ভাষারাজনীতি : জুমার খুতবার ভাষা
সাইফ সিরাজ
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
‘জুমার খুতবার ভাষা’ একটি ফিকহি বিতর্ক। এখতেলাফি মাসয়ালা। মতানৈক্য পূর্ণ একটি শরয়ি টার্ম। অবশ্যই অধুনা একটা সংকট এটা। যদিও এই বিতর্ক দীর্ঘ দিনের; ইন্টারনেটভিত্তিক উন্মুক্ত তথ্যের দিনে এই বিতর্ক যুক্তিমনস্ক মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে দিনে দিনে। ফলে খুতবার ভাষা বিষয়ে মানুষের কৌতূহল বাড়ছে। বিভ্রান্তিও বাড়ছে। এটা নিরেট ফিকহি বিতর্ক হলেও এই বিতর্কের চর্চাটা নিতান্ত ফিকহি না। এর সঙ্গে অনেকগুলো অনুষঙ্গ যুক্ত থাকার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। খুতবার ভাষা-বিতর্ক খুব সরলও না; আবার যে খুব গরল তাও বলা যায় না। কিন্তু বিতর্কটা চলমান। যেহেতু অঞ্চলভেদে মুসলিমগণ নানা মাযহাব অনুসরণ করেন; ফলে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এই বিতর্ক ইলমি ঘরানায় থাকলেও আওয়ামের মধ্যে নেই বললেই চলে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই বিতর্ক বেশ বেগবান। প্রায়ই মাহফিলে, পত্রিকায়, ইলমি হালকায় (আড্ডায়) এই বিতর্ক উঠে আসে। ইউটিউবের বাংলা কন্টেন্টগুলো সার্চ করলে অগণিত প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সামনে আসে।
ফিকহি ঘরানা হিসেবে এই অঞ্চলের মানুষ অধিকাংশই হানাফি ফিকহের অনুসারী। বাকি তিন মাযহাবের অনুসারী নাই বললেই চলে। এর বাইরে এই অঞ্চলে ফিকহি বিতর্কে সালাফি মতাদর্শের একটা বিতর্ক চলমান। সেই মতাদর্শের লোকজন এই দেশে ‘আহলে হাদিস’ ও ‘লা মাযহাবি’ বলে পরিচিত। ফিকহ, আকিদা ও ইলমি সিলসিলার প্রেক্ষিতে এই দেশের মুসলিমদের রয়েছে কয়েকটি ঘরানা। মাসলাকে দেওবন্দি, ভেরলবি, সুন্নি ইত্যাদি। অপর দিকে জামায়াতে ইসলামি রাজনৈতিক মতাদর্শের ঘরানা হলেও আকিদা ও ফিকহে তাদের আছে ভিন্ন চিন্তা। জুমার খুতবা মাতৃভাষায় হবে কি না! এই প্রশ্নে আহলে হাদিস ঘরানা ছাড়া এই অঞ্চলের প্রায় সব সিলসিলাই আরবির পক্ষে। জামায়াতে ইসলামি ঘরানার অল্প ক’জন আলেম মাতৃভাষায় জুমার খুতবা দেন। তাদের মধ্যে অন্যতম মাওলানা কামালুদ্দীন জাফরী এই বিষয়ে জোরালো পক্ষপাত করেন। তিনি বিন বায ও ইবনে উসাইমিন থেকে ফতোয়া নকল করে বলেন, ‘এমন কোনো ভাষায় খুতবা দেওয়া জায়েয নাই; যা মানুষ বুঝে না।’ নিজের ফতোয়ার সপক্ষে কোরআনের আয়াত দিয়ে দলিল দেন। এরপর তিনি আবার বলেন, ‘আরবি ভাষায় জুমার খুতবা দেয়া বিদআত।’ এই বক্তব্য দিতে গিয়ে আরও বলেন, ‘এই দেশের মৌলবিরা পড়েও না; খোঁজও রাখে না।’
বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় জুমার খুতবা দেয়া কবে থেকে শুরু হয়েছে তা যথাযথভাবে জানা না গেলেও এটা জানা যায় যে, মাওলানা কামালুদ্দীন জাফরীর হাত ধরে এই বিষয়টি ব্যাপকতা লাভ করেছে। অপরদিকে যারা আরবি খুতবা দেন, খুতবার পক্ষে বলেন, তারা দলিল হিসেবে বলেন, নবীজি কখনোই ভিন্ন ভাষায় খুতবা দেননি। নবীজির সময়েই ভিন্ন ভাষার অঞ্চলে ইসলামের প্রচার হয়েছে। কিন্তু নবীজির কোনো সাহাবি ভিন্ন ভাষায় জুমার খুতবা দেননি। এমনকি মদিনায় যখন অনারব ভাষাভাষী লোকজন উপস্থিত হয়েছেন, তাদের বুঝার সুবিধার্থে অন্য ভাষায় খুতবা দেওয়ার নির্দেশ দেননি। চার খলিফার সময়ে ইসলামের খলিফাগণ প্রায় অর্ধেক পৃথিবী শাসন করেছেন। তাদের থেকেও আরবি ভিন্ন অন্য ভাষায় খুতবার কোনো দলিল ও ইতিহাস পাওয়া যায় না। তাবেয়িন, তাবে তাবেয়িন, আইম্মায়ে মুজতাহিদিনের থেকেও ভিন্ন ভাষায় খুতবার কোনো ইতিহাস পাওয়া যায় না। যেহেতু সে সময় পৃথিবীর নানা প্রান্তে ইসলাম ছড়িয়ে পড়েছিল, নানা ভাষাভাষী মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছিল, স্বাভাবিকভাবেই আরবি ভিন্ন বোধগম্য ভাষায় খুতবা দেয়ার কোনো সুযোগ থাকলে অবশ্যই সে সময়ে কেউ না কেউ সেই অঞ্চলের নিজস্ব ভাষায় খুতবা দিত। যেহেতু নবীজি, সাহাবি, তাবেয়িন, তাবে তাবেয়িন এবং আইম্মায়ে মুজতাহিদিনের কেউ এই আমল করেননি, তাই আমাদের জন্য নতুন করে এই আমল চালু করা বিদআত হবে। ফলে খুতবা আরবিতেই দিতে হবে।
তাদের আরও কিছু দলিল ও যুক্তি আছে। যেহেতু জোহরের নামাজ চার রাকাত আর জুমার নামায দুই রাকাত, ফলে জুমার খুতবাকে দুই রাকাতের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। আল্লামা আবু বকর ইবনে শাইবা বলেন, হজরত উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, জুমার খুতবাকে দুই রাকাত নামাজের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাহ, হাদিস: ৫৩২৪)। আর নামাজের স্থলাভিষিক্ত খুতবা একটি নির্দিষ্ট ইবাদত। এটি শোনাও ওয়াজিব। ফলে ইসলামের কোনো আনুষ্ঠানিক ইবাদত ভিন্ন ভাষায় হওয়ার সুযোগ নেই। যেহেতু খুতবা দেয়ার একটি নির্দিষ্ট নিয়ম ও পদ্ধতি আছে, সেই নিয়ম ও পদ্ধতি মোতাবেক খুতবা একটি নির্দিষ্ট ইবাদত। ফলে এটা আরবিতেই হওয়া আবশ্যক। মাওলানা মুহাম্মদ আমির হুসাইন বলেন, (মুফতি ও মুহাদ্দিস, শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।) ‘খুতবা আরবি ভাষায় দেয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়িন, তাবে তাবেয়িনসহ আজ পর্যন্ত উম্মতের ধারাবাহিক আমল। অতএব, এর বিপরীত আমল করা বিদআত ও মাকরুহে তাহরিমি তথা নাজায়েয।
উপমহাদেশের বিখ্যাত ফকিহ ও মুহাদ্দিস শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলবি (রহ.) তার রচিত মুয়াত্তায়ে মালেকের ব্যাখ্যাগ্রন্থ মুসাফফায় উল্লেখ করেন, (অর্থ) : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, খুলাফায়ে রাশেদিন, তাবেয়িন, তাবে তাবেয়িন এবং পরবর্তী যুগের ফুকাহায়ে কেরাম ও ওলামায়ে দ্বীনের খুতবাগুলো লাখ করলে দেখা যায় যে, তাদের খুতবায় নিম্নের বিষয়গুলো ছিল। যথা : আল্লাহতায়ালার হামদ, শাহাদাতাইন (অর্থাৎ তাওহিদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদান করা।) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরুদ, তাকওয়ার আদেশ, পবিত্র কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত, মুসলমানদের জন্য দোয়া। তারা সকলেই আরবি ভাষায় খুতবা দিতেন। গোটা মুসলিম বিশ্বের বহু অঞ্চলের ভাষা আরবি নয়, তবুও সর্বত্র আরবি ভাষায়ই খুতবা দেয়া হতো। (মুসাফফা, ১/১৫৪)।
সুতরাং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, খুলাফায়ে রাশেদিন, তাবেয়িন, তাবে তাবেয়িনের খুতবার উপর ভিত্তি করে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, খুতবায় নিম্নের বিষয়গুলো থাকা সুন্নাত।
যথা : ১. হামদ, ২. সানা, ৩. শাহাদাতাইন, ৪. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দরুদ, ৫. তাকওয়ার আদেশমূলক কোরআনের আয়াত, ৬. আরবি ভাষায় ওয়াজ নসিহত, ৭. দুই খুতবার মাঝে বসা, ৮. দ্বিতীয় খুতবায় পুনরায় হামদ, সানা, শাহাদাতাইন ও দরুদ পাঠ করা। ৯. সকল মুসলমানের জন্য দোয়া করা। ১০. উভয় খুতবা নামাজের তুলনায় সংক্ষিপ্ত হওয়া ইত্যাদি।
বিশিষ্ট ফকিহ আল্লামা কাসানি (রহ.) বলেন, ‘এমন মনে করা ঠিক নয় যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবিদের যুগে অনারবি ভাষায় খুতবা দেয়ার প্রয়োজন ছিল না। কারণ, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেষ যামানায় দলে দলে লোক ইসলামে প্রবেশ করতে থাকে। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, অর্থ : ‘আর আপনি দেখবেন লোকেরা দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করছে।’ (সুরা নাসর, আয়াত : ২)। উক্ত আয়াত দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পেছনে বিভিন্ন ভাষার মানুষ নামাজ আদায় করত। খুতবা ছাড়া দ্বীনি শিক্ষার অন্য কোনো মাধ্যমও তেমন ছিল না। তারপরও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য ভাষায় খুতবা অনুবাদের ব্যবস্থা করেননি। তদ্রূপ সাহাবিগণের যুগে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু সম্পর্কে বোখারি শরিফ ১/১৩-য় বর্ণিত আছে, তিনি নিজের শাসনকার্য পরিচালনার জন্য দোভাষী ব্যবহার করতেন, তবুও স্থানীয় ভাষায় খুতবা দেওয়া বা খুতবার অনুবাদের ব্যবস্থা করেননি।’ কারও মতে কোরআনে যেহেতু ‘ফাসআউ ইলা যিকরিল্লাহ’ আয়াতে যিকির দ্বারা জুমার খুতবাকে বুঝানো হয়েছে; ফলে এই খুতবা আরবিতে হওয়াই বাঞ্ছনীয়। যদি কখনো একাধিক ভাষার মানুষ একত্রে জুমা আদায় করে, তা হলে কোন ভাষায় খুতবা দেয়া হবে? এই প্রশ্নেও সবচেয়ে সহজ সমাধান আরবি ভাষা। কারও কারও মতে ভিন্ন ভাষার খুতবা জায়েয হতে পারে। তবে সুন্নত হলো খুতবা আরবি ভাষাতেই দেয়া। কোনো কোনো আলেমের মতে যারা অনারব ভাষায় খুতবা দিচ্ছেন, দিতে চান, দেয়া জায়েয মনে করেন, তাদের একমাত্র দলিল হলো বোধগম্যতার যুক্তি এবং নবীদেরকে নিজ নিজ মাতৃভাষায় পাঠানো হয়েছে মর্মে কোরআনের আয়াত। অপর দিকে তারাই আবার সদকাতুল ফিতর টাকায় আদায় হবে না বলছেন। কারণ, নবীজি ও সাহাবিগণ টাকা দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করেননি। সদকাতুল ফিতর টাকা না খাদ্য দ্বারা আদায় হবে প্রশ্নে তারা আবার ফকিহদের মতামতকে এড়িয়ে খাদ্য দিয়েই আদায় করতে হবে বলেন।
ফিকহি বিতর্ক ও ইখতেলাফের সমাধান মুহাদ্দিস ও ফকিহদের কাছ থেকেই নেব। কিন্তু এই খুতবার ভাষা-বিতর্কের পলিটিক্সটা কোথায় আমরা সেটা একটু দেখার চেষ্টা করি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই মাতৃভাষায় খুতবার প্রচলন আছে। কিন্তু সেখানে সেটা অনেকটাই রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত। অমুসলিম দেশেও অনেকটাই নির্দিষ্ট একটা অথরিটি এই ব্যাপারগুলো দেখে। বাংলাদেশে যেহেতু রাষ্ট্র এবং ওলামাদের বিশেষ কোনো ফিকহি অথরিটি নেই, তাই এখানে সব চলে শায়খ আর পিরদের ব্যক্তি-মর্জিমতেই প্রায়। যে কারণে উসুল আছে: কোনো অঞ্চলে সেখানকার জনগোষ্ঠী ব্যাপকভাবে একটা সুন্নতের উপর আমল করলে সেখানে সেই সুন্নতের বিকল্প সুন্নত পালনে, প্রচারে সরব হওয়া ও বাধ্যবাধকতা তৈরি করা যাবে না। এরপরেও এই দেশে সুন্নত, নফল নিয়ে অযাচিত বিতর্ক ও পরস্পরকে তাকফির করা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় খুতবার ব্যাপারটাও চলছে যাচ্ছে তাইভাবে।
মোটাদাগে দুটি বিষয় আমরা সামনে আনতে পারি, প্রথমত খুতবার মাতৃভাষা-বিতর্কটা হতে পারে ভাষিক ও দৈশিক জাতীয়তাবাদ; আবার আরবি হতেই হবে সেটা হতে পারে আরবি ভাষার উপনিবেশবাদ। যদিও ইসলামের ভাষা যেহেতু আরবি এবং কোরআন আরবি, হাদিস আরবি। ইসলামের উসুল ও ফিকহের মৌলিক ভাষা আরবি। ফলে খুতবার ভাষাটা আরবি হওয়াকে উপনিবেশবাদ বলাটা ঠুনকো অভিযোগ হয়ে ওঠে। ওদিকে জাতীয়তাবাদী ধারণাটা বেশ জোরালো হয়ে ওঠে। এটাও শাস্ত্রীয় পণ্ডিতদের জন্য থাকুক। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই আরবি ভাষায় খুতবা বিদআত বলাটা মূলত ঘরানাগত আধিপত্যবাদ। আর এই আধিপত্যবাদী আচরণ সব ঘরানার আলেমদের মধ্যে দেখা যায়। সবচেয়ে বাজে এবং দুঃখজনক হলো এসব বিতর্কে একজন আরেকজনের প্রতি তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা। সুন্নত ও মুসতাহসান নিয়ে দুই পক্ষের যথেষ্ট দলিল-আদিল্লা থাকার পরেও একজন আরেকজনকে বিদআতি বলা।
মডারেট মুসলিম। স্কলারবাদী মুসলিম। এলিটবাদী শিক্ষিতসমাজ। এদের পক্ষে রাখা। আর প্রবৃত্তিবাদী মুসলিম যারা ইসলামও মানতে চান আবার প্রবৃত্তিকেও মানতে চান, যারা ইসলামের সংস্কৃতি ও সুবিধাকে নিতে চান; কিন্তু ইসলামে আকিদাগত ত্যাগ ও অসুবিধাকে নিতে চান না; তাদের কাছে যুগের ভাষায়, বিজ্ঞানের ভাষায়, সহজিয়া ইসলাম অথবা আনুষ্ঠানিক ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে কেউ কেউ প্রচণ্ড পলিটিক্যাল হয়ে উঠছেন। সেসব পলিটিক্যাল চৈতন্যের ভেতর দিয়ে ইসলামের ইখতেলাফগুলো ইফতেরাক ও তাকফিরে পর্যবসিত হচ্ছে। আমরা আশা করি, আমাদের আলেমগণ অচিরেই এসব মতানৈক্যকে সহজ করবেন। একসঙ্গে বসবেন সর্বোচ্চ কল্যাণের পথে উম্মতকে ঐক্যবদ্ধ করবেন।
লেখক : অধ্যাপক, কবি ও বিশ্লেষক