স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয় দেশের কয়েকটি জেলা। নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং কুমিল্লা এর অন্যতম। পরবর্তীতে ভারতের ফ্যাসিস সরকারের রাতের আঁধারে গণহত্যার উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেয়া পানিতে মুহূর্তেই তলিয়ে যায় ফেনী। দিশেহারা হয়ে পড়ে ফেনীর জোয়ান, বুড়ো, শিশু, নারীসহ সবাই। প্রাণ বাঁচাতে পারেনি ফেনীর শত শত মানুষ। ঘুম থেকে জেগে ওঠার আগেই তলিয়ে গেছে বাড়িঘর। পানির জোয়ারে চিরতরে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে আপনজন। আহ!, কী নির্মম দৃশ্য! বাংলার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ত্রাণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, রহমাতুল্লিল আলামীন ফাউন্ডেশন। সময়ের চাহিদা মেটাতে তীব্র প্রয়োজন ছিল শুকনো খাবারের। চিড়া, চিনি, মুড়ি, বি¯ু‹ট, ওষুধ, স্যালাইন, বিশুদ্ধ পানি, মোমবাতি, ম্যাচ লাইট এবং পরিধানের পোশাকসহ প্রয়োজনীয় আসবাব। রাহমাতুল্লিল আলামীন ফাউন্ডেশন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চারটি জেলায় এসবের বিতরণের পাশাপাশি নগদ অর্থ দিয়ে মানুষের সহযোগিতা করেছে। দিয়েছে রান্না করা খাবারও। নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্ণাঙ্গ সীরাতচর্চা এবং মানব জীবনে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৯ সালে তারুণ্যদীপ্ত একঝাঁক বিজ্ঞ আলেমের সমন্বয়ে, চৌকস আলেমে দ্বীন, লালবাগ জামেয়ার মুহাদ্দিস, মুফতি সাখাওয়াত হুসাইন রাজীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠা লাভ করে রহমাতুল্লিল আলামীন ফাউন্ডেশন। জামিয়াতুল বালাগ ঢাকা'র প্রিন্সিপাল, লেখক ও গবেষক মুফতি আহসান শরীফ সংগঠনটির সদস্যসচিব। ২০১ সদস্য বিশিষ্ট এর কেন্দ্রীয় কমিটি। রয়েছে বিভাগ ও জেলাভিত্তিক কমিটি। রাজধানীর মর্যাদা পূর্ণ হলে প্রতি বছর সীরাতবিষয়ক সর্ববৃহৎ কনফারেন্সের আয়োজন করে সংগঠনটি। নবী প্রেমে উজ্জীবিত করতে এবং শিক্ষার্থীদের মনে নবীজির আদর্শের বীজ রুইয়ে দিতে সীরাতবিষয়ক প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং নাতে রাসুলের মতো নানা আয়োজন থাকে সংগঠনের। পুরো রবিউল আউয়াল মাসজুড়ে থাকে সিরাত বিষয়ক সেমিনার, মাহফিল ও আলোচনা সভা। আহ্বায়ক মুফতি সাখাওয়াত হুসাইন রাজী বলেন, ত্রাণ বিতরণ করে আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে ছিলাম। বন্যা শেষে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পুনর্বাসন, চিকিৎসাসেবা এবং স্বাবলম্বীকরণ প্রকল্পের কাজ করার চেষ্টা করব, আমাদের সাধ্যানুযায়ী। বিত্তবানরা সহযোগিতা করলে ব্যাপক হারে কাজ করা যাবে এবং মানুষও উপকৃত হবে।