময় ছুটে যাওয়া রোজার কাজা করবে। আর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে বা সুস্থ হয়ে রোজা রাখার শক্তি সামর্থ্য ফিরে না পেলে সে প্রতি রোজার জন্য একটি ফিদয়া আদায় করবে। ফিদয়া হলো, প্রতি রোজার জন্য একজন মিসকিনকে তৃপ্তিসহ পেটভরে দু’বেলা খাবার খাওয়ানো বা এর মূল্য দেওয়া অথবা একটি সদকাতুল ফিতর পরিমাণ অর্থ দেওয়া। (আদ্দুররুল মুখতার : ২/৪২৬-৪২৭)।