ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মহানবী (সা.)-এর বহুবিবাহ : পাশ্চাত্যের বিভ্রান্তি

ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী
মহানবী (সা.)-এর বহুবিবাহ : পাশ্চাত্যের বিভ্রান্তি

পৃথিবীতে বহু নবী-রাসূল ও মহামানবের আগমন হয়েছে। তাদের সম্পর্কে ইতিহাসনির্ভর বিস্তারিত তথ্য মানব জাতির কাছে নেই বললেই চলে। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) ব্যতিক্রম। অন্যান্য মহাপুরুষের জীবন সম্পর্কে মানুষ কতটুকু, কি জানে বা জানার সুযোগ আছে। অথচ মহানবী (সা.)-এর জীবনের সব খুঁটিনাটি বিষয়, এমনকি তার স্ত্রীদের সাথে হাসি-কান্না, মান- অভিমানের সব বিবরণ সংরক্ষিত আছে। অন্যান্য নবী-রাসূলদের জীবন সম্পর্কে যেটুকুন তথ্য পশ্চিমা দুনিয়ার কাছে আছে, তাও মূলত কোরআন ও হাদিসের বর্ণনা-আশ্রিত। এর বাইরের বর্ণনাগুলোতে তারা অনেক অশ্লীলতা আরোপ করেছে, যা ইসলামের দৃষ্টিতে অন্যায়, ভিত্তিহীন ও পাপদুষ্ট। মহানবীর জীবনের খুঁটিনাটি বিষয়সহ তার সমগ্র জীবনচিত্র কোরআন মাজিদ ছাড়াও বিশাল বিশাল তাফসির, হাদিস ও ইতিহাস গ্রন্থে অঙ্কিত রয়েছে। এর কারণ, কেয়ামত পর্যন্ত আর কোনো নবী আসবেন না, তিনিই বিশ্বনবী ও গোটা মানবজাতির সর্বশেষ পথপ্রদর্শক। কাজেই তার সমগ্র জীবনকে দিনের আলোর মতো উদ্ভাসিত রাখা হয়েছে মানব জাতির সামনে। এসব সূত্র থেকে যে কেউ তার জীবনপ্রণালী সম্বন্ধে বিস্তারিত ও সঠিক তথ্য জানতে পারে।

এখন যদি কেউ সূর্যের আলোর মতো দেদিপ্যমান তার জীবনের উপর কালিমা লেপণ করার স্পর্ধা দেখায়, সে প্রকারান্তরে মানবসভ্যতা ও ইতিহাসকে অস্বীকার করে। অনুরূপ, কেউ যদি তার আলোকিত জীবনকে না দেখার ভান করে তার অবমাননা ও নিন্দাবাদ করে সে প্রকারান্তরে ইতিহাস ও মানবসভ্যতার অবমাননা করে। কাজেই দুনিয়াতেও তার জন্য ক্ষমা নাই, আখেরাতেও সে হবে অভিশপ্ত। আমাদের আলোচনায় প্রমাণিত হয়েছে যে, হজরতের বহু বিবাহের সঙ্গে মোটেও প্রাচ্যবিদদের পাপবিদ্ধ কল্পনার লেশমাত্র সম্পর্ক নেই। তার বহুবিবাহের পেছনে অনেক কারণ ও হেকমত ছিল। বিশেষত অসহায় বিধবা ও এতিমদের আশ্রয়দান, অন্যান্য গোত্র ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলা, যুদ্ধাবসান ও শান্তি স্থাপনের হেকমত নিহিত ছিল এসব বিবাহের পেছনে। মানব সমাজের অর্ধেক হচ্ছে নারী। মহানবী তাদের জন্যও আদর্শ। স্বভাবতই নবীজির দরবারে পুরুষদের অবাধ যাতায়ত ছিল এবং তারা ব্যাপকভাবে নবীজির শিক্ষা ও দিকনির্দেশনা নিতে পেরেছেন। এ ক্ষেত্রে নবীপত্নী তথা আমাদের মায়েদের মাধমেই দুনিয়ার নারী সমাজ তাদের একান্ত বিষয়াদি, দাম্পত্য জীবনের অতি প্রয়োজনীয় ও গোপনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে নবী জীবনের দিকনির্দেশনা লাভ করেছেন। নবীজির স্ত্রীর সংখ্যা যদি সবসময় একজন হত, তাহলে নারী ও দাম্পত্য জীবন সংক্রান্ত এত ব্যাপক বিষয় মানব জাতির জন্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হতো না।

লক্ষ্য করুন, নবীজি ২৫ বছর বয়সে বিবাহ করেন ৪০ বছরের বিধবা হজরত খাদিজাকে। ৬৫ বছর বয়সে হজরত খাদিজা ইন্তিকাল করার পূর্ব পর্যন্ত অন্য কোনো স্ত্রী গ্রহণ করেননি। খাদিজা (রা.)-এর ইন্তিকালের পর যাকে বিয়ে করেন তিনি ছিলেন ৫০ বছর বয়েসি বিধবা বৃদ্ধা হজরত সাওদা বিনতে যাম‘আ। তার অবস্থা ছিল, নবীজি একবার তাকে তালাক দেয়ার চিন্তা করেছিলেন; কিন্তু তিনি সুনাম ও পরকালীন সৌভাগ্যের আশায় নবীজির নামমাত্র স্ত্রীর তালিকায় থাকার আগ্রহ প্রকাশ করলে তালাক দেননি। ৬ বছর বয়েসি হজরত আয়েশাকে বিয়ে করলেও তা ছিল বাগদত্তার মতো। কারণ, হিজরতের পরেই ৯ বছর বয়সে তিনি নবীজির সংসারে আসেন। একজন পুরুষের যৌবন ও জীবন বলতে তো ৫৫ বছরের বেশিকালকে বুঝায় না; অথচ এই দীর্ঘ সময়ে নবীজির সংসারে মাত্র একজন স্ত্রীই ছিলেন। নাউজুবিল্লাহ এখানে যৌনতার প্রশ্ন কীভাবে আসতে পারে? দেখা যায়, ৩য় থেকে ৭ম হিজরিতে আমাদের আটজন মাকে নবীজি জীবন সঙ্গিণীরূপে গ্রহণ করেন। এ সময়কালটা ছিল যুদ্ধ-বিগ্রহের এবং গোত্রীয় শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার তীব্র প্রয়োজন ছিল ইসলামের বাণী চতুর্দিকে ছড়িয়ে দেয়ার স্বার্থে। ৮ম হিজরিতে মক্কা বিজয়ের পর ইসলাম প্রচার ও প্রসারের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হলে তিনি ৬০ বছর বয়সের পর ৬৩ বছর বয়সে ওফাত লাভের পূর্ব পর্যন্ত আর কোনো মহিলাকে বিয়ে করেননি। অনুরূপভাবে মদিনার সমাজে আনসাররা নবীজির জন্য জানমাল উৎসর্গ করেছিলেন বিধায় ভিন্নভাবে তাদের সঙ্গে সখ্যতা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন হয়নি। সম্ভবত এ কারণেই আমাদের ১১ জন মায়ের মধ্যে একজনও আনসারী মহিলা নেই। কলুষিত মনের প্রগতিবাদীদের অনুমান সঠিক হলে আনসারী তরুণীদের মাঝ থেকেও তার স্ত্রী থাকার কথা ছিল। নবীজি সকল বিবির সঙ্গে সমতাভিত্তিক যে আচরণ করেছেন, প্রতিদিন বিকালে ঘুরে ঘুরে আমাদের সব মায়ের সংসারের যেভাবে খোঁজখবর নিতেন এবং আদর্শ স্বামী হিসেবে সবার সঙ্গে রাগ-অণুরাগ ও মান-অভিমানের যে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন তা প্রমাণ করে যে, তার দাম্পত্য জীবন ছিল পুতঃপবিত্র।

তরুণ সাংবাদিক সাঈদ রহমান আমার কথাগুলো শুনে বলল, স্যার! বৃদ্ধ বয়সে কম বয়েসি মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন তো আসতে পারে। তা হলো, স্বামীর ইন্তিকালের পর মহিলার লাইফটাই নষ্ট হয়ে যায়। তদুপরি কোরআনের ঘোষণা অনুযায়ী নবী-পত্নীরা ছিলেন মুসলমানদের মা। কাজেই বিষয়টা নিয়ে কারো মনে প্রশ্ন আসা অস্বাভাবিক নয়। দ্বিতীয়ত, পোষ্যপুত্রের স্ত্রীকে বিয়ে করার বিষয়টিরও ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে। এ জাতীয় প্রশ্নের জবাবের জন্য প্রচুর তথ্য-উপাত্ত কোরআন, হাদিস ও ইতিহাসে বিদ্যমান। নিবন্ধের কলেবর সীমিত রাখার তাগাদায় অতি সংক্ষেপে বলব, লাইফ নষ্ট হওয়ার প্রশ্ন তো তাদের জন্য, যারা পরকালীন জীবনে বিশ্বাস করে না। যারা মনে করে যে, ইহকালের এই জীবনটাই একমাত্র জীবন, কোনোভাবে এখানকার সুখ-সম্ভোগ ব্যাহত হলে জীবনটাই বরবাদ। আর যারা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে যে, মানুষের প্রকৃত জীবন ইহকাল নয়। পরকালীন জীবনই অনন্তকালের আর পার্থিব জীবন ক্ষণিকের, শীতকালে কচুপাতায় শিশির বিন্দুর মতো, তাদের কাছে তো সেই অনন্ত জীবনের সুখই প্রধান আকর্ষণ।

