ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হাদিস থেকে শিখি

অন্যায়ের প্রতিবাদ ঈমানি দায়িত্ব

অন্যায়ের প্রতিবাদ ঈমানি দায়িত্ব

আবু বকর সিদ্দিক (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হে লোকেরা তোমরা এ আয়াতটি পড়ে থাক- ‘হে মোমেনগণ, তোমাদের নিজেদের সংশোধনই তোমাদের কর্তব্য। তোমরা যদি হেদায়াতের পথে চল, তাহলে যে পথভ্রষ্ট হয়েছে, সে তোমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (সুরা মায়েদা : ১০৫)। অথচ আমি রাসুল (সা.) কে বলতে শুনেছি : মানুষ যখন জালেমকে জুলুম করতে দেখে, তখন তারা যদি তার (জালেমের) হাত ধরে প্রতিহত না করে, তাহলে আল্লাহতায়ালা অচিরেই তাদের সবাইকে তার ব্যাপক আজাবে পতিত করবেন। (তিরমিজি : ২১৬৮)।

আবু সাঈদ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসুল (সা.) কে বলতে শুনেছি, তোমাদের কেউ যদি অন্যায় কাজ দেখে, তাহলে সে যেন হাত দ্বারা তা সংশোধন করে দেয়, যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে মুখের দ্বারা, তাও সম্ভব না হলে অন্তর দ্বারা উক্ত মন্দ কাজকে ঘৃণা করবে। আর এটা ঈমানের নিম্নতর স্তর। (মুসলিম : ৮৩)।

শিক্ষা : সামর্থ্য অনুযায়ী জুলুম ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করা ঈমানি দায়িত্ব। অন্যায় কাজের প্রতি ঘৃণা থাকা ঈমানের পরিচায়ক। ঈমানদার ব্যক্তি অন্যায় কাজে সমর্থন করতে পারে না। জুলুম প্রতিহত করা না হলে তা ব্যাপকতা লাভ করে। এক পর্যায়ে সবাই জুলুমের স্বীকার হয়। আল্লাহর আজাব ব্যাপকতর হয় এবং সবাই সে আজাবে পতিত হয়।

গ্রন্থনা : মুফতি দিদার শফিক, মুহাদ্দিস ও মিডিয়াকর্মী

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত