প্রথম কিস্তি

ইসলাম প্রশ্নে চীনের চরিত্র

মুসা আল হাফিজ

প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

এক.

‘আমরা কি ধর্মীয় স্বাধীনতা সমর্থন করি? হ্যাঁ, করি। আমরা কি ধর্মীয় বিশ্বাস নস্যাৎ করতে চাই? হ্যাঁ, চাই।’ চীনা কমিউনিস্টদের অন্যতম নীতিগ্রন্থ ‘জেন মিন জিহ পাও’ এ কমিউনিস্ট চীনের এ দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার করা হয়। পরস্পরবিরোধী এ নীতি মূলত একই বিষয়ে ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ বাচক। বিষয়টি ধর্মীয় স্বাধীনতা। একে চীনা কমিউনিজম সমর্থন করতে চায় আবার নস্যাৎও করতে চায়। উভয়টি একসঙ্গে কীভাবে সম্ভব? চীন উভয়টিকেই সম্ভব করে তোলে। সে একই সঙ্গে ধর্মকে ঘরে থাকতে দেয় এবং দেয় না। একই সঙ্গে ধর্মকে ‘হ্যাঁ’ বলে এবং ‘না’ও বলে। চেয়ারম্যান মাও সে তুং ভালো নজির। চায়না কম্যুনিজমের সংবিধানতুল্য তার নীতিগুলো পরবর্তী চীনের চরিত্র ঠিক করে দেয়।

‘যারা ধর্মে বা ভাববাদে বিশ্বাস করেন, রাজনীতিতে তাদের সঙ্গে যৌথ ফ্রন্ট হয়ে আমরা কাজ করতে পারি। যারা দার্শনিক ভাববাদী-ধার্মিক, তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো লেনদেন নেই।’ (মাও সে তুং : নতুন গণতন্ত্র, সরোজ কুমার দত্ত অনূদিত, কলকাতা, ১৯৪৫)। শুধু ভাববাদ আর দার্শনিক ভাববাদের ফারাকটা কোথায়? নিশ্চয় সে ফারাক প্রকাণ্ড বলেই একটার সঙ্গে দহরম-মহরম চলে, আরেকটার মুখ দেখাও হয়ে যায় হারাম। মাও সে তুং ফারাক খোলাসা করেননি। তাহলে কী দিয়ে আমরা বুঝব দুই ভাববাদের ভেদ? ও মার্কস! ও মাও সে তুং! এই ভেদ মার্কস-মা ও সে তুং এ পাব কই? এটা চায়না কমিউনিজমের এক বিশেষ প্রকাশ, যাকে কাজে লাগায় তারা ধর্মপ্রশ্নে নিজের বিশেষ রূপকে আড়াল করার জন্য।

কী সেই বিশেষ রূপ?

১৯৫৪ সালে পিকিং থেকে প্রকাশিত গণচীনের শাসনতন্ত্র এর ৮৮ নম্বর ধারা স্পষ্ট ঘোষণা করে, ‘গণচীনের নাগরিকরা ধর্মীয় বিশ্বাসের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।’ এ কোন বিশ্বাস? - মাও সে তুং কথিত ধর্মশাসিত ‘ভাববাদী’ বিশ্বাস না ‘দার্শনিক ভাববাদী’ বিশ্বাস? প্রথমটি যদি হয়, কম্যুনিস্ট চীন তাকে সহ্য করবে, কিন্তু পরেরটিকে সহ্য করবে না। অথচ উভয়টিই মাও সে তুং-এর কাছে ধর্মীয় বিশ্বাস! তাহলে কম্যুনিস্ট চীনে ধর্মীয় বিশ্বাসের স্বাধীনতা আছে, কথাটার অর্থ কী?

মাও যাকে বলেছেন ‘ সহনীয়’ তাকে কিন্তু সহনীয় বলে মানেনি বেইজিংপন্থি কম্যুনিস্ট কর্মপন্থা। সে ধর্ম বলতে সব কিছুকেই এক কথায় প্রত্যাখ্যান করেছে, কুসংস্কার বলেছে। লি উই হান এর ঘোষণা-

‘আমরা, কম্যুনিস্টরা জড়বাদী, কোনোই ধর্ম মানি না, প্রত্যাখ্যান করি।’ ১৯৫৬ সালে চীনা কম্যুনিস্টদের অষ্টম পার্টি কংগ্রেস এ ঘোষণায় একাত্মতা জানায় পুরোপুরি। হো চে জিয়াং ঘোষণা করেন ‘যখন আমরা স্কুলে বিজ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞান শেখাই, ধর্মকে সেখানে কুসংস্কার হিসেবে দেখাই। এ আমাদের নীতি।’ হো চেং ছিলেন চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির ধর্মবিষয়ক ব্যুরো প্রধান। তার এ ঘোষণা বাস্তবায়িত হচ্ছিল এবং হচ্ছে। তাহলে মাও এর ‘ভাববাদ’ সহ্য করা কিংবা শাসনতন্ত্রে বর্ণিত ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ’ কথাটা রহস্যময় ঠেকছে না?

হ্যাঁ, এ রহস্য চীনের রাজনীতি ও কৃৎকৌশলের বিশেষ দিক। যেখানে তাকে আপনি চিনতে পারবেন না। এই চিনতে না পারা চীনকে করে অধরা, যার ফলে সে একই প্রশ্নে ‘আছি’ এবং ‘নেই’-এর অভিনয় করে যেতে পারে অবলীলায়।

কিন্তু ইসলাম প্রশ্নে? এখানে ধূম্রজাল কম। পাড় কম্যুনিস্টরা ইসলামকে ‘ভাববাদ’ হিসেবে নয় বরং মাও কথিত ‘দার্শনিক ভাববাদ’ রূপে দেখে। যাকে সহ্য না করার নীতি পূর্বঘোষিত।

তাকে হুমকি হিসেবে দেখা হবে এবং ধর্মীয় অধিকারে সহনশীলতার প্রশ্ন কারো বিবেকে জাগ্রত হলে কম্যুনিস্ট মন বলবে ‘ইসলাম তো কোনো ধর্ম নয়, একটি প্রতারণা।’ চীনা কম্যুনিজম সেই মন তৈরিতে যত্নবান। অতএব লু হং চির ঘোষণা বারবার উদ্ধৃত হয় ‘আপনারা সেই মুহম্মদকে জানেন, যিনি এক হাতে তলওয়ার ও এক হাতে ধর্মীয় কেতাব রাখতেন। কিন্তু আপনারা সেই মুহম্মদকে চিনেন না, যিনি এক হাতে বন্দুক রেখে অন্য হাতে অর্থ গ্রহণ করতে পারতেন। হ্যাঁ, তার আরো একটি হাত ছিল, যে হাতে তিনি নীতিবাক্য ধরে রাখতেন। অর্থাৎ তার ছিল তিনটা হাত।’ কোয়াং মিং জি পাও এর ১০ জানুয়ারি, ১৯৫১ সংখ্যায় লুহুং চির একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। এতে স্পষ্টভাবে তিনি মহানবীর (সা.) প্রতি আক্রমণ করেন। লুহুং চির দাবি, ইসলামের নবীর ঐশীবাণী লাভের দাবি ছিল প্রতারণা এবং কোনো সততার মধ্য দিয়ে ইসলাম আরবকে অধিকার করেনি। তিনি বর্বর একটি ধর্ম এনেছেন, যা কোনো সংস্কৃতিকে বিকশিত করেনি। বরং সে সংস্কৃতির জন্য হুমকি। সভ্যতা ও প্রগতির প্রতিপক্ষ। এই যে আক্রমণ, তা কোনো বিচ্ছিন্ন ব্যাপার ছিল না। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির দৃষ্টিভঙ্গি একে প্রণোদিত করছিল। কিন্তু ইসলাম প্রশ্নে চীনের দৃষ্টিভঙ্গির এটাই একমাত্র চিত্র নয়। বরং আমরা দেখব লুহুং চির প্রবন্ধের প্রতিবাদে মুসলমানরা বিক্ষোভ করেন। পিকিং শহর উত্থাল হয়ে ওঠে।

কমিউনিস্ট নেতৃত্ব পিছু হটে এবং আক্রমণের বদলে সম্মতিমূলক বশীকরণের চেষ্টা চালায়। মুসলিমদের প্রতি বাড়িয়ে দেয় বন্ধুত্বের হাত। মুসলিম অঞ্চলগুলোতে প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়। মুসলিমদের একসঙ্গে যুক্তকরণ নীতির ওপর জোর দেওয়া হয়। যার দাবি হলো চীনা কমিউনিস্ট দর্শন ও নিয়মণ্ডনীতিকে ইসলামের বিশ্বাস ও সংস্কৃতির জায়গায় প্রতিস্থাপন। ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোকে কাছে টানার চেষ্টায় ধর্মীয় স্বাধীনতাকে স্বীকার করা হয়। চীনা ইসলামি সমিতি, চীনা হুই সমিতি ইত্যাদি গঠিত হয়। মুসলিম ইমামদের প্রশিক্ষিত করা হয় যেন তারা কোরআনের মাধ্যমে কমিউনিজমকে প্রমাণ করেন।

মাও সে তুং-এর বিপ্লবের অনুগামী হওয়ার মধ্য দিয়ে মুসলমানরা যেন কোরআনের অনুসারী হন, সেই আহ্বানসহ বিভিন্ন ভাষায় রচিত হয় বহু গ্রন্থ, এমনকি আরবি ভাষায়ও। চীনা মুসলিমদের প্রগতির জন্য জোরদার প্রচেষ্টা চলতে থাকে। এই প্রচেষ্টার স্লোগান ও বক্তব্যগুলো ছিল সুন্দর। কিন্তু মূল বার্তা ছিল নিজেদের উন্নতির জন্য চীনা মুসলিমদের নিজেদের সাংস্কৃতিক সত্তা ত্যাগ করতে হবে! যারা এই অবস্থানকে কবুল করছিলেন, তারা রাষ্ট্রের সহায়তা পেয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে ধর্মীয় নেতাদের মুসলিম দেশগুলোতে প্রতিনিধি বানিয়ে পাঠানো হয়। যেন চীনে ইসলাম কত আদরে আছে, সেই ইতিবৃত্ত তারা প্রচার করেন। মুসলিমদের বন্ধু চীনের পক্ষে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর অবস্থানকে প্রভাবিত করেন এবং অনুকূল মতামত উৎপাদন করেন। এ লক্ষ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ, ক্রোড়পত্র, ম্যাগাজিন, প্রতিবেদন ও গবেষণাপত্রগুলোর সংখ্যা ছিল বিপুল। যেখানে উজ্জ্বলভাবে দেখা যেত ইসলামের বন্ধু এক চীনের চেহারা!

চীনের ইসলামনীতি কোনো বিশেষ এক খাতে প্রবাহিত নয়। ইসলাম ও মুসলিমদের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের বৈরিতা ও সম্পর্ক রক্ষার এক অদ্ভুত ধারাবাহিকতা রয়েছে। সেখানে চীনা মুসলিমদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট যেমন আছে, তেমনি আছে ইসলামি ঐতিহ্যের দিকগুলোকে ধারণ করার পথে বহুমাত্রিক প্রতিকূলতা।

দুই.

মধ্যযুগীয় চীনের ইতিহাস ও চৈনিক সভ্যতায় মুসলিমদের গভীর ও সুস্পষ্ট প্রভাব ছিল। চীনা সাম্রাজ্যের উদয়কালে সেখানকার রাষ্ট্র, রাজনীতি, স্থাপত্য, সমর, অর্থনীতি, বাণিজ্য, শিল্পকলা, নগরায়ন, নৌবিদ্যা ও নৌযাত্রা, আইন, সংগীত ও সাহিত্যে মুসলিমরা আপন অবদান ও প্রভাব সম্প্রসারিত করেন। মুসলিমরা চীনের কাছ থেকে উপকৃত হয়েছেন কিছু বিষয়ে, তবে চীনকে তারা যা দিয়েছেন, এর প্রভাব ও সুফল হয়েছে ব্যাপক ও গভীর।

কিন্তু চীন ইসলামের সঙ্গে আচরণ করেছে তার বিশেষ স্বভাবকে অবলম্বন করেই। এখানে নানা চড়াই-উতরাই, নানা ধারা ও ধরন, নানা পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটের ওঠানামা রয়েছে। ইসলামের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের দেড় হাজার বছর অতিবাহিত হচ্ছে। এই দীর্ঘ ধারাবাহিকতায় ইসলাম প্রশ্নে চীনের মন কেমন, তার ভাষা ও বৈশিষ্ট্য কী, তার চরিত্র ও চাহনি কেমন, তা দেখার দৃষ্টিপথ অনেক দীর্ঘ ও প্রসারিত হওয়ার কথা। দীর্ঘ এই প্রেক্ষাপটে চীন বরাবরই থেকেছে আপন ঐতিহ্যের প্রশ্নে গোঁড়া ও অনমনীয়। নিজেদের কৃষ্টির প্রতি চীনা অভিমান তাকে কৌশলী ও উপায়সন্ধানী রেখেছে। নিজের প্রয়োজনে, বিশেষ মাত্রা ও ধরনে মুসলিম সভ্যতার সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখেছে চীন। এরই সমান্তরালে নিজস্ব ধরনে বয়ে চলেছে লড়াই ও শত্রুতার বিশেষায়িত স্রোত। বন্ধুতা হোক বা শত্রুতা, সবখানেই চীন চেয়েছে পরিস্থিতির সর্বোচ্চ সুবিধা। এই সম্পর্কের মূলে ছিল দুই মূলনীতি। এক. ঝাংগুয়ো বা চীনাদের দেশই পৃথিবীতে আসল দেশ। দুই. ঝংগুরা বা চীনাদের সভ্যতা সংস্কৃতিই সব সভ্যতার মূল, সংস্কৃতির অধিশ্বর।

তিন.

চীনে ইসলামের আগমন ঘটে খ্রিষ্ট্রীয় সপ্তম শতকে। সেখানে ইসলামের প্রাথমিক প্রসারকাল অব্যাহত ছিল সপ্তম শতক থেকে দশম শতক অবধি। বাণিজ্য, অভিবাসন, যুদ্ধ ও কূটনৈতিক বিনিময়ের মধ্য দিয়ে এই ধারা অব্যাহত থেকেছে। সেখানে ইসলাম ছড়ায় খুব ধীরে ধীরে, সমুদ্রউপকূলীয় এলাকা দিয়ে, পাহাড়ি অঞ্চল ভেদ করে স্থলপথ দিয়ে এবং বিখ্যাত রেশম সড়ক দিয়ে। আমেরিকান নৃতত্ত্ববিদ ‘কার্টিস গ্যাডনি তার বিখ্যাত অভিসন্দর্ভ Muslim Tombs & Ethnic Folklore-Hui Identity চীনে ইসলামের প্রসার ও মুসলিম জীবন নিয়ে আলোকপাত করেন। চীনা কিংবদন্তিকে অবলম্বন করে গ্যাডনি দেখান, চীন ইসলামের সঙ্গে পরিচিত হয় ৬১৬-১৮ খ্রিষ্টাব্দে। মহানবী (সা.) এর বিখ্যাত সাহাবি সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস, সাঈদ, ওহাব ইবনে আবি কাবশা (রা.) (অনেকের মতে তিনি আবু কাবশা তথা হারিস ইবনে আবদুল উজ্জার সন্তান) এবং আরও একজন সাহাবি চীনে আগমন করেন এবং ইসলামের বিস্তারে কাজ করেন। ফিলিবের্ত ডেবরি দ্য থিয়েরসান্ট (১৮২৬-১৮৯৮) চীন ও ইসলামের সম্পর্ক প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ গবেষক। ফরাসি ভাষায় রচিত খব mahométisme en Chine et dans le Turkestan oriental এর প্রথম খণ্ডে তিনি দেখান ওহাব (রা.) চীনে আসেন সাগরপথে। ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ক্যান্টন বন্দরে উপনীত হন। টমাস আর্নল্ড তাঁর দ্য প্রিচিং অব ইসলামে লেখেন, ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে ওহাব ইবনে আবি কাবশাকে পত্রসহ চীনের সম্রাটের কাছে পাঠান আল্লাহর রাসুল (সা.)। এ সময়ে তিনি দুনিয়ার প্রধান প্রধান রাজাদের কাছে দাওয়াতি পত্র পাঠাচ্ছিলেন। সহযাত্রীদের নিয়ে ওহাব (রা.) সমুদ্রপথে চীনের ক্যান্টন বন্দরে উপনীত হলে সম্রাট তাঁদেরকে সংবর্ধনা জানান এবং চীনে প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচারের অনুমতি দেন। সেখানে তারা চার বছর অবস্থান করেন এবং ইসলাম প্রচার করেন। তারপর ফিরেন মদীনায়। তখন ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ। মহানবী (সা.) এর ইন্তেকাল হয়ে গেছে। নবীবিহীন মদিনায় গিয়ে সাহাবির হৃদয় ভেঙে যায়। কিছু দিন পরে তিনি আবার ক্যান্টনে ফিরে আসেন। সঙ্গে করে নিয়ে আসেন আবু বকর (রা.) কর্তৃক সংকলিত পবিত্র কোরআনের একটি প্রতিলিপি। ক্যান্টনে তিনি বেশি দিন জীবিত থাকেননি। অসুস্থ হন এবং সেখানেই ইন্তেকাল করেন। টমাসের মতে, ওহাব বিন আবি কাবশা ছিলেন রাসুলে পাকের (সা.) মামা। কিছু অসমর্থিত সূত্রে দাবি করা হয় সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.) ইউনান-মনীপুর, চট্টগ্রাম হয়ে চীনে আসেন ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে। (চলবে)