নবীপত্নী মায়েরা সেই সুখের জন্যই লালায়িত ছিলেন। আমরা মুসলমানরাও তো সেই সুখের আকাঙ্ক্ষায় ইহকালে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছি। আখেরাতের এই জীবনের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকলে কেউ তো মুসলমান হবে না।

দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, নবীপত্নীদের জোর করে বিয়ে বন্ধনে ধরে রাখা হয়নি; বরং একটি ঘটনায় তাদের অধিকার দেয়া হয়েছিল, তারা ইচ্ছা করলে নবীজির অভাবের সংসার ত্যাগ করে বিদায় নিয়ে চলে যেতে পারেন। অথবা পরকালীন জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে নবীজির সংসারে থাকতে পারেন। তখন আমাদের সকল মা বিশেষত হজরত আয়েশা (রা.) সর্বাগ্রে অকপটে বলেছিলেন, আমরা নবীজিকে চাই। দুনিয়ার সুখ-সম্ভোগ চাই না। তারা আখেরাতের জীবনের সুখ-শান্তিকেই পরম পাওয়া বলে গণ্য করেন। এ ঘটনা কোরআন মাজিদে সবিস্তারে বর্ণিত। আরেকটা বিষয় চিন্তা করে দেখুন, আজকাল ছেলেমেয়েরা সহজে বিয়ে বসতে চায় না; তারা প্রথমে ক্যারিয়ার গড়তে চায়। মনের মতো পাত্র বা পাত্রী না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকে। এই অপেক্ষাকে কেউ জীবনের শুরুতে লাইফ নষ্ট করা বলে গণ্য করে না। এখন অপেক্ষার প্রহর জীবনের শুরুতে না হয়ে যদি জীবনের শেষভাগে হয়, তাহলে দোষণীয় কেন হবে? সবচেয়ে বড় কথা, নবীপত্নী আমাদের মায়েদের এক ঘটনায় আল্লাহতায়ালার পক্ষ হতে নবীজির বিবাহ বন্ধনে তাদের থাকা না থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তখন তারা সচেতনভাবেই নবীজির বিবাহ বন্ধনে থাকার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। কাজেই এ ব্যাপারে কারো সমালোচনা বা আপত্তির সুযোগ কোথায়? ঘটনাটি ছিল-

৭ম হিজরিতে খায়বারের যুদ্ধের পর নবী করীম (সা.) আরবের অপ্রতিদ্বন্ধী ক্ষমতাধর। তার পরেও অভাব-অনটন লেগে থাকে তার সংসারে। একদিন আমাদের মায়েরা সবাই একজোট হয়ে নবীজির সামনে অভিযোগ করলেন, এভাবে জীবন চলে না; আমাদের গহনাপাতি থাকতে হবে। আমরা পয়গাম্বরের স্ত্রী। সংসারে প্রাচুর্য চাই। নবীজি যেন বিপাকে পড়ে গেলেন। দারুণ মনক্ষুণ্ণ হলেন। এমন পরিস্থিতিতে স্বামীরা স্ত্রীকে হাঁকাবকা করে বা বেসামাল হয়ে যায়; কিন্তু ধৈর্যের পাহাড় নবীজি বললেন! যাও, আমি একমাস তোমাদের সঙ্গে কোনোরূপ সম্পর্ক রাখব না। এই বলে তিনি আলাদাভাবে বাস করতে লাগলেন। তাতে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল, নবীজি কি না তার প্রিয়তমা স্ত্রীগণকে তালাক দিয়েছেন। অবশেষে আল্লাহ পাক হস্তক্ষেপ করলেন। কোরআন মাজিদের আয়াত নাজিল হলো : ‘হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে বলে দিন, ‘তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তাঁর ভূষণ কামনা করো- তবে এসো, আমি তোমাদের ভোগ-সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেই এবং সৌজন্যের সঙ্গে তোমাদের বিদায়ের ব্যবস্থা করে দেই। আর যদি তোমরা কামনা কর আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও আখেরাত, তবে তোমাদের মধ্যে যারা সৎকর্মশীল আল্লাহর তাদের জন্য মহাপ্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন।’ (সুরা আহযাব-৩৩ : আয়াত ২৮, ২৯)।

ইতিহাস সাক্ষী, কোরআন মাজিদের এ অনুমতি ও প্রস্তাব নবীপত্নীদের কাছে দেয়া হলে তারা সবাই নবীজির সংসারে থাকার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। যেসব গবেষক এসব তথ্য ও সত্যকে না দেখার ভান করে তারা নিশ্চয়ই জ্ঞানপাপী। পোষ্যপুত্রের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে বিবাহ করার বিষয়েও কোরআন মাজিদের বর্ণনা দ্ব্যর্থহীন। লক্ষ্য করুন- ‘স্মরণ করো, আল্লাহ যাকে অনুগ্রহ করেছেন এবং আপনিও যার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন (অর্থাৎ নবী করীম (সা.)-এর পোষ্যপুত্র হজরত যায়দ ইবনে হারেসা (রা.) আপনি তাকে বলছিলেন, ‘তুমি তোমার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখ এবং আল্লাহকে ভয় করো।’ আপনি আপনার অন্তরে যা গোপন করছেন আল্লাহ তা প্রকাশ করে দিচ্ছেন; আপনি লোকে কী বলে সে ভয় করছিলেন; অথচ আল্লাহকে ভয় করাই আপনার জন্য অধিক সংগত। অতঃপর যায়দ যখন তার (যয়নব) সঙ্গে বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে (যয়নবকে) আপনার সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ করলাম, যাতে মোমেনদের পোষ্যপুত্রগণ নিজ স্ত্রীর সাথে বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করলে সেসব রমণীকে বিবাহ করায় মোমেনদের কোনো বিঘ্ন না হয়। আল্লাহর আদেশ অবশ্যই কার্যকরী হয়। আল্লাহ নবীর জন্য যা বিধিসম্মত করেছেন, তা করতে তার জন্য কোনো বাধা নেই। আগে যেসব নবী অতীত হয়ে গেছেন, তাদের ক্ষেত্রেও এটাই ছিল আল্লাহর বিধান। আল্লাহর বিধান সুনির্ধারিত।’ (সুরা আহযাব-৩৩ : আয়াত ৩৭, ৩৮)। এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো, আয়াতে হজরত ‘যায়দ’-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ বেহেশতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজনসহ অন্য কোনো সাহাবীর নাম কোরআন মাজিদে উল্লেখ নাই। দ্বিতীয়ত আল্লাহ পাক নিজেই বলছেন যে, যায়দ যখন তার (যয়নবে) সঙ্গে বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন করল, তখন আমি তাকে আপনার সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ করলাম।’ যারা কোরআনকে আল্লাহর বাণী বলে বিশ্বাস করে তাদের মনে এই বিবাহ সম্পর্কে বিন্দুমাত্র সন্দেহ সৃষ্টি হতে পারে না। তাছাড়া কোনো জাতির ধর্মগ্রন্থে যদি একটি সাধারণ বিবাহ সম্পর্কে এমন অকাট্য বক্তব্য থাকে তা হলে ভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী কিংবা অবিশ্বাসী হলেও তারা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না; যদি তাদের কাছে বিবেক বলতে কিছু থাকে। আমরা এখানে নবীজির জীবন সঙ্গীনীদের সম্পর্কে অতি সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্র পেশ করলাম।

আমরা মনে করি, মহানবী (সা.)-এর দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে জানার অবারিত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অন্ধকারের কোনো কীট যদি তাঁর পবিত্র জীবনে কলঙ্ক লেপনের চেষ্টা করে, তাহলে মানব সভ্যতার প্রয়োজনেই তাকে প্রতিহত করা উচিত। অথচ আমরা লক্ষ্য করছি, ফ্রয়েডের যৌনতাণ্ডসর্বস্ব দর্শনে বিপর্যস্ত পশ্চিমা সমাজ নাানভাবে এ জাতীয় গর্হিত অপকর্মকে আস্কারা দিচ্ছে। তাদের একটু ভেবে দেখা উচিত, আল্লাহর যেসব নবী-রাসুল (আ.) ইহুদি খ্রিষ্টান সমাজে স্মরণীয়-বরণীয় তাদের সম্পর্কে কোনো মুসলমান কখনো কটূক্তি করেনি, করতে পারে না। এমনকি ঈসা (জেসাস), মুসা (মোসেস), ইসহাক (আইজাক), ইবরাহিম (আবরাহাম), মরিয়ম (মেরী) প্রমুখ নামে সন্তানের নামকরণ করতে মুসলমানরা গর্ব অনুভব করে। ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতির এ উদারতাই একদিন বিশ্বজয় করেছিল, ভবিষ্যতেও করবে ইনশাআল্লাহ। মানব-সভ্যতাকে শান্তি-সম্প্রীতি ও সুন্দরের পথে এগিয়ে নেয়ার স্বার্থে পশ্চিমা নেতৃবৃন্দের বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত