ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অনুবাদের চেয়ে মৌলিক রচনা হওয়া চাই বেশি

মুফতি হিফজুর রহমান
অনুবাদের চেয়ে মৌলিক রচনা হওয়া চাই বেশি

মুফতি হিফজুর রহমান। বাংলাদেশের প্রথিতযশা আলেম, ফিকহে হানাফির আলেমদের নিয়ে ৩০ খণ্ডের আরবি জীবনচরিত তার অনন্য রচনা। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও তিনি বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলা ও আরবি ভাষায় রচিত বহুগ্রন্থের প্রণেতা। ঢাকার মুহাম্মদপুরস্থ জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার ফতোয়া বিভাগের প্রধান হিসেবে যুক্ত আছেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে (পরিবর্তিত নাম) জামিয়া রাহমানিয়া আজিজিয়ার প্রধান মুফতি, মারকাযুল মাআরিফিন নোমানিয়ার পরিচালক হিসেবে ইলমি খেদমতে রত আছেন। এছাড়া সারাদেশে বিভিন্ন মাদ্রাসায় বোখারি শরিফ ও ফতোয়া বিভাগের দরস-তাদরিস নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। লেখালেখি বিষয়ে এ বিশিষ্ট আলেমে দ্বীনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের সহ-সম্পাদক দিদার শফিক। সাক্ষাৎকারের চুম্বকাংশ তুলে ধরা হলো পাঠকের সামনে।

দিদার শফিক : আপনার লেখালেখিতে আসার পেছনের গল্প কী?

মুফতি হিফজুর রহমান : পেছনে কোনো গল্প নেই। জাতির কাছে সঠিক ইলম ও আমল পৌঁছে দেওয়ার ফিকির থেকেই লেখতে চেষ্টা করেছি। কেন না, মুহাক্কাক গ্রন্থও তাবলিগে দ্বীনের একটি অন্যতম মাধ্যম। এ লাইনেও কাজ হওয়া দরকার। তাই দরস-তাদরিসের পাশাপাশি ধর্মীয় বিষয়ে লেখালেখি করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি। এ ভাবনা থেকেই জাতির খেদমত করার নিয়তে টুকটাক লিখে যাচ্ছি।

দিদার শফিক : শত ব্যস্ততার মধ্যেও লেখালেখি করেন কীভাবে? লেখার জন্য কোনো নির্ধারিত সময় আছে কি?

মুফতি হিফজুর রহমান : ব্যস্ততা তো থাকবেই। এর মাঝেই লেখতে হবে এ মানসিকতা থাকলে লেখার জন্য সময়ের অভাব হয় না। সাধারণত সবক থেকে ফারেগ হয়ে আসর থেকে ইশা পর্যন্ত সময়ে ফাঁকে ফাঁকে লেখা হয়। সময়ের হেফাজত করলে লেখা হয়ে যায়। আমি যখন সফরে থাকি তখন গাড়িতে বসে ভাবি কী নিয়ে লেখা যায়, কোন বিষয়টা কীভাবে বিন্যাস করা যায়। পরে লেখার টেবিলে বসে সে ভাবনাকে লেখায় রুপ দিই। অল্প অল্প করে প্রতিদিনই লিখি। বিশেষ করে মাদ্রাসা বন্ধের সময়। পরীক্ষার খেয়ারের সময়। বার্ষিক পরীক্ষার খেয়ার থেকে নিয়ে আবার নতুন বছরের সবক শুরু হওয়া পর্যন্ত প্রায় ৪ মাস সময় পাওয়া যায়। এ সময়টা আমি কাজে লাগাই। কোথাও যাই না বিশেষ কোনো প্রয়োজন ছাড়া। নিয়মিত লেখার চেষ্টা করি। মানুষ হিসেবে আলসেমি বা অসুস্থতা তো থাকেই। তখন দুয়েক দিন বিরতিও দিই। এভাবেই চলছে। এর বাইরে লেখার জন্য আমার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই।

দিদার শফিক : আপনার রচিত প্রথম গ্রন্থ কোনটি?

মুফতি হিফজুর রহমান : আমার রচিত প্রথম গ্রন্থ মূলত হেদায়া সংশ্লিষ্ট একটি আরবি গ্রন্থ, যা রচনার সময় থেকে বেশ পড়েই মুদ্রিত অক্ষরে প্রকাশ পেয়েছে। জামিয়া রাহমানিয়ায় যখন উস্তাদ হয়ে আসি, তখন এটি প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটি হলো ‘মা ইয়ামবাগী বিহিল ইনায়াহ লিমান ইউতালিউল হিদায়াহ’। এ গ্রন্থটি রচনা হিসেবে আমার প্রথম গ্রন্থ। এটি আমি মূলত লিখেছিলাম পাকিস্তানে জামিয়াতুল উলুম আলইসলামিয়া আল্লামা বিনূরি টাউন করাচিতে তাখাসসুস ফিল ফিকহি ওয়াল ইফতা পড়ার সময় আমার উস্তাদ বিশিষ্ট মুহাদ্দিস আবদুর রশিদ আন-নোমানির তত্ত্বাবধানে হেদায়ার ওপর একটি মুকাদ্দামা হিসেবে। তবে প্রকাশিত গ্রন্থ হিসেবে আমার প্রথম গ্রন্থ ‘সেবার আড়ালে এনজিওরা কী করছে’। বইয়ের এ নামটি দিয়েছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তৎকালীন কর্মকর্তা বিশিষ্ট আলেম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ সাহেব।

দিদার শফিক : আপনার রচিত গ্রন্থসংখ্যা কয়টি?

মুফতি হিফজুর রহমান : রচনা, অনুবাদ ও সম্পাদনা মিলে প্রকাশিত গ্রন্থ ৭০টি হবে।

দিদার শফিক : আপনার কোন গ্রন্থটি বেশ সাড়া জাগিয়েছে বলে মনে করেন?

মুফতি হিফজুর রহমান : ‘সেবার আড়ালে এনজিওরা কী করছে’ এ বইটি তৎকালীন দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের অবস্থা ও খুদে ঋণদাতা সংস্থার উৎপীড়ন প্রেক্ষিতে একটি সাড়া জাগানো বই ছিল। বহু গুণিজন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এ বইটির প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন এবং সময়ের যথার্থ কাজ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। তাছাড়া এ বইটির পুনর্মূদ্রণও হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এ হিসেবে বলা যায়, কলেবরে ছোট হলেও এ বইটি বেশ সাড়া জাগিয়েছিল।

দিদার শফিক : আপনার কাছে আপনার স্বরচিত প্রিয় বা শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোনটি?

মুফতি হিফজুর রহমান : নিজের রচনায় প্রিয় আর অপ্রিয় কী! তবে আমার বাবা মাওলানা মুহিব্বুর রহমান (রহ.)-এর জীবনীকেন্দ্রিক একটি স্মারকগ্রন্থ রচনা করেছি। এটাই আমার কাছে আমার রচিত প্রিয় গ্রন্থ। বাবা ছিলেন সায়্যেদ হোসাইন আহমদ মাদানি (রহ.)-এর ইলমের ও তাসাউফের শাগরেদ। বিশিষ্ট আলেম ও বুজুর্গ ব্যক্তি। এ স্মারকগ্রন্থে দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট আলেমরাও লেখা দিয়েছেন। ছেলে হিসেবে বাবার জীবনকেন্দ্রিক একটি স্মারকগ্রন্থ রচনা করতে পেরেছি, এটা আমার কাছে আনন্দের ও গর্বের।

দিদার শফিক : আপনার লেখার আগ্রহের বিষয় কী?

মুফতি হিফজুর রহমান : ফিকহে হানাফি সংশ্লিষ্ট বিবিধবিষয় ও হানাফি মাজহাবের আলেম ও ইমামদের বহুমুখী কর্মময় জীবনের সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত রচনা।

দিদার শফিক : ফিকহে হানাফি বিষয়ে আপনার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ কী কী?

মুফতি হিফজুর রহমান : উল্লেখযোগ্য কি না- জানি না, তবে প্রায় রচনাই তো ফিকহে হানাফিকেন্দ্রিক। যেমন- ‘উসূলুল ইফতা’। মুফতি তাকি উসমানি (দা.বা.)-এর পক্ষ থেকে উসূলুল ইফতা ছেপে আসার আগেই আমি এটা প্রকাশ করি ও তাতে বিভিন্ন টীকা টিপ্পনী সংযোজন করি। পরে অবশ্য তাকি উসমানি (দা.বা.)-এর কিতাব থেকেও হাশিয়া হিসেবে বিভিন্ন তথ্য সংযোজন করেছি এ কিতাবে। ‘মাকানাতু আবি হানিফাতা ফিল ফিকহি ওয়াল হাদিস’ এটা আমার মৌলিক রচনা। পরবর্তীতে জানতে পারি আমার উস্তাদ আবদুর রশিদ নোমানি (রহ.) এ নামে কিতাব লিখেছেন। তখন আমার কিতাবকে মূল রেখে উস্তাদের কিতাব থেকে বিভিন্ন তথ্য হাশিয়া হিসেবে সংযোজন করেছি এ কিতাবে। এছাড়া ‘ফিকহু আহলিল ইরাক ওয়া হাদিসুহুম’ ‘আদ্দুরারুল মুনতাকাত আলা মুকাদ্দিমাতিশ শায়খ’ ‘ফাতহুল ওয়াদুদ আলা শরহিল উকুদ’ ‘আাল বাদরুল মুনির আলা ফাউজুল কাবিরসহ আমার তালিককৃত কিছু কিতাব আছে। এগুলো দরসি কিতাব। ফিকহে হানাফির অভিধান জাতীয় কিতাব আছে ‘মু’জামুল ফকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ’ ‘যাদুল মুহতাজ ইলাল মুসতালাহাতিল ফিকহিয়্যাহ’ (৫ খণ্ড)। জীবনচরিত আছে ‘আল বুদুরুল মাদিয়্যাহ ফি তারাজিমিল হানাফিয়্যাহ’ (২৩ খণ্ড), ‘ইকমালুল বুদুরুল মাদিয়্যাহ ফি তারাজিমিল হানাফিয়্যাহ’ (৭ খণ্ড) ‘আল ইয়াওয়াকিতু ওয়াল জাওয়াহিরু ফি তারাজিমি নুবালায়ি বাঙ্গাল ওয়াল আকাবির’ ও ‘মু’জামুশ শুয়ূখ’ ইত্যাদি।

দিদার শফিক : বৃহৎ কলেবরে ফিকহে হানাফির আলেমদের জীবনীগ্রন্থ লেখার কারণ কী?

মুফতি হিফজুর রহমান : মৌলিকভাবে তিনটি কারণে আমি হানাফি আলেমদের জীবনীগ্রন্থ লিখেছি। এক. আরবের লোকেরা বিশেষত আলেমরা মনে করেন ভারতবর্ষে উল্লেখযোগ্য আলেম নেই। দুই. তথাকথিত আহলে হাদিসদের বিভিন্ন বিষয়ের প্রাসঙ্গিক জবাব হিসেবে। তিন. ভারতবর্ষের আলেমদের বিশেষত বাংলাদেশি আলেমদের পরিচিতি, খেদমত ও অবদান এবং তাদের ধর্মচর্চার প্রভাববিস্তারক দাস্তান সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরা ও তাদের চিরস্মরণীয় করে রাখা, যাতে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানসহ অখণ্ড ভারতবর্ষ হানাফি মাজহাবের ঘাটি ছিল, আছে এটা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত হয়। জানা মতে, আল বুদুরুল মাদিয়্যাহ বর্তমানে হানাফি আলেমদের জীবনীবিষয়ক সর্বশেষ ও সবচেয়ে সমৃদ্ধ কিতাব। এ কিতাবটি মিসরের ‘দারুস সালেহ’ থেকেও প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে আরববিশ্বে ভারতবর্ষের আলেমদের পরিচিতি তুলে ধরতে পেরেছি বলে আল্লাহর শোকর আদায় করি।

দিদার শফিক : ধর্মীয় বিষয়ে উর্দু ও আরবি থেকে ব্যাপক অনুবাদ করা হচ্ছে বর্তমানে। এ বিষয়ে আপনার পরামর্শ কী?

মুফতি হিফজুর রহমান : অনুবাদের ক্ষেত্রে বলব, যে বিষয়ের অনুবাদ করা হচ্ছে, সে বিষয়ে যোগ্য, দক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট ভাষায় পারদর্শী ব্যক্তিই যেন ধর্মীয় বিষয়ের গ্রন্থ অনুবাদ করেন। এটা জরুরি। আর উর্দু বা আরবি থেকে একটি অনুবাদ হয়ে গেলে সে একই বই সবাই অনুবাদ করার প্রয়োজন নেই। একটি অনুবাদ হয়ে গেলে ব্যস হক আদায় হয়ে গেল। অন্য বই অনুবাদ করার চেষ্টা করা। কিন্তু আফসোস, সবাই অনুবাদের পেছনে যে হারে দৌড়াচ্ছে এটা সার্বিক বিবেচনায় ক্ষতিকর। অনুবাদের পেছনে না পড়ে মৌলিক রচনায় আলেমদের বেশি মনোযোগ দেওয়া দরকার। আফসোসের সঙ্গে বলতে হয়, দরসে তিরিমিজি মাওলানা নোমান আহমদ (রহ.) অনুবাদ করেছেন। তিনি মুহাক্কিক আলেম ও মুহাদ্দিস ছিলেন। তার অনুবাদই যথেষ্ট ইলমি হক আদায়ের জন্য। আর দরকার ছিল না কারো নতুনভাবে অনুবাদ করার। কিন্তু বর্তমানে মহিলা মাদ্রাসার মুহাদ্দিসরা হাদিসের কিতাবের ব্যাখ্যাগ্রন্থ লিখেন। তারা অনেক জায়গায় ভুল ব্যাখ্যা লিখেন। ছাত্রছাত্রীরাও সেই ভুলটাই পড়ছে। এটা বড়ো ধরনের ইলমি ইনহিতাত। এসব কাজ যোগ্য লোকেরাই করা উচিত। যারা যোগ্য আলেম তারাও লেখালেখিতে এগিয়ে আসা উচিত।

দিদার শফিক : ছাত্র ও নবীন লেখিয়েদের উদ্দেশে কিছু বলুন?

মুফতি হিফজুর রহমান : ছাত্রজীবনে লেখার নেশায় মজে যাওয়া অনুচিত। ছাত্রজীবন কাটাতে হবে দরসি বিষয়ে যোগ্য হয়ে গড়ে ওঠার মেহনত করে। তবে ছাত্রজীবনে লেখালেখির চর্চা করতে হবে সীমিত পরিসরে, পরিমিত পর্যায়ে। নেশার পর্যায়ে না।ফনে তথা সাবজেক্টভিত্তিক বিষয়ে শাস্ত্রীয় বিশেষজ্ঞ আলেম হলে সববিষয়েই কলম ধরা সহজ হবে। আর বিশেষজ্ঞ আলেম না হতে পারলে লেখায় শুধু সুন্দর শব্দ থাকবে ইলমি ছাপ থাকবে কম কিংবা হতাশাজনক। তাই আমি বলতে চাই, আগে ভালো আলেম হও, পাশাপাশি পরিমিত পর্যায়ে সাহিত্য চর্চা করো- ইনশা আল্লাহ লেখালেখিতেও সুফল আসবে ইলমেও গভীরতা আসবে। আর সবসময় মনে রাখতে হবে, দ্বীন ও ধর্ম প্রচারের জন্য সাহিত্য চর্চা করতে গিয়ে নিজের ভাষা ও রুচি যেন নষ্ট হয়ে না যায়। মাথার টুপি যেন পকেটে চলে না যায়। বিশেষত কালের খ্যাতনামা কোনো সাহিত্যিকের শিষ্যত্ব গ্রহণ করতে গিয়ে উদারমনা পরিচয় দেওয়ার ছলে ইসলামিক সভ্যতা ও শিক্ষা থেকে যেন কেউ দূরে সরে না যায়। সাহিত্যবিষয়টা ক্ষুদ্র নয় এবং এটা ধর্মের বিপক্ষেও নয়। বাংলা ভাষার মৌলিক সাহিত্যগ্রন্থ হিসেবে চিহ্নিত গ্রন্থগুলো যদি কোনো বিশেষ একটি ধর্মকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে, তাহলে ইসলামকে প্রাধান্য দিয়ে চর্চিত রচনাবলিও সুসাহিত্য হতে পারে ভাষা ও সাহিত্যমানে উত্তীর্ণ হলে। কাজেই নবীন লেখিয়েদের ধর্মকেন্দ্রিক সাহিত্যচর্চাকে আরো গতিশীল করতে হবে। আর ধর্মকেন্দ্রিক সাহিত্যচর্চা করে জাতে উঠতে না পারার ভয়ে অযথা হীনম্মন্যতাকে সবার আগে দূর করতে হবে।

দিদার শফিক : সুসাহিত্য রচনা বা দ্বীনের দাওয়াত হিসেবে গল্প উপন্যাস লেখাটা কেমন মনে করেন?

মুফতি হিফজুর রহমান : যে গল্প ও উপন্যাসে প্রেম-কাহিনি থাকে, সে গল্প ও উপন্যাস লেখা স্পষ্ট হারাম। এ জাতীয় গল্প-উপন্যাস বা কবিতা দ্বারা দ্বীনি ফায়দা হবে না। এসব কিজবের শামিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত