দোয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত

ইলিয়াস মশহুদ

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

দোয়া গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এর মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার বিশেষ যোগসূত্র তৈরি হয়। আল্লাহর প্রতি বান্দার আনুগত্য এবং তাঁর প্রতি বিশ্বাস প্রকাশ পায়। দোয়া একদিকে বান্দার দীনতা, হীনতা, অক্ষমতা ও বিনয়ের প্রকাশ ঘটায়, অপরদিকে আল্লাহর বড়ত্ব, মহত্ত্ব, সর্বব্যাপী ক্ষমতা ও দয়া-মায়ার প্রতি সুগভীর বিশ্বাস গড়ে তোলে। তাই আমাদের উচিত আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা। দোয়া শব্দের অর্থ আল্লাহকে ডাকা, কিছু চাওয়া, প্রার্থনা করা। অর্থাৎ, বিনয়ের সঙ্গে মহান আল্লাহর কাছে কল্যাণ ও উপকার লাভের উদ্দেশ্যে এবং ক্ষতি ও অপকার থেকে বেঁচে থাকার জন্য প্রার্থনা করাই হলো দোয়া। দোয়াকে আল্লাহতায়ালা ইবাদত হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং সাহায্য লাভের মাধ্যম বানিয়েছেন। তাই তো কোরআন-হাদিসে রাসুল (সা.)-এর মাধ্যমে মানুষকে দোয়ার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে, তারা অচিরেই জাহান্নামে লাঞ্ছিত হয়ে প্রবেশ করবে।’ (সুরা মুমিন : ৬০)। হজরত নুমান ইবনে বাশির (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দোয়াই হলো ইবাদত। তারপর তিনি পাঠ করেন, ‘তোমাদের প্রতিপালক বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি সাড়া দেব। যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে, তারা অচিরেই জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত হয়ে।’ (তিরমিজি : ২৯৬৯) হজরত আবদুল্লা ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে বিপদ আপতিত হয়েছে এবং যা এখনো আপতিত হয়নি, সব ক্ষেত্রেই দোয়ায় উপকার হয়। সুতরাং হে আল্লাহর বান্দারা, তোমাদের দোয়া করা উচিত।’ (তিরমিজি : ৩৫৪৮)।

দোয়ার আদব : আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন ছাড়া আমাদের পক্ষে দুনিয়ার শান্তি-সমৃদ্ধি ও পরকালে মুক্তিলাভ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কারণ, সকল সৃষ্টিই আল্লাহর মুখাপেক্ষী। তবে দোয়ার মধ্যে কিছু আদব রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে এমন কিছু আদব আছে, যা ফরজের মর্যাদা রাখে; আর কিছু আছে শর্তের মর্যাদা রাখে। এগুলো ছাড়াও এমন কিছু আদব আছে, যেগুলো করণীয়; আর কিছু আছে বর্জনীয়। যেমন : হারাম মিশ্রিত পানাহার ও উপার্জন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা এবং দুহাত তুলে দোয়া করা। পাকপবিত্র হয়ে দোয়া করা। ওজু করা এবং দুহাত উপরে (কাঁধ পর্যন্ত) তুলে একনিষ্ঠভাবে দোয়া করা। দোয়ার আগে কোনো নেক আমল করা কিংবা নেক আমলের অসিলায় দোয়া করা। নেক ব্যক্তির অসিলা দিয়ে দোয়া করা। কিবলামুখী হয়ে দোয়া করা। দোয়ার আগে নামাজ পড়া (সালাতুল হাজত)। দোয়ার আগে আল্লাহর প্রশংসা ও রাসুলের ওপর দুরুদ পড়া। দোয়ার পরে নবিজির ওপর দুরুদ পড়া। দোয়ায় হঠকারিতা না করা। হাতের তালু উপরের দিকে উঠিয়ে ও দোয়া শেষে উভয় হাত দিয়ে চেহারা মুছে নেয়া। অনুচ্চস্বরে ও গোপনে কাকুতি-মিনতির সঙ্গে দোয়া করা এবং দোয়ায় নিজের দ্বীনতাণ্ডহীনতা ও অসহায়ত্ব প্রকাশ করা; কিন্তু সীমালঙ্ঘন না করা। আল্লাহর গুণবাচক নামের অসিলা দিয়ে দোয়া করা। পূর্ণ আস্থা ও নিশ্চয়তার সঙ্গে দোয়া করা। বারবার দোয়া করা। কোনো পাপ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নের দোয়া না করা এবং দোয়া কবুলের ব্যাপারে তাড়াহুড়া না করা। হাদিসে বর্ণিত দোয়াগুলো পড়া। দোয়ায় ব্যাপক শব্দ ব্যবহার করা। প্রথমে নিজের, এরপর মা-বাবা ও অন্য মুমিনের জন্য দোয়া করা। দোয়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে ছন্দযুক্ত বাক্য ব্যবহার না করা। গোনাহের স্বীকারোক্তির সঙ্গে দোয়া করা। ছোট-বড় সব বিষয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা। জান্নাত লাভের দোয়া।

যে সময় দোয়া কবুল হয় : আল্লাহতায়ালা যেকোনো সময় বান্দার দোয়া কবুল করেন। তবে কোরআন-হাদিসে বিশেষ কিছু সময়ের কথা উল্লেখ রয়েছে, যখন দোয়া করলে কবুলের সম্ভাবনা বেশি থাকে। যেমন :

কদরের রাতে : এ সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে লাইলাতুল কদরে ইমানের সঙ্গে সাওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার পেছনের সমস্ত গোনাহ মাফ করা হবে। আর যে ঈমানসহ সাওয়াবের আশায় রমজানে রোজা রাখবে, তারও অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ করা হবে।’ (বুখারি : ১৭৮০)।

আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, একবার আমি নিবেদন করলাম, আল্লাহর রাসুল, আপনি বলুন, যদি আমি শবেকদর সম্পর্কে জানতে পারি তাহলে তাতে কী (দোয়া) পড়ব? তিনি (রাসুল (সা.) বললেন, এই দোয়া, ‘হে আল্লাহ, আপনি নিশ্চয় ক্ষমাশীল, ক্ষমা করা ভালোবাসেন। সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ (তিরমিজি : ৩৫১৩)।

শেষ রাতের দোয়া : পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, রাতের সামান্য পরিমাণ (সময়) তারা নিদ্রারত থাকে, রাতের শেষ প্রহরে তারা ইসতিগফার করে। (সুরা জারিয়াত : ১৭-১৮)। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা প্রতিদিন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেন, ‘কে আছ এমন, যে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আছ এমন, যে আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে তা দেব। কে আছ এমন, আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (বুখারি : ১০৭৯)।

ফরজ নামাজের পরে দোয়া কবুল হয় : আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, জিজ্ঞেস করা হলো, আল্লাহর রাসুল, কোন দোয়া বেশি কবুলযোগ্য?

উত্তরে তিনি বললেন, রাতের শেষাংশে এবং ফরজ নামাজসমূহের পেছনের। (অর্থাৎ, সালাম ফেরানোর আগের)। (তিরমিজি : ৩৪৯৯)।

আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া : রাসুল (সা.) বলেছেন, আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া কখনো প্রত্যাখ্যাত হয় না। (আবু দাউদ : ৫২১)

জুমার দিন দোয়া করলে কবুলের সম্ভাবনা বেশি : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসুল (সা.) বলেন, সূর্য উদয় হওয়া দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিন। এ দিনেই আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়। এ দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়, এ দিনেই তাঁকে পৃথিবীতে নামিয়ে দেয়া হয়। এ দিন এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, কোনো মুসলিম যখন নামাজ অবস্থায় এই মুহূর্তটি পায়; আর সে আল্লাহর কাছে কিছু আশা করে, তখন অবশ্যই আল্লাহ তার এই আশা পূরণ করেন।

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনে সালামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে এই হাদিস প্রসঙ্গে জানালাম। তিনি বললেন, আমি সে সময়টি জানি। আমি বললাম, তাহলে আমাকেও বলে দিন, এ ব্যাপারে কৃপণতা করবেন না। তিনি বললেন, এ সময়টি আসরের পর থেকে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত। আমি বললাম, তা কী করে আসরের পর হতে পারে? অথচ রাসুল (সা.) বলেছেন, বান্দা নামাজ অবস্থায় এই মুহূর্তটি পেয়ে...। কিন্তু আপনি যে সময়ের কথা বলেছেন, তখন তো নামাজ আদায় করা হয় না। আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বললেন; রাসুল (সা.) কি বলেননি, যে ব্যক্তি নামাজের অপেক্ষায় বসে থাকে প্রকারান্তরে সে নামাজেই থাকে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, সেটাই এ সময়। (তিরমিজি : ৪৯১)।

এছাড়া কোরআন তেলাওয়াতের পর, বৃষ্টির সময়, জমজমের পানি পানকালে, সেজদায়, দোয়া ইউনুস পাঠের পর, সূর্য হেলার পর থেকে জুহরের আগ পর্যন্ত, রোগী বা মৃতের পাশে থেকে যে দোয়া করা হয়, রাতে ঘুম থেকে জেগে, কঙ্কর নিক্ষেপের পর দোয়া করলে তা কবুল করা হয়।

যাদের দোয়া কবুল হয়, অসুস্থ ব্যক্তির দোয়া : ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসুল (সা.) আমাকে বললেন, তুমি কোনো রোগীকে দেখতে গেলে তাকে তোমার জন্য দোয়া করতে বলবে। কেননা, তার দোয়া ফেরেশতাদের দোয়ার মতো। (মিশকাত : ১৪৮৮) আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা রোগীর সেবা করো এবং তাকে বলো, যেন তোমাদের জন্য দোয়া করে। কেননা, অসুস্থ ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। অসুস্থতার সময় আল্লাহ মানুষের গোনাহ ক্ষমা করে দেন। (ইবনে মাজাহ : ৩০৪৫)

রোজা পালনকারী ও ন্যায়পরায়ণ বাদশাহর দোয়া : রাসুল (সা.) বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না : ১. সায়িম বা রোজাদার ব্যক্তির দোয়া, যখন সে ইফতার করে; ২. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া; ৩. মজলুমের দোয়া। আর মজলুমের দোয়াকে আল্লাহতায়ালা মেঘমালার উপর উঠিয়ে নেন এবং তার জন্য আকাশের দরজা খুলে দেয়া হয়। আর আল্লাহ বলেন, ‘আমার ইজ্জতের শপথ, নিশ্চয় আমি তোমাকে সাহায্য করব দেরিতে হলেও।’ (তিরমিজি : ৩৫৯৮)।

সন্তানের জন্য পিতার এবং মজলুম ও মুসাফিরের দোয়া : রাসুল (সা.) বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া নিঃসন্দেহে কবুল হয় : মজলুম, মুসাফির এবং সন্তানের জন্য পিতার দোয়া। (সুনানু ইবনে মাজাহ : ৩৮৬২)।

নেক সন্তানের দোয়া : আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত; রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন কেনো মানুষ মারা যায়, তখন তার আমল বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি আমল ছাড়া : ১. সাদাকায়ে জারিয়া; ২. উপকারী ইলম; ৩. নেক সন্তান, যে তার জন্য দোয়া করে। (মুসলিম : ১৬৩১)।

অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য উপস্থিত ব্যক্তির দোয়া : কেউ কারও অনুপস্থিতিতে তার জন্য দোয়া করলে সেই দোয়া দ্রুত কবুল হয়। আল্লাহ এ দোয়া কখনো ফেরত দেন না।

অধিক জিকিরকারীর দোয়া : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেন না- বেশি পরিমাণে জিকিরকারী, মজলুম এবং ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া। (সহিহুল জামে : ৩৩৭৪)।

বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির দোয়া : উম্মে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত; আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, কোনো মানুষের ওপর যখন কোনো বিপদ আসে, তখন সে যদি বলে, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন এবং বলে, ‘হে আল্লাহ, আমাকে বিপদে ধৈর্যধারণের ক্ষমতা এবং উত্তম স্থলাভিষিক্ত দান করুন।’ তবে আল্লাহ তাকে ধৈর্য ও উত্তম স্থলাভিষিক্ত দান করবেন। উম্মে সালামা বলেন, যখন আবু সালামার ইন্তেকাল হলো, তখন আমি তার নির্দেশ অনুযায়ী এ দোয়া পড়লাম। ফলে আল্লাহ আমাকে তার চেয়ে উত্তম স্থলাভিষিক্ত তথা রাসুল (সা.)-কে দান করলেন। (মুসলিম : ১৯৯৮)।

যেসব স্থানে দোয়া কবুল হয় : হজের সফরে ইহরাম বাঁধার পর থেকে শুরু করে পবিত্র মক্কা-মদিনার বিভিন্ন স্থানে দোয়া কবুল হয়। মক্কা-মদিনার আশপাশেও এমন অনেক স্থান রয়েছে, যেগুলোতে নবী-রাসুলদের দোয়া কবুল হয়েছিল, সেসব স্থানেও দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যেমন : বায়তুল্লাহ দৃষ্টিগোচর হলে, মুলতাজিম ও পবিত্র কাবার দরজার মধ্যবর্তী স্থানে, মুলতাজিম মিজাবে রহমতে, রুকনে শামি থেকে ইয়ামেনির দিকে যাওয়ার সময়, রুকনে ইয়ামেনিতে, তাওয়াফ অবস্থায়, হাতিমের ভেতর, মাকামে ইবরাহিম ও তাওয়াফের স্থানে, সাফা-মারওয়া পাহাড় ও সায়ির মধ্যবর্তী স্থানে, সায়ির পথে আখদারাইনে (দুটি সবুজ নিশানা), আরাফার ময়দানে, জাবালে রহমত ও মসজিদে নামিরায়, মুজদালিফা, মিনা ও মসজিদে খায়িফে দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়।

যাদের দোয়া কবুল হয় না : তিন ব্যক্তির দোয়া কবুল হয় না, আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসুল (সা.)? বলেছেন, তিন ব্যক্তি আল্লাহর কাছে দোয়া করে কিন্তু আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করেন না :

১. এমন ব্যক্তি, যার বন্ধনে দুশ্চরিত্রা স্ত্রী আছে; কিন্তু সে তাকে তালাক দিচ্ছে না। ২. এমন ব্যক্তি, যে কারও কাছে ঋণী; কিন্তু ঋণের ব্যাপারে কাউকে সাক্ষী রাখেনি। ৩. এমন ব্যক্তির দোয়া, যে নির্বোধের হাতে অর্থ তুলে দেয়; অথচ আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘তোমরা নির্বোধের হাতে অর্থ তুলে দিয়ো না।’ (মুসতাদরাকে হাকিম : ৩১৮১)।

এছাড়া যে হারাম খাবার খায়, দোয়ার ব্যাপারে অমনোযোগী ব্যক্তি এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী ও তাড়াহুড়াকারী ব্যক্তির দোয়া কবুল হয় না। মোটকথা, আল্লাহর মুখাপেক্ষী হওয়া এবং তার নৈকট্যলাভ ছাড়া মানুষের কোনো উপায় নেই। আর দোয়া হলো তার নৈকট্যলাভের বিশেষ বাহন ও মাধ্যম। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, প্রত্যাশা ও সাহায্য কামনার মাধ্যমে মানুষ তার নিকটবর্তী হয়।

সুতরাং আমাদের দৈনন্দিন জীবন, নামাজ-রোজা, ব্যবসাবাণিজ্য,

বিপদ-মুসিবত, সৎ চাওয়া-পাওয়া তথা আমালি জিন্দেগিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সফলতা লাভের জন্য দোয়ার বিকল্প নেই।