বাংলাদেশের কয়েক মিলিয়ন কর্মী সউদির উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন জানিয়ে সউদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৪/৫ হাজার ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সউদি আরবের সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক রয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সউদী আরবের সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সউদী সরকার সব সময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। রুট টু মক্কা উদ্যোগের মাধ্যমে হাজীদের সেবার মান আগের থেকে অনেক বাড়ানো হয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রোজ সোমবার বিকালে বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনের একটি হোটেলে রাজকীয় সউদী দূতাবাসের রিলিজিয়াস অ্যাটাশি অফিস আয়োজিত হিফজুল কোরআন চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সউদী দূতাবাসের কর্মকর্তা সাদওয়াদ সোয়াব, প্রতিযোগিতার বিচারক হুফফাজুল কোরআন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারী শাইখ আব্দুল হক, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাহ মোহাম্মদ শামছুদ্দিন প্রমুখ।
সউদী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেন, বাংলাদেশে সউদী আরবের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশিদেরও সউদী আরবে বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের জন্য বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের জন্য কিং সালমান ফাউন্ডেশন ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, কেয়ামতের দিন কোরআনের হাফেজরা অনেক সম্মানিত ও মর্যাদাবান হবেন। এজন্য সউদি আরবের বর্তমান বাদশা ও যুবরাজ সব সময় কোরআনের প্রচার-প্রসারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আসছেন।
প্রতি বছর বিভিন্ন ভাষায় কোরআন অনুবাদ করে বিতরণ করে থাকে সউদি সরকার। বাংলাদেশেও এ বছর কোরআনের ১০ লাখ কপি বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশি হাফেজরা বিশ্বের কোরআন হিফজ প্রতিযোগিতায় নিয়মিত ভালো করে আসছে। বাংলাদেশিরা সউদি আরবে হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হাফেজ তাকরিমকে আমরা সম্মাননা জানিয়েছিলাম।
সম্প্রতি যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করেছেন তাদেরও রাজকীয় সউদী দূতাবাস সম্মাননা জানাবে। জানা যায়, রাজকীয় সউদী দূতাবাসের রিলিজিয়াস অ্যাটাশি অফিস আয়োজিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা গত ২ মাস ধরে চলে আসছে। প্রথমে বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিভাগীয় পর্যায়ে এবং সর্বশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঢাকায় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা শেষে ১৫ পারা ও ৩০ পারা বিভাগে ৫ জন করে মোট ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সউদী রাষ্ট্রদূত বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও সম্মানি হিসেবে নগদ টাকা তুলে দেন। প্রতিযোগিতায় ১৫ পারা পর্বে প্রথম হয়েছেন- মো. শুয়াইব হাসান, ২য় হয়েছেন আব্দুল্লাহ তাইয়্যীব রাওয়াহা, ৩য় আব্দুর রহমান জামী, ৪র্থ মো. হুযাইফা ও ৫ম হয়েছেন আনাস মাহফুজ। ৩০ পারা পর্বে প্রথম হয়েছেন- আব্দুল্লাহ বিন নূর, ২য় মো. আনাস প্রধান, ৩য় সাদমান শাহরিয়ার, ৪র্থ নোমান ও ৫ম হয়েছেন মুস্তাকিম বিল্লাহ।