প্রশ্ন : সাহরি খাওয়া কী?
উত্তর : সাহরি খাওয়া সুন্নত। পেট ভরে খাওয়া জরুরি নয়। এক ঢোক পানি পান করলেও সাহরির সুন্নত আদায় হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা সাহরি খাও। কেননা, সাহরিতে বরকত রয়েছে।’ (মুসলিম : ১/৩৫০)। অন্য হাদিসে এসেছে, ‘সাহরি খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সাহরি কর। কারণ, যারা সাহরি খায়, আল্লাহতায়ালা তাদের ওপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন।’ (মুসনাদে আহমদ : ৩/১২, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ৯০১০, সহিহ ইবনে হিব্বান : ৩৪৭৬)।
প্রশ্ন : সাহরি খাওয়ার উত্তম সময় কখন?
উত্তর : সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময় সাহরি খাওয়া মুস্তাহাব। তবে এত দেরি করা মাকরুহ যে, সুবহে সাদিক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘সব নবীকে সময় হওয়ার পরপরই ইফতার তাড়াতাড়ি করতে এবং সাহরি শেষ সময়ে খেতে আদেশ করা হয়েছে।’ (আল মুজামুল আওসাত : ২/৫২৬, মাজমাউয যাওয়ায়েদ : ৩/৩৬৮)। আমর ইবনে মাইমুন আল আওদি বলেন, ‘সাহাবায়ে কেরাম দ্রুত ইফতার করতেন আর বিলম্বে সাহরি খেতেন।’ (মুসান্নাফে আবদির রাজ্জাক : ৭৫৯১, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ৯০২৫)।
প্রশ্ন : ইফতারের উত্তম সময় কখন?
উত্তর : দেরি না করে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা মুস্তাহাব। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যতদিন মানুষ দেরি না করে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের ওপর থাকবে।’ (বোখারি : ১/২৬৩)।
প্রশ্ন : মাগরিবের আগে ইফতার করলে নামাজের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে; এ ক্ষেত্রে করণীয় কী?
উত্তর : মাগরিবের নামাজ পড়ার আগেই ইফতার করে নেবে, যেন সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করার সওয়াব পাওয়া যায়। কেননা, আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) মাগরিবের নামাজ পড়ার আগে তাজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তাজা খেজুর না পেলে শুকনো খেজুর দ্বারা। আর তাও না পেলে এক ঢোক পানি দ্বারা ইফতার করতেন।’ (তিরমিজি : ৬৯২)। তবে খুব বেশি সময় ইফতারে ব্যয় করা অনুচিত, যাতে মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ না হয়ে যায়।