মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ

খতিব, কাজী ফিরোজ রশিদ জামে মসজিদ, ঘাঘর বাজার, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ

প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

প্রশ্ন : কোনো কোনো এলাকার জামে মসজিদে পূর্ণ দশ দিন ইতেকাফে বসার জন্য কেউ প্রস্তুত হয় না। অবশ্য তিনজন মিলে ভাগ করে থাকতে চেয়েছে। এতে কি সুন্নত ইতেকাফ আদায় হবে এবং এলাকাবাসী সুন্নত ইতেকাফের দায়িত্ব থেকে মুক্ত হতে পারবে?

উত্তর : না, এভাবে কারও সুন্নত ইতেকাফ আদায় হবে না এবং এলাকাবাসী সুন্নত ইতেকাফ থেকে দায়মুক্ত হবে না। কারণ, সুন্নত ইতেকাফের জন্য একজন হলেও রমজানের শেষের পুরো দশ দিন ইতেকাফ করতে হবে। তিনজন ভাগ করে দশ দিন অবস্থান করলে কারও সুন্নত ইতেকাফ আদায় হবে না; সেটা নফল ইতেকাফ বলে গণ্য হবে। (ফাতহুল কাদির : ২/৩০৫, আল বাহরুর রায়েক : ২/২৯৯, হাশিয়াতুত তাহতাবি আলাল মারাকিল ফালাহ : ৩৮২, রদ্দুল মুহতার : ২/৪৪৫)।

প্রশ্ন : পাঞ্জেগানা মসজিদে ইতেকাফ শুরু করার পর জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়ে যদি অবশিষ্ট দিনগুলোর ইতেকাফ সেখানেই সমাপ্ত করে, তবে এতে ইতেকাফ সহিহ হবে কী?

উত্তর : এ ক্ষেত্রে ইতেকাফ সহিহ হবে। কেননা, পাঞ্জেগানা মসজিদে ইতেকাফ শুরু করার পর জুমা আদায়ের প্রয়োজনে জামে মসজিদে গেলে এবং সেখানে থেকে গিয়ে বাকি দিনগুলোর ইতেকাফ পূর্ণ করলে ওই ইতেকাফ আদায় হয়ে যায়। তবে ফকিহরা শরয়ি প্রয়োজন (যেমন- মসজিদ ভেঙে পড়া ইত্যাদি) ছাড়া এমন করা অনুত্তম বলেছেন। (আল মাবসুত লিস সারাখসি : ৩/১১৭, বাদায়েউস সানায়ে : ২/২৮৩, ফাতহুল কাদির : ২/৩১০, আল ইনায়া : ২/৩১০, ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া : ৩/৪৪৫)।

প্রশ্ন : মসজিদের ভবন পুরোনো হয়ে যাওয়ায় পুনর্নির্মাণের জন্য ভাঙা হলো। এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে নামাজের জন্য বরাদ্দ ঘরে ইতেকাফ করা যাবে কী?

উত্তর : সুন্নত ইতেকাফের জন্য শরয়ি মসজিদ হওয়া জরুরি। অস্থায়ী নামাজঘরে ইতেকাফ সহিহ নয়। তাই ইতেকাফকারীরা অন্য কোনো মসজিদে গিয়ে ইতেকাফ করবেন। আর কোনো মসজিদ নির্মাণাধীন হলে মসজিদে শরয়ির সুব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত সেখানে ইতেকাফ না করলেও চলবে। এতে কোনো অসুবিধা হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে : ২/২৮০, তাবয়িনুল হাকায়েক : ২/২২৫, ইমদাদুল আহকাম : ১/৪৪৭)।