ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মুফতি শাহ আমিমুল ইহসান সিদ্দিকি

ইমাম ও খতিব, মসজিদে বাইতুস সালাম, পিয়েভে দি সলিগো, ত্রেভিজো, ইতালি
মুফতি শাহ আমিমুল ইহসান সিদ্দিকি

প্রশ্ন : কোরবানি করা কার ওপর ওয়াজিব?

উত্তর : প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজন-অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে, তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, স্বর্ণ-রুপা, অলঙ্কার, বর্তমানে বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজনে আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কোরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।

আর নিসাব হলো স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি। টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নিসাব হলো সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। আর সোনা বা রুপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে; কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলেও তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। যেমন কারো কাছে কিছু স্বর্ণ ও কিছু টাকা আছে, যা সর্বমোট সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমান হয়, তাহলে তার ওপরও কোরবানি ওয়াজিব হবে। (সূত্র : আল কাউসার)।

প্রশ্ন: গরু, উট ও মহিষে কয় ভাগে কোরবানি করা যায়?

উত্তর: গরু, উট ও মহিষে সাত ভাগে কোরবানি করা যায়। তবে মনে রাখতে হবে, সাতভাগে কোরবানি করলে সাতজন শরিকের প্রত্যেকের ভাগ এক সপ্তমাংশের কম হতে পারবে না। যেমন কেউ দেড় ভাগ, কেউ আধা ভাগ নিল। সাতজনের মধ্যে কেউ এমন অংশ ভাগ নিলে সাতজনের কারো কোরবানিই শুদ্ধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৭)।

প্রশ্ন: গরু, উট ও মহিষে সাত ভাগের কমে কি কোরবানি করা যায়?

উত্তর: গরু, উট ও মহিষে কেউ চাইলে এককভাবে এক ভাগে বা শরিক হয়ে সাত ভাগে কিংবা সাতের কম যে যে কোনো সংখ্যক ভাগে তথা- দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কোরবানি করতে পারবে। (মুসলিম : ১৩১৮, বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২০৭)।

প্রশ্ন : শরিকে কোরবানির ক্ষেত্রে শরিকদের মধ্যে কারো গোশত খাওয়ার নিয়ত থাকলে কোরবানি শুদ্ধ হবে কি?

উত্তর : আল্লাহর হুকুম পালন ও তার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কোরবানি করতে হয়। শরিকদের মধ্যে কেউ গোশত খাওয়ার নিয়ত করলে তার কোরবানি শুদ্ধ হবে না। তাকে যারা শরিক বানায় তাদের কোরবানিও শুদ্ধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২০৮, কাজিখান ৩/৩৪৯)।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত