কোরআনের বাণী
‘নিশ্চয় আমার নামাজ, আমার ইবাদত ও আমার জীবন-মরণ সবই আল্লাহর জন্য, যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক। তার কোনো শরিক নেই। আমাকে এরই হুকুম দেওয়া হয়েছে এবং আমি তার সামনে সর্বপ্রথম মাথানতকারী।’ (সুরা আনআম : ১৬২-১৬৩)।
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মর্মকথা : আল্লাহর আদেশ ও শরিয়তের শিক্ষা অনুযায়ী সম্পন্ন প্রতিটি কাজই ইবাদত। এ মূলনীতির আলোকে মানুষের জীবন যখন আল্লাহর আদেশ পালন ও শরীয়তের শিক্ষা অনুযায়ী পরিচালিত হয়, তখন পুরো জীবনই ইবাদতে পরিণত হয়। এ আয়াতদ্বয় থেকে এটাও প্রমাণিত হয় মানুষের জীবন-মরণ সবকিছু আল্লাহর জন্য। জগতের মোহে আল্লাহ ভুলে গেলে তা হবে মানব জন্মের চরম ব্যর্থতা।
‘আমার দয়া প্রত্যেক বস্তুতে ব্যাপ্ত।’ (সুরা আরাফ : ১৫৬)
মর্মকথা : আল্লাহতায়ালার ক্রোধের চেয়ে দয়া বেশি। এ দয়ার কারণেই আল্লাহতায়ালা পৃথিবীতে সকল অপরাধীকে শাস্তি দেন না। কাফের বেইমানকেও রিজিক দেন। আরামণ্ডআয়েশে রাখেন। ইমানদারদের তাদের পাপ অনুযায়ী শাস্তি দিয়ে বা যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দিয়ে আল্লাহ তার দয়ার প্রকাশ করবেন। কোনো মোমেন আল্লাহর দয়ার কারণে চিরস্থায়ী জাহান্নামি হবে না। আল্লাহ তাদের আখেরাতে ক্ষমা করে দেবেন। আর আখেরাতে কাফেরদের শাস্তি দেবেন আল্লাহ তার নিজ জ্ঞান ও হেকমত অনুযায়ী। কোরআন ও হাদিসের ভাষ্য মতে যার অন্তরে অণু পরিমাণ ঈমান থাকবে সেও জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। আর যে কুফর ও শিরকে জড়িত থেকে মৃত্যুবরণ করবে, সে চিরস্থায়ী জাহান্নামি হবে। আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না। সুরা ফাতিহার রহিম ও রহমান শব্দের হেকতম ও ব্যাখ্যাও এ বিষয়টি দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করে যে, আল্লাহর দয়া দুনিয়ায় সবার জন্য ব্যাপ্ত। আখেরাতে এ দয়া শুধু মোমেন বান্দারা পাবে।
গ্রন্থনা: দিদার শফিক