ঢাকার ঐতিহ্যবাহী গবেষণামূলক ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মারকাযুত তাকওয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার ঢাকায় দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা, ইলমি মুহাজারা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার মারকাজের অডিটোরিয়ামে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চার অধিবেশনে এ ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনসম্পন্ন হয়। প্রায় ৩০০ প্রতিযোগী ও পাঁচ শতাধিক উচ্চতর গবেষণার শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত এ আয়োজনে বিজয়ীদের মধ্যে দেড় লক্ষাধিক টাকার পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শায়খ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার ঢাকার পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন আলহাজ আবদুর রহমান, জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদারীপুরের মুহতামিম মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ আল ফরিদি, লেখক ও গবেষক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফি, কবি সাইফ সিরাজ, মুফতি শরিফ মালিক, দৈনিক যুগান্তরের সহ-সম্পাদক তোফায়েল গাজালি, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের সহ-সম্পাদক মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ, রাহনুমা প্রকাশনীর সম্পাদক মুফতি আশরাফুল হক প্রমুখ।
নন্দিত উপস্থাপক ইলিয়াস হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ট্রান্সজেন্ডার ফেতনাসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা ও ইসলামি আইনবিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এতে ৬টি গ্রপে তিনজন করে মোট ১৮ জনকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রতিযোগীকে সান্ত¦না পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতি ও আয়োজকের বক্তব্যে প্রখ্যাত ওয়ায়েজ ও মারকাযুত তাকওয়ার পরিচালক মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ বলেন, ফতোয়া বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশে বলার মতো পরিকল্পিত কিংবা সুশৃঙ্খল তেমন কোনো অবকাঠামো নেই। বিচ্ছিন্নভাবে যত্রতত্র ফতোয়া বিভাগ চালু হওয়ায় ফতোয়া বিভাগের মর্যাদা ও আবেদন দিন দিন হারাচ্ছে। এ বিভাগ নিয়ে পরিকল্পিত ও গোছালো কাজ করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